সন্দীপ বিশ্বাস 








গুপিযন্ত্র

পারি আর না পারি
চেষ্টা করে দেখি ৩টি কবিতা 
সম্পাদকের বিজ্ঞাপন
ভিন্নরকম অন্যরকম- মানে কি
কি রকম ভিন্নরকম -কোন রকমের রকম ফের-
খুঁজতে তো থাকি
ভাবতে তো থাকি।  নদীতে ডুব
তলানে যাই। স্রোতের তোড়। বাপরে ঠেলা- 
ঠেলতে ঠেলতে মাইল পার
ভাসানে ভাসি। ভাটিতে যাই

 গুপিযন্ত্রে গমক

তাল শিখেছি সকালে
মরণ ঝোলে মগডালে

কেবল শিখি, শিখতে থাকি

রকমের অন্যরকম, ভিন্নরকম:ভিন্নতর 

জয় রাধে, বদন তোলো
গুড়ুক খাও

পারি আর না পারি ; ওই অন্তহীন






একটি নাটকের আধখানা

কবিতার ঘরে বক্ষে জরুল
সখী, কবিতার জন্যে এমন পংক্তি জরুরি নয়

এসব হয়েছে, পায়ে পায়ে
পায়ের পল্টন। কিছুটা এগনো গেল এবার

পায়ের তলা থেকে ভাপ আসছে, ধুলো উড়ছে

কিছু ঘটবে। ঘটাবে : সম্ভব
সাকুল্যে কয়েকটা হাততালি-তা-কি উস্কে দেওয়া

ভেঙে পড়ছে  চাঁদ। আমি তবলা বাজাচ্ছি

তাল ছন্দ: এসব দায়িত্ব আমার না
আমি একটা নাটকের আধখানা দেখেছিলাম
পুরোটা দেখার ইচ্ছে করিনা

কে আছ সুইচে আঙুল ছুঁয়ে
চাপ দাও
পর্দা সরে যাক

আলো আপনার মুখে
আপনি খন্ড বিখন্ড বিচিত্র। পরের পর পা

পা: তেজ চল্।








প্রতিশব্দ

হাজারো প্রতিশব্দ এসে
মুছিয়ে দিচ্ছে
মুখের কালঘাম। মুখে মুখে
বসিয়ে দিচ্ছে যত্ন। প্রতিলিপির কাছে
সে দাঁড়িয়ে। সে, 
প্রতির উৎস।

সন্দীপ বিশ্বাস

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন