ধৃতিরূপা দাস
ঘুলঘুলি
১
হাওয়া কখনও আসে না আপনাআপনি ভেতরে।আগে তো হাওয়া-নিঃস্ব স্তব্ধ আগুনে থিতোনো…
তরুণ কবিতা মুখেরা টিফিনকারিতে বইছে
এতই স্নেহ যে বেঘোরে নিঃস্ব হওয়া সোজা না।
২
একে তো রাস্তা সজাগ ফুরিয়ে ফুরিয়ে ধুলোর
চূড়ার উতলে ছেঁকাটি! পতনে পতনে শুলোয়।
তায় কে দৃশ্যে প্রবণ ব্লেড যে চালিয়ে দিচ্ছে!
একটু তফাতে আমরা,ভাগ্যি রক্ত ঘটেনি!
৩
প্রভু তো পড়ালো নাস্তি। পড়ালো আমরা মুক্ত।
বীজের ভারের শাস্তি বইতে হবে না কাউকে।
তবু অনিঃস্ব পকেট। হাওয়া চরম বিম্ব।
যে আলো ফিরিয়ে চিনব… যে আলো ফেরাতে পারি না।
৪
ঝাঁকুনি লাগছে কোথায়? কোথায় নলেরা ঢুকলো?
চাঁড়াল মাঠের ভেন্না আড়াল ফাটিয়ে কোথায়!
জিয়োনো আগুন ভাসিয়ে নাভির কোটরে যে পলি?
দেখছো এবং অবোধে দেখিয়ে দিচ্ছ কেবলই!
৫
লেখাও গুটিয়ে যাচ্ছে--- এতই শীত সুপর্ণা!
খাদ্যতন্ত্রে পিছিয়ে শেষে কি আবার খুনিই?
অনভ্যস্ত অস্ত্রে ফিরতে বললে এখুনি
পা গুলো টাটিয়ে উঠলো দীর্ঘতরকে বিছিয়ে।
৬
যদিও পৃথিবী-প্রান্তে সুপারি বনের পিঁপড়ে
কবিতা-চড়ুইভাতির ধকল পেরিয়ে আহত,
তবু যে সেজেছ, নিঃস্ব! পরম ধন্য দৃশ্য
প্রবল অংকে টানছে। অংক শেখাবে, বলো না!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন