(১) 

বিষাক্ত ধ  বর্ণ ও ইরেজার বক্সের আইভিএফ নাম গুলো

ছেঁড়া জরায়ু নিয়ে যারা উলঙ্গ দাঁত বের করে অট্টহাসিতে ভেসে যায় তাদের জন্য আমি তিন রতি হলুদ মূত্রগ্রন্থির রস রেখে দিচ্ছি
বিষাক্ত ডলোমাইট ভাঙ্গা লাল ইরেজার বক্সের ভেতর

সেবিকাদের মতো যারা মৃতদেহের ব্যবসা করি , গলায় তিনটি এল আরজিনিন দাঁত , একা একা নিপুন অস্ত্রাগার থেকে বেরিয়ে আসি চাঁদের উলঙ্গ কঙ্কাল নিয়ে , আমার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকে পৃথিবীর স্থাণাঙ্কে ঝুলে থাকা একটি নৃতত্ত্ব হৃদপিন্ডের স্টেইন বসানো ধূসর স্তন , কোন মানুষ হৃদরোগে ভোগেনা সাদা চুনা পাথরের অসুখে ভোগে
আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি কাঁচ ভর্তি রেস্তোরাঁর ওক স্মিথ গোল্ড মদের মতো আমারও নেশাখোর ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে রেস্তোরাঁর মহিলা দালালটি আমার জীবিত পোশাক খুলে নিয়ে ঘন অন্ধকার শাল জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছিল অপ্রকৃতিস্থ বক্ররেখার গা ভেজানো জ্যামিতিক বর্গক্ষেত্র বেঁধে নিয়ে , মাঝরাতের বৃশ্চিক সাপের বাচ্চাটি কোনদিন গাণিতিক বস্ত্রালয়ের সাদা সিল্কের আইভিএফ পদ্ধতি জানতেন না

আমি হাতড়াতে হাতড়াতে কোনক্রমে বন্ধ হয়ে যাওয়া পেট্রোল পাম্পের গভীরে পা ফাঁক করা সেতারের শব্দ শুনে পিশাচিনীর নষ্ট ভূমিক্ষয়ের স্তন কুণ্ডুর ছবি আঁকতে আঁকতে মৃদু পেন্সিলের অধিযজ্ঞ ডগায় লাল শ্যাওলা গুঁজে দেই , বাল্মিকী কোনদিন নদীর কারফিউ শুনতে পাননি







(২) 

রিমিতা ফাস্ট ফুড সেন্টার ও বৃষ্টির মতো জিলেটিন সমগ্র

ঘরের ভেতরে সরল প্লেটনিক তত্ত্বের রোগাক্রান্ত দেবদারু বীজেরা তৃতীয় বিয়োগান্ত চিহ্ন ও ধ্বজভঙ্গ জ্যোৎস্না রাতের কাছে আমার পাপাইন গাছ থেকে ঈশ্বর মূলের দিকে চলে গেল দুই হাতে নিষিদ্ধ সাফিয়েন্স প্রবণতা নিয়ে

অপার্থিব ঈশ্বরের আমরা সকলেই পূজা করছিলাম তিন রগরগে নদীর ভিউ উপত্যকার ভ্যাজাইন গন্ধ সারা গায়ে ছড়িয়ে , আমি আতরের দোকানে কালো পোশাক ঢাকা নারীটির শরীর থেকে তিনটি সুন্দরবন চুরি করে এনেছি গতকাল , গোলার্ধে মাঝে মাঝে অসুস্থ রিপু নিয়ে আসলেন বৃষ্টিরমতো জিলেটিন খাওয়াবো বলে

ফাঁকা অস্তরাগে যাওয়া নারদ বংশীয় কালো রাস্তার ওপর দীর্ঘ রাত শুয়ে থাকলে আমি নিরহংকারী সন্ন্যাসী সাজি ,  মরচে ধরা স্থলজ যানটির হেডলাইট জ্বেলে রাতের খাদ্য সংগ্রাহক বংশীধরের অস্ত্রধারী হই , শরীরে নীল ক্যালিফোর্নিয়া জেগে ওঠে নির্বোধ এ নীলনদ এসে চরম বৃত্তের ঘোড়াদের দীর্ঘ  পেটগুলো মধ্যরতির সাথে কেমন হিমালয়ের নিচ থেকে নিয়ে আসে তরল সরীসৃপের খাদক সেজে , কোনমতেই বুঝতে পারি না আমার বাবার জন্মের আগে কি নাম ছিল ,

রিমিতা ফাস্টফুড সেন্টারে পচে যাওয়া ডিমের ভেতর থেকে বেরানো কতকগুলো আমার বাবা জন্মের আগে কতবার আমার ঈশ্বরীদের সাথে যুদ্ধ করে এ পৃথিবীতে উলঙ্গ বাসস্থান পেতেছিল
ভ্যাসেকটমি করাবে বলে







(৩) 

পরীক্ষিত ও ক্লিওপেট্রার বরফজাত

ফিরে এসো পরীক্ষিতের আয়ুহীন বন্ধন মুক্ত নৃসিংহ নারীর ভেতরে থাকা সবুজ অমরাবতী ফুটে ওঠা রাজার মতো পুজো করি এই ব্রাহ্মণ দেহকে ,

অপ্রস্তুত আমিও নই ,  যজ্ঞের ভেতরেই আমি মুখ লুকিয়ে নিজের পচে যাওয়া মুখমন্ডলে দুটো ঝাউ গাছ লাগালাম  ও কর্কট তুলা চিবিয়ে চিবিয়ে নীল প্রোভিডিন লোশন দিয়ে ঐ দীর্ঘ অদৃশ্য নাবিকটাকে হত্যা করেছি ক্লিওপেট্রার হোমিওপ্যাথিক বিষ ঠৌট দিয়ে
জড় নয় , সজীব নয় নিরাকার নয় আকার নয় সাকার নয় সগুণ নয় নির্গুণ নয় হাড় নয় মাংস নয় দেহ নয় বিদেহ নয় আত্মা নয় আমি দুই হাতে পিংপং বলের মতো কিছু মাঝ রাতের স্নায়বিক রোগী ,  চিতা বাঘের সাথে পেছনে শুধু অ্যাগনাস ক্যাসটাসে মৃদু পায়ের শব্দ শুনতে পাই নীল মোহনা থেকে রূপলি শরীর হত্যা করে এনে
কে আছে রাতের ধীবরের মতো বর্ণহীন লাবণ্য মেখে জানালার ধনুষ্টংকার কুরে খায়
একাকী সোনালি মাছেদের হত্যা করে রাত শেষের সহবাস ছেড়ে গোলার্ধের মহাপুরুষ হয়ে গেছে বরফজাত স্তনগ্রন্থির সিন্ধু প্রদেশের লাল কাঁকড়া বিছার মৃদু জীবাশ্ম , লাল বরবটির ভেতরে আমি শুধু সফেদা বীজের মতো নীল অন্তর্বাস খুলে ঢেলে দিচ্ছি অভয়ারণ্যের বিষাদগ্রস্ত নৌকার কাঁচা মাল,
আমাদের মতো রক্তাল্পতা আছে নৌকাগুলোর ও ,

মাঝরাতে ছেড়ে গেছে আরো আরো অতল সমুদ্রের থাকা একটি একান্ত নিজস্ব জলাশয় নাবিকের জীবন প্রণালী আমার চেরা মুখের ভেতরে তরল সিমেন্ট গোলা জল দিয়ে পিশাচ আঁকছে আমার অষ্টমবার মৃত্যুর রক্ত খাদক সেনানির বংশধর ধারালো অস্ত্রটিকে হৃদপিন্ডের ফ্লাইট মোডে রেখেছে





(৪) 

লাল জৈব শিল্পীদের জন্মগ্রহণ ও  সাদা ঘোড়ার শ্যাম্পেন

ঋষি শুচিষ্মানের মতো আমিও তপস্যার পর মৃত্যুর সমুদ্র মন্থনে যাওয়ার জন্য একশত সাপের জন্মগ্রহণে নীল সর্পগন্ধা রোপন করি


মৃত্যুর মতো আর কোনো যোগাসন নেই বলে আমিও ঘোড়াটির সাদা রংয়ের ভেতর অজস্র শিবের চন্দ্রগ্রহণ দক্ষের পর লাল গন্ধর্ব সেনাদের নিয়ে কাঁচের তৈরি কোন এক করোটির ভেতরে ঢুকে পৃথিবীর অনাদি শ্যাম্পেন লাল জারজ গন্ধ লুকিয়ে রাখি ,
জলাশয়ের দিকে নেমে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত কখনো প্রভাস তীর্থ থেকে দ্বিতীয় দিনের শিল্পীটির মতো পূজার বেদীতেই উলঙ্গ হয়ে গেলেন না কোনভাবেই , বৃষ্টি মাংসল ঠ্যাং  থেকে পচা গন্ধ উঠে আসলেও আমি কাঁটা চামচে পৃথিবীর ভূগোলকে আলাদা করে রিখি

বিষের মতো আমিও নখের কোণায় জমিয়ে রাখি সন্ন্যাস রোগে হেঁচকি তোলা কালো রংয়ের মহার্ঘ্য পুরুষের চিৎকার ,
জমিয়ে রাখি সাদা রংয়ের চারটি কাঠ , লাল রক্ত , নীল গন্ধের গলা আর বিপ্রগণের বেদধ্বনি , চৈতন্যের জন্য সঞ্চয় করে রাখি রাতের খাদ্য সামগ্রী , সাদা সাদা পাখিরা নীল নীল সরোবর থেকে উঠে মাকড়সারের যৌনাঙ্গ চুষে খাচ্ছে


তিনি আছেন বলে সব আলাপন ছেড়ে একদিন অসম্ভব দৈবশিল্পীর মতো বৃত্তান্ত কথা শুনবেন এই জাগতিক নিরাকার চন্দ্রমালা মিশিয়ে , দক্ষেরা একা একা কালো কাঁচের বোতলে তৈরি গিটার বাজাতে পারত না শাশ্বত কোকশাস্ত্রে বসে







(৫) 

পড়া বাস্তবের মুদ্রা রাক্ষস ও জমাট জটায়ু পাখিটি

শ্মশানে দাঁড়িয়ে থাকি শ্মশানের ছাই খাব বলে , ধূসর বেঁচে আছি নীল গাভীদের নিচে মুদ্রারাক্ষস সেজে , রঙ্গনারী হেঁটে গেলে ঈশ্বর প্রমথ সেজে ওঠেন বৈকুন্ঠ মেলার লালদর্শন পাওয়া ঈশ্বরের থার্মোডিনামিক্স ভাঙ্গা রোগহীন উলম্ব কংসের মত


জটায়ুদের পালকের মতো জমাট স্থবির রক্তবিন্দুর নৌকা হৃদপিন্ডের অপরাজিতা দৈর্ঘ্যের নিলয় খন্ড আর শ্যাম্পেন খাওয়া তিন মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের জমাট শিরা ছিঁড়ে নেমে আসে তাদের দেহ থেকে ৮৮৮টি সাপের মৃত্যু ও সরলদোল গতিতে ঝোলা সাদা ফুলেদের লিঙ্গতন্ত্র নিয়ে , 
একা একা হেমাটোলজির হেমাঙ্গি মেঘের অতলে থাকা চমৎকৃত দেহ জ্যোতির থেকে তাকিয়ে ডলফিনরা কতবার এই মগজ নামক অনর্গল শৌচালয়ে বারবার গণিকা সেজে অন্তর্বাস ঢাকে , একদিন মাণ্ডব উপনিষদের নিচে কাকেরা সারারাত এসে আমার পচা মাথাকে ঠোকরাচ্ছিল
ধূসর মেঘের ছায়া ঘনীভূত করলে বিষাক্ত রাতের তেলাক্ত পাই চিহ্ন উগরে দেয় আমার দিকে তাকিয়ে থাকা অনিষিক্ত ব্রহ্মার শরীর

দাড়ি ভর্তি পুরুষটি আমার মৃত পেটের ভিতরে আঠারোটা ক্ষয়প্রাপ্ত ধনুকের মতো হিউমার মেশানো সাপ শৌচালয়ের গুপ্তরোগ নিয়ন্ত্রণের পরা বাস্তবে ঢুকিয়ে দিচ্ছে ৩.৭৩ লিটারের তরল জীবাশ্মের লৌহ কণিকা সমগ্র , গভীর রাতের  আগুন নিয়ে পাঁচটা ডিমের ওমলেট বানাচ্ছে রিমিতা রেস্টুরেন্টের কালো কালো কালো হলদেটে ঈশ্বর জংলা তন্ত্র আমি শুধু চোখ বন্ধ করে বারবারিশ ভালগারিশ ৩x দেখে মৃত্যুর আর্তনাদ জুড়ে দিলাম





নিমাই জানা

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন