ব্যস্ততা.
শুধুই ব্যস্ত থাকব বলে
সময়ের কত চুপকথা ভুলে থাকি
ভুলে থাকতে হয়।
আমার পা জানে না তবুও
ব্যস্ততার এক যুতসই মানপত্র পেতে গেলে
কতটা সিঁড়ি ভাঙা জরুরি
কতটা ভাঙতে হয়!
ভিড় আর ব্যস্ততার মাঝে সিঁড়ি ভাঙতে গিয়ে তাই
আমার গেঁয়ো ঠ্যাং দুটোর পা ভাঙলো
হ্যাঁ, ঠ্যাং দুটোর পা।
তারপর হাসপাতাল
সেখানে পরিষেবার নতুন মোড়ক খুলতে খুলতে
প্রেসক্রিপশনের যথাযথ পাঠ নেওয়ার শর্তে
কিছু দাগ নিয়ে সেরে ওঠা
হ্যাঁ, যেভাবে প্রলেপ দিয়ে সেরে উঠতে হয়
তেমনি
সেরে ওঠার পর একটা গল্প থাকবে নিশ্চয়ই
হ্যাঁ, ঠিক তাই আছে-
ব্যস্ততার মাঝে আমি এখন আমাকেই খুঁজি
নিরন্তর খুঁজি
অনেক উঁচুতে উঠবে বলে
আমার ব্যস্ততা এখন আর মাটিতে পা রাখে না।
উঁচুতে উঠব বলে
আমি ক্রমশ হালকা হয়ে যাচ্ছি
বাইরে আমার অনুভবের ফানুস উড়ছে
অনেকের মতো আমারও কিছু গল্প আছে
এদিক ওদিক ছোটাছুটির গল্পগুলো আমার
স্নেহ আর সংবর্ধনা কুড়াতে কুড়াতে এখন
তুলোর মতো উড়ছে আকাশে।
স্যালুট.
পরে না হয় শান দিয়ো
আপাতত চলনসই হয় কি না দ্যাখো
অন্তত এইটুকু বুঝতেই হবে
প্রথমে হাতের পাঁচটি আঙুল জড়ো করো
তারপর মাথায় ঠুকো
এবার খোলামনে খোলামাঠে
তাকে একটা স্যালুট দাও।
এতে কাঁধ কনুই কিংবা কব্জিতে
জোর এক ঝটকা লাগতেই পারে। লাগুক।
ব্যথার 'পরে ব্যথা কী-ই বা তার ওজন!
যতটুকু বললে তুমি -
সে যদি মহিমা বিলাতে পারে
যদি সে এখনও রাজ করতে পারে
যদি সে করুণাও দেখাতে পারে
তবে একটা স্যালুট দাও তাকে।
তাকে মান্যতা দিলে শিরদাঁড়া কথা বলবে
না হলে অন্তত
তোমার 'ওই চলে যাচ্ছে একরকম' - গদ্যটা
কিছুটা হলেও প্রাণ পাবে।
স্বচ্ছতা.
এতটুকু জায়গা নেই তার
লোকবলও তেমনি
তাই সে প্রকাশ্যে আসতে পারে না
প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় সারিতে তো
একেবারেই নয়।
এত বছর পরেও
একটি স্থায়ী ঠিকানা হল না তার
আশ্চর্য!
সবচেয়ে বড়ো কথা
স্বচ্ছতার মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই জেনে
রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরগুলোও মুখ লুকালো!
আহা!
ওরা কি আসলেই জানতো
স্বচ্ছতার প্রশ্নে
ওদের রাতকাঁপানো 'ঘেউ ঘেউ' মডেলটাই
আপাতত শীর্ষে !
সন্নিধান.
সিদ্ধ আতপের গন্ধে
এক চিমটে নুন দাও ভাই
আগুনমুখী পেটের গলা টিপে ধরি।
আরে ভাই
আমি তো কবিতা চেয়েছি
আগুন ধরবে কেন?
ওই যে বললে - গলা টিপে ধরি
এ কোনও কবিতা হলো?
শোনো
বর্ণহীন ছন্দহীন অর্থহীন জীবন হতে পারে
কবিতা নয়।
কবিতা হবে কেন!
মুক্তি.
একটা অসত্য শব্দ বলো দেখি
- মুক্তি
- কেন মুক্তি?
- কোথাও খুঁজে পাবে না তাকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন