[১]
তবুও
চূড়ায়
কৃষ্ণ,
আর বাঁধা রাধা,
নীচে রেললাইন,
পুলিশ গুমটি --তবুও !
সব পাতা ঝরা,
সব ফুল মরা --তবুও!
ঝিরি ঝিরি জল,
স্বপ্ন-শীতল,
ঝুকে-পড়া শাখা
কালো ছায়া আঁকা --তবুও!
জানি না তখন--
খাতার পাতা,
বা মোবাইলে কথা,
ছিল কী ছিল-না --তবুও!
[২]
অপ্রকৃতিস্থতা
ঈদের এই রাজ্যহীন একফালি চাঁদ,
বরফ-চাপা অবস্থাটা পেরিয়েও কেমন চলছে দেখ!....
হেই-ও বলে বৈঠা বেয়ে বুদ্ধের জন্মদিনে বা
কোজাগরে কেমন পূর্ণিমা হয়ে হয়ে,….
আবার ক'দিন পরই একেবারে শূন্য হয়ে,
অন্য পুজোর ধুমধাড়াক্কা এনে দিয়ে!
তবে ক্যালেন্ডার-মানা এই চাঁদেরও
আছে একটা কেন্দ্র,অনিন্দ্য বিন্যাসে
আছে অনবরত টানাপোড়েন,
আছে দ্বান্দ্বিক টান—কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রাভিগ!
কিন্তু আমরা শিক্ষার্থী নই--সাম্প্রদায়িক!
কারণ আমরা অপ্রকৃতিস্থ--
বারবার নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্ড,প্লাস্টিকে মুড়ে,
জলের আশঙ্কায় বা স্বপ্নে সোনার তরীতে
টলটলায়মান বানভাসি হই!
[ঈদ, ০২.০৫.২০২৩]
[৩]
এ-জনসংখ্যায় আমার নিজস্ব কবর-ঘর
[ আজ খবরে প্রকাশ, জনসংখ্যায়
ভারত পৃথিবীতে প্রথম। ]
কীসের উৎসবে এতো ভীড়!
আমি যে মরব বলে,
নিজস্ব একটা ঘর চাই!
মরে, ঠান্ডা মেঝেতে দুদিন পড়ে থাকব,
পচে দুর্গন্ধ বেরোলেও,
কেউ জানতে পারবে না--
আমার এমন একটা নিশ্ছিদ্র নিজস্ব ঘর চাই!
জনসংখ্যা যদিও বেড়েছে--
আমি অন্যের কবরে শুতে চাই না আর!
তাই, বাঁচার জন্যই ,আমার একটা
পক্ষপাতহীন নিজস্ব কবর-ঘর চাই--
যে-ঘরে ছবি নেই কোনো,
নেই কোনো ধূপ বা সিগারেটের ধোঁয়া।
[৪]
সমুদ্র সৈকতে
অশান্ত বিলি-কাটা নীল জল উড়ছে....
পারে পারে নকশি বেড কভারের মাদুরে
ম্যাগাজিন আর সংসার বিছানো!
সোনালী পিঠের উপরে,
গুলি ছুঁড়ে বেলুন ফাটানো চলছে... কিছু বেঁটে খচ্চর,
খোকাখুকি বা লোক-দেখানো টসটসে সওয়ারি নিয়ে ঘুরে
বেড়াচ্ছে....।
তবে,এরা কেউ সাঁতার জানে না!
কিন্তু,এ-জলে নাকানিচোবানি খেলেও,
খিলখিলেরা কিচ্ছুটি বলে না
(শত হলেও, রাষ্ট্রীয় নুলিয়ারা আছে,)
এতো আর সংসার নয়!
হাওয়ায় হাওয়ায়
কীর্তনের নাম গুণের শব্দ রয়ে রয়ে আসে,
এ-সমুদ্রে নাকি পাথরও ভাসে!
[৫]
সংশয় ও দীর্ঘসূত্রিতা
--'বাস্তুতন্ত্র, না বস্তুতন্ত্র'?
--'দেখছি'.... 'খোঁজ নিচ্ছি'
(‘দ্যা চয়েস ইস ইওরস,ম্যান!’)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন