দ্রবীভূত লঘুমা

১)
আমার না বলাগুলো কীভাবে যে ভাষা পেয়ে যায়
তুমি জানো না সে পথের রাঙা থৈ থৈ
ঐ দ্যাখো জল খুলে রেখেছে তার দ্বিধা
সমস্ত চাঁদ গিলে নিলে
এখনও যেটুকু জ্যোৎস্না তোমাকে তোমার মতো করে পাবে বলে
ডুব পর্যন্ত গড়িয়ে গেল
আর ভেঙে টুকরো হলো আমাদের উত্থান
একে যদি পতন বলা হয়
তবে অবশ্যম্ভাবী র সংজ্ঞা বদলে যাবে 
আর গানের ভেতর চুপিসারে ডুকে যাবে
ভাঙা কুসুমের নিপুণ পরিচয়





২) 
কেমন হবে সেইসব না বলা কথারা
এখনও সেই একই টলোমলো 
তবুও ফুরায় না আকুতির আঁকাবাঁকা

কেন যে কথারা চলে যায় কথাদের খোঁজে
বুঝি জল নেই
খাঁ খাঁ সেই সন্ধ্যেবেলা
উবু হয়ে বসে আছে 
অজস্র নক্ষত্রের শুনশান গান






৩) 
আর শ্রাবণ ছিঁড়ে ছিঁড়ে জল হয়ে যাওয়া তোমার মুখ
বাকিটা নেভানো বাতির মতো
ইতিউতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে গোছানো জ্যোৎস্নার যত্ন
তবুও তো হাত ফসকে গেয়ে উঠে গান
জল ভেঙে রাখে তার নিজস্ব ব্যভিচার
গাছ হয়
ছায়া হয়
আর ধীরে ধীরে নিভে যায় বিড়াল






৪) 
গোপনে যে আঘাত তার মেঘ চুঁইয়ে নেমে এসেছে নক্ষত্র
বাতাসে তারই বাতিল আত্মমৈথুন মৈথিলী
কই গো তোমার মেয়ে
কতগুলো বালক ব্যাচো না কেন
এই যদি খুলে যাওয়া হয়
তবে নতজানু হও তোমার ভেতর






৫) 
আমাকে মত্তো এই দরদিয়া গান
বুঝি খসে গেল নিয়ে পা
কখন কোথায় কীভাবে এতো কীর্তি মত্ততা
এই সবে তারাদের ঘরে কখনো বুঝি মিঞা খালি হয়েছে এই ঘরে 
আপনের এই হাত 
পর্যন্ত ঐ মায়া 
তবুও তো হলো না, কিছু হওয়ার কথা





৬) 
এই দ্যাখো কী সুন্দর চাঁদ বাসা বেঁধেছে মনোরমে
মনোনীত হবে তাদের দোদুল্যতা
ঝুম ঝুম শব্দে ঢুকে পড়েছে জ্যোৎস্না চুরির অজুহাত
যতটুকু অভিযোগ ছিল তারা হয়ে খসে গেল 
মাঠে মাঠে  কেউসেক অন্ধকার
জানালা খুলে যতটুকু কাছে ডাকা যায় 
ততটা সবুজ ঘিরে নিয়ে তোমায় 
এই হল হাত
এই হল ছেলে বদলের নাম
পাড়া থেকে পাড়াময় তুলে নিলে 
তুমি যেমতো তোমার  হবে
সবই তো হলো
সবই তো হয়
শুধু শুধু শরীরে বাড়ে যেমতো চাঁদ






৭) 
কী এক পাখা হয়ে গেল ঘরের দরজা
উড়ন্ত সেই চোখের ভুলচুক
ভুল খুলে রাখুক ঠিকের মা
আলো আসা ভিজে পড়ন্ত বিকেল
অন্ধকার হয়ে খুলে যাওয়া নিভন্ত মন্ত্রণা
সে সব হুলস্থুল হলে য় হয় মায়ের ভেতর
আর ঝরে পড়া পাহাড়ের দ্রবীভূত লঘুমা


মহাদেব নাথ

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন