(ক) 
অলৌকিক রাস্তার দুটি নাটক
১) 
স্কুল যাওয়া-আসা-যাওয়ার পথে, 
কার্নিশে বাড়িতে গাছে রোদ পড়ে, 
ফেটে রাস্তায় গড়িয়ে যায়  ... । 
গর্তে গর্তে পড়ে আটকে থাকে --
বেরোতে পারে না;
মাঝে মাঝে গাড়ি ও পথচারীদের ছোবল 
খায়... ! 
প্রতি বছর তেইশ তারিখে, 
প্রাক্তনের '-তম' '-তম' জন্মদিনটা 
একঘেয়ে  যাওয়া-আসা-যাওয়া করে, ... 
রাস্তার কপালে কপালে বলিরেখা পড়ে,
চটি বদলে যায়! ... 
২) 
(খাটিয়ায় মরার ভূমিকায় অভিনয়।) ... 
ক্যামেরা  চলছে। ... 
ডিরেক্টর বললেন, 
'অ্যাকশন!' ...
মরার চোখ থেকে, দু'ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল--
'কাট!'
(খ) 
আছে কিন্তু নেই
যে মিছিলের মাদকতা পায়নি
সে কখনও একাকিত্বেও বিশ্বস্ত নয়। 
অমন নিঃশব্দ বিবেক চাই না--
সমাজের তাকে কোনো প্রয়োজন নেই। 
মানুষের এখন কোনো পোস্ট অফিস নেই, 
শুধু একটা মোবাইল আছে। 
তার কোনো এ্যারোপ্লেন নেই, 
কিন্তু হিল্লি-দিল্লি, কলকাতা-লন্ডন-
প্যারিস-নিউইয়র্ক যাওয়া আছে! 
তার কোনো বন্ধু নেই--
লাইক-করা অনেক ফ্রেন্ডস আছে! 
তার কোনো ভ্রমণ বা তীর্থযাত্রা নেই--
শুধুই ফ্রেমে ফ্রেমে আঙ্গুলে ভর দিয়ে
ঘোরাঘুরি আছে!
(গ) 
আলির অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া
শেষযজ্ঞে মৃতদেহকে অগ্নিদান করো, পুরুষ! 
এ তোমার পবিত্র উত্তরাধিকার--
শাস্ত্রীয় ও রাষ্ট্রিক !
পুরোহিত দোষ পেলেও, 
আগুন নাকি সব পুড়িয়ে খাটি করে--
মাটিও। 
প্ল্যনচেটে এসে মৃতদেহ নাকি কানাকানি করে বলে গেছে--
'আগুন  ব্যথা দেয় না-- পোড়ায়!
মাটিও, চাপা দেয় না--
দেহ, আত্মা --
সব সম্প্রদায়হীন আলি হয়ে যায়!'       
বিদ্র:
আলি(আরবি)=উদার,উন্নত,
অবাধ ও জ্বলজ্বলে(shining) ইত্যাদি।
(ঘ) 
ঋতু বদল
মোহিনী হাট থেকে মাদুর কিনে এনে,
নিকোনো উঠোনজুড়ে তা বিছিয়ে দিয়েছি। 
পাশে মধুগন্ধী হিমঝুরি, ঘুমে-ঢলা দিঘিও ছিল--
তবুও সে থাকল না! 
দীর্ঘস্থায়ী গ্ৰীষ্ম এসে গেল!
কৃষ্ণচতুর্দশীর চাঁদের দিকে তাকিয়ে, 
এখন কূলকিনারাহীন ভাবি--
আমার কী কোনো ত্রুটি ছিল!
  
  
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন