প্রজাপতির ডানা
চার দশক প্রায় বুঝেছি, অবশেষে শান্তি গুলো ঘুমিয়ে আছে - প্রজাপতির ডানায় ঝাউয়ের পাতায় ধসের নীচে।
সমস্ত কান্নাকে করতলে নিয়েছি, পবিত্র বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবে বলে।
ভয়ানক ইচ্ছে করে তোমার হাত দুটো চেপে ধরি। স্নায়ুতন্ত্রে বয়ে যাক ঠান্ডা রক্ত।
সেই মুহুর্তে মাসকলাইয়ের মাঠ কচি কলমিলতা আমার কবিতার চামড়া ছিঁড়ে প্রসাধন নষ্ট করে দেয়।
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা রক্তাক্ত স্ফটিক!
কি আশ্চর্য লাউমাচায় কাঠবিড়ালি দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে, এতো জ্বালা জুড়োবে কে!
চ্যাপলিনের মতো সমস্ত কান্না গিলে নিচ্ছি বদলে যাচ্ছে কবিতার নাম।
বাদামি চুলের ঋতুমতী নারী বসে আছে শ্বেত মুর্তির নীচে।
অসার আঙ্গুলে চিত্রশিল্পী এঁকে যায় মুখ , মুখের সৌন্দর্যে ফুটে ওঠে সনেটগুচ্ছ।
রাস্তা জুড়ে পড়ে আছে রোদ, সূর্য স্নাত আনন্দ - বিহ্বলতার উৎস জোছনা খোঁজে। হাজার বছর ধরে খুঁজছে ছায়া-প্রেমিকের আলো।
অশ্রু কেনো নুনের মতো হয়! কেনো কাটে না দুর্দশার দশা!
কেনো গলায় আসে না গান!
চোখ নরম রেখেছি বলেই হয়তো গাল বেয়ে নেমে আসে গলতে থাকা মোম।
আমাকে ঘুম দাও স্বপ্ন দাও আর একটা নৌকা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন