বিমান কুমার মৈত্র
রোমন্থন
গেলে এভাবেই যেতে হয়
এইযে আমাকে ইশারা করছে
একটি আঁশপিঠের সিঁড়িঘর
এটা দিয়ে অনায়াসে
পৌঁছে যেতে পারি
সেই অমাবস্যায় গভীরে
ঠাকুর দালানের নিরাপদ গোপনীয়তায়
আমার প্রিয় মাছটির কাছে
বিলাসিনী মার্জারের চেয়েও
মধুর অন্তরঙ্গ যার সরণ-বিলাস
আমাকে শুদ্ধ করেছিল।
বিকেলে
পলিমাটির মতো রোদ্দুর
পড়তে শুরু করেছে
পৃথিবীর প্রাচীন চরায়
হলুদ গর্ভাধারে এক অনন্য
ক্ষেত্রজ সন্তানের কাছে
তোমার সাবলীলতায়
আমি শ্রদ্ধায় নতজানু হই।
সাধারণ সমীকরণ নও হে তুমি
নিস্তব্ধতার মাঝে এসপ্ল্যানেডে
বাতাসের তেইশ ডিগ্রী ওলন
হলে প্রান্তরের ঘাস-শীর্ষের
রুক্ষ-গভীর থেকে
উঠে আসে উদগ্র দুপুরের
দারুনিশা মরিচীকাগুলি
মাঝে মধ্যে প্রকৃতির সান্নিধ্য
বিরহ এবং বসন্ত সমাপতনের
অন্তর্গত ঝাপসা আকাশে
আমার বসন্ত সন্ধ্যা
পূর্ণতাগামী চাঁদের একটি
দ্বিঘাত সমীকরণের স্থিরচিত্র।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন