অপার





১৭। কে কাহাকে? মেঘ জমে। পাতায়, টগরে, সেতুতে। বড় হয়। নাতিদীর্ঘ। কেবল আলোছায়া। কেবল অভিমান। প্রণামের ছলে চুম্বনে, টুপটাপ বিবিধ বার্তা। আর পথ। ফুটিতেছিল। রঙিন এবং বিষন্ন। যেহেতু মেঘ, জল, পাতাসব মুখে মুখে নত। একজন বহুদূরে। তার মনে পড়ে, অযত্নে বর্ধিত ক্রিয়াপদ, মায়া। শ্বেতচন্দনের খুব ভিতরে একখানি ছুরি দেখা যায় আর রক্তে রক্তে মাখামাখি





১৮। লাবণ্যের আধিক্য নাই। ওই বাঁকসব। ওই শ্যামল জলচ্ছল। করিডোর। ধানশীষ পাতা আছে। সহজ গণিতে এইবার আলো আসিবে, প্রায় হতচেতন। সিঁড়ি ভাঙিতে ঝুমঝুম, দুইখানি। অপেক্ষায়। উল্টেপাল্টে তাহাতে কিছু প্রভাত এবং সেই জল। দেখি, যাহা অপ্রত্যাশিত। সাদা নামিয়া আসিতেছে ঘুমের ফাঁকে। আলো হইতেছে, আলো-ই হইতেছে। ক্রমে সেই অতুল উড্ডয়ন, চড়াই, ধ্বংসের, ঘনীভূত নহে এমন। আমি ঘুমাই। উরুতে, স্তনে, অদ্বয়ে, ক্রমশ রক্তে 





১৯। দুয়ারেই ভাবনা। রাখিয়াছি। ভাবনা। দুয়ারে। সাদা। বহুদিন। তোমাকেও রাখিয়াছি সেইদিন। মৃত্যু দেখিয়াছ। সাদা অথচ কোন মুখোশ নাই। কেবল একজন পুরোহিত অঙ্ক করে। বুঝি না। দেখি, তাহার কপালে বহুতর সাদা। ওই শৈশবেই প্রভূত আপত্তি ছিল। উহাতে। কিন্তু ওই বাক্স! পরিত্রাণের শুঁড়িপথগুলি জানা ছিল না! ফলত এ যাবতীয় যাপনে দুয়ারকে জুতা দিই। আদর দিই। অপারেই রাখি তোমাকে, উহাকে, আজীবনের রক্তটুকু 





২০। একটি পাতা নামিয়া আসিল। রাত্রে। অভ্যন্তরে কোন দুঃখ নাই। মনে পড়ে? পাতা নামিয়া আসিল। যেরূপ এই আমি। যেরূপ ওই তুমি। নক্ষত্রপতনের মতন এইসব। ধুলো স্নাত হইল। বাতাস আর্দ্র। এবং এইরূপ হওয়ার মধ্যেই জন্ম আরেক দৃশ্যের। আমি ওষ্ঠে খুঁজি সেই জল, জানুসন্ধিতে, চোখে, বহমান রক্তে, অপারের এপাড় ওপাড়ে
----------------------




প্রশান্ত গুহমজুমদার

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন