কাক
ডাস্টবিন খানাখন্দ বাজার-হাট
পরিস্কার করে একটা কাক রোজ
বাড়ির কার্নিশে বসে কলিং-বেলের
মতোই বেজে ওঠে
অথচ, কাক-চরিত্র গবেষণা করে
আজও বুঝতে পারিনি খাঁখাঁ-দুপুরে
রোয়াকবাজগুলো কেন রোজ
গেরস্তের দরজাতেই আসে ?
তাহলে কি,ইস্কুলের পণ্ডিতমশাইয়ের
মতো সত্যি-সত্যিই, কাকেদের সঙ্গে
কানেরও একটা সম্পর্ক আছে ?
যদিও , কোনো কাককেই
আজপর্যন্ত কারোর কান
নিয়ে ওড়াউড়ি করতে দেখিনি
অথচ, কান আর,হাতের
বিবাদভঞ্জন না করেই,
কেউ কেউ ওভার- কনফিডেন্ট
আর,এইরকম কনফিডেন্স
থেকেই মানুষের কাঁধের উপরে
গজিয়ে উঠে একটা আস্ত বাঁধাকপি
তন্নতন্ন করে কাটলেও, যার ব্যসার্ধে
আধাকাপ ঘিলুও খুঁজে পাওয়া যায় না
একমাত্র, কাকতাড়ুয়া ছাড়া
বাঁধাকপির চোদ্দগুষ্টির সঙ্গে
কাকেদের কোনো সম্পর্ক আছে
বলে অন্তত,আমার জানা নেই
এমনকী, কাকদ্বীপেও মাছেদেরই
একছত্র সাম্রাজ্য
অথচ,ওড়াউড়ির ঘনিষ্টতা দেখে
প্রশ্নচিহ্ণগুলো বাঁকাঠোঁটের লিপস্টিক
না নড়িয়েই জানতে চায়,
তাহলে কি,বাঁধাকপির জিলিপি বুকের
খাঁজে আরেকটা কাক বাস করে
খড়ের চালা এবং জ্যোৎস্নার উল্কি
জ্যোৎস্নার টাওয়ার চুঁইয়ে
যে-সব নীলকান্ত-আলো
নেমে আসে তারও একটা
দিগ্বলয় আছে
আসলে,একটা খড়ের চালা
জ্যোৎস্নার উল্কিকে যতটা
গ্লোরিয়াস করে তোলে,ঠিক
ততটা আকাশছোঁয়া কোনো
ফ্ল্যাটবাড়িও নয় ।
...দীন-দরিদ্র শাহজাহান এসব
পরম বিরহে অনুভব করেছিলেন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন