লেখার পোশাক খুলে যাক
তোমার দুঃখ কিংবা হর্ষে শঙ্কিত হই
এই বুঝি যৌক্তিক রেখা থেকে সরে গিয়ে
শব্দের মন্ডুক ভরে তুলবে কূপ
এই যে অদাহ্য অসংবৃত স্তুপ
পাঠপ্রত্যাশা থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবেদ কতদূরই বা যায়…যেতে পারে…
কখনো দেখাই হলনা মাটিতে রোদ্দুর নেই
মেঘতলে যতটুকু লেগে আছে ছোঁয়াচের মত
সে অল্পায়ু কিভাবে ভাসিয়ে তুলেছে সন্ধ্যার আদল
নির্নিমেষের অব্যক্তে কখন যে ভুলে যাওয়া কখনো লেখার ইচ্ছে ছিল…
এভাবেই কিনা জানা নেই
ভেতরদিকে গেঁথে যেতে চায় কয়েকটা পেরেক
বোধান্তরে তৈরী হওয়া অস্থায়ী যোজক ডাকে পার হয়ে যেতে
কে না জানে সব নদী পেরোনোর নয়, সব সাঁকো ভরসারও নয়
সংশয়ের উপবৃত্তে দুলে ওঠে স্পন্দিত পল…থেমে যায়…
তারপর যে যার মত হারিয়েছে ধারণাও পার হয়ে দূরে…
পুরোনো কাসুন্দি ঘেঁটে যতটা পীযূষ
বাটোয়ারা করে নিতে কম পড়ে গেল
পরবর্তী সুযোগের অপেক্ষায় রেললাইন চলে যায় সমান্তরালে
বিস্মৃতি দৈবসত্য...প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি এক করে দেয়!
আনতির মেদুর আলোয়
অর্জনের স্তর মেপে জীবন ছুপিয়ে ওঠে গাঢ় রঙ পুরু ক্যানভাসে
আদৌ কি কিছু থাকে আগুনের চেয়েও অমোঘ!
উপত্যকা ছেয়ে অন্তরালহীন আঁচড়ের গল্পরা কন্ঠিবদল করে
অনুক্ত শেষ জেনেও মহামৌনে নতজানু সানুতলে
যে ধ্রুপদী রাগিনীটি এক শ্বাসে সীমানা ছাড়িয়ে চলে যায়
তারই কাছে স্পর্শকের রূপ নিয়ে বিমূর্ত হয়ে ওঠে গূঢ় কূটাভাস
এখানে তোমায় ছোঁওয়ার ছলে আজীবন থাকার অঙ্গীকারে
পার্শ্ববর্তী বৃক্ষের পাতা খসে যায়, উড়ে যায় কল্পনার চেয়েও বহুদূর
আমায় বাধিত কর নিজগুণে, প্রাণের ঠাকুর!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন