প্রজাপতির ডানা

চার দশক প্রায় বুঝেছি, অবশেষে শান্তি গুলো ঘুমিয়ে আছে - প্রজাপতির ডানায় ঝাউয়ের পাতায়  ধসের নীচে।
সমস্ত কান্নাকে করতলে নিয়েছি, পবিত্র বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবে বলে।
ভয়ানক ইচ্ছে করে তোমার হাত দুটো চেপে ধরি। স্নায়ুতন্ত্রে বয়ে যাক ঠান্ডা রক্ত।
সেই মুহুর্তে মাসকলাইয়ের মাঠ কচি কলমিলতা আমার কবিতার চামড়া ছিঁড়ে প্রসাধন নষ্ট করে দেয়।
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা রক্তাক্ত স্ফটিক!
কি আশ্চর্য লাউমাচায় কাঠবিড়ালি দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে, এতো জ্বালা জুড়োবে কে!
চ্যাপলিনের মতো সমস্ত কান্না গিলে নিচ্ছি বদলে যাচ্ছে কবিতার নাম।
বাদামি চুলের ঋতুমতী নারী বসে আছে শ্বেত মুর্তির নীচে।
অসার আঙ্গুলে চিত্রশিল্পী এঁকে যায় মুখ , মুখের সৌন্দর্যে ফুটে ওঠে সনেটগুচ্ছ।
রাস্তা জুড়ে পড়ে আছে রোদ, সূর্য স্নাত আনন্দ - বিহ্বলতার উৎস জোছনা খোঁজে।  হাজার বছর ধরে খুঁজছে ছায়া-প্রেমিকের আলো।

অশ্রু কেনো নুনের মতো হয়! কেনো কাটে না  দুর্দশার দশা!
কেনো গলায় আসে না গান!
চোখ নরম রেখেছি বলেই হয়তো গাল বেয়ে নেমে আসে গলতে থাকা মোম।
আমাকে ঘুম দাও স্বপ্ন দাও আর একটা নৌকা।





প্রতিবিম্ব

বহু দিন পর শহর ঘুমল কাল।
আমিও পেরিয়ে গেলাম
চালচুলো হীন ইচ্ছে ঘরের চৌকাঠ ।
ধীর পায়ে এগোন আলেয়ার কফিনের দিকে
সব কথা জমে থাকে মমির ত্বকের  নীচে ।
এবার ডানা মেলো আমার জলপাই রঙা মন
তুলসী কাঠে সেজে ওঠো মিথ্যের প্রলেপে।

চেনা মুখগুলো আজ মুখ দেখে ঘষা কাচে;
কাব্য আড়াল খোঁজে মায়া নদীটির  কাছে।
 




বক ধর্ম

বহু পথ পার হয়ে এসে শেষে পেয়েছি বকের ডানা,
উড়ে যাবো উড়ে যাবো এ জীবন ছেড়ে
এই মাঠ ঘাট বিল------
যতটা প্রয়োজন তার ঢেরগুন টানা অজানা রয়ে যায় সবই।
ঝুপ ঝুপ অন্ধকারে ঝুম মেরে বসে আছে বক
ধর্মের সারস মুখে এঁটেছে কুলুপ, আমার হাত ধরো, চামড়ায় স্পর্শকাতরতা লজ্জা ঘৃণা ভয়, বকেরা সাহস দিলে হতে পারি নশ্বর- হা ঈশ্বর ধর্মের ডানা ছিঁড়ে খায় মাকড়
আমি আর বক ডানা মেলে উড়ে যাবো সব মোহ ফেলে।






সুচরিতা চক্রবর্তী


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন