ধৃতিরূপা দাস 





ঘুলঘুলি 



হাওয়া কখনও আসে না আপনাআপনি ভেতরে।
আগে তো হাওয়া-নিঃস্ব স্তব্ধ আগুনে থিতোনো…
তরুণ কবিতা মুখেরা টিফিনকারিতে বইছে 
এতই স্নেহ যে বেঘোরে নিঃস্ব হওয়া সোজা না।




একে তো রাস্তা সজাগ ফুরিয়ে ফুরিয়ে ধুলোর
চূড়ার উতলে ছেঁকাটি! পতনে পতনে শুলোয়। 
তায় কে দৃশ্যে প্রবণ ব্লেড যে চালিয়ে দিচ্ছে!
একটু তফাতে আমরা,ভাগ্যি রক্ত ঘটেনি!




প্রভু তো পড়ালো নাস্তি। পড়ালো আমরা মুক্ত।
বীজের ভারের শাস্তি বইতে হবে না কাউকে। 
তবু অনিঃস্ব পকেট। হাওয়া চরম বিম্ব। 
যে আলো ফিরিয়ে চিনব… যে আলো ফেরাতে পারি না।




ঝাঁকুনি লাগছে কোথায়? কোথায় নলেরা ঢুকলো? 
চাঁড়াল মাঠের ভেন্না আড়াল ফাটিয়ে কোথায়!
জিয়োনো আগুন ভাসিয়ে নাভির কোটরে যে পলি? 
দেখছো এবং অবোধে দেখিয়ে দিচ্ছ কেবলই!




লেখাও গুটিয়ে যাচ্ছে--- এতই শীত সুপর্ণা!
খাদ্যতন্ত্রে পিছিয়ে শেষে কি আবার খুনিই?
অনভ্যস্ত অস্ত্রে ফিরতে বললে এখুনি 
পা গুলো টাটিয়ে উঠলো দীর্ঘতরকে বিছিয়ে।




যদিও পৃথিবী-প্রান্তে সুপারি বনের পিঁপড়ে
কবিতা-চড়ুইভাতির ধকল পেরিয়ে আহত, 
তবু যে সেজেছ, নিঃস্ব! পরম ধন্য দৃশ্য 
প্রবল অংকে টানছে। অংক শেখাবে, বলো না!


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন