আস্তিক

একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম

রৌদ্রজ্বল দিনে আমি একা-
এমন দিনে আমি স্বনির্ভর পাখনার ওপর শুই
আর শরীরের আশপাশে বুনে দিই নির্মম জাল-

পরিবর্তে তুমি বলেছ আমি মাছেদের হত্যাকারী
তর্ক জুড়েছি আমি
বারবার বলতে চেয়েছি আমার একাকিত্বের কথা
আর ফাটল ধরাতে চেয়েছি ছাদের দরজায়-

জিজ্ঞাসা করেছিলে আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী কিনা-

আমি পকেটে হাত ঢুকিয়েছি
আর মুঠোয় তুলে এনেছি ছাদ ভিজে যাবার সমস্ত প্রমাণ... 






বিনিময় মূল্য

আমার কবিতার খাতায় আজ বেশরম ঘোর
ছিদ্রপথে দামী প্যারাসিটামল উপহারে চাইছি
নিদ্রামগ্নতার নাম দিয়েছি সবেমাত্র
কখনো সিঁড়ি ভাঙা ছায়া পেরিয়ে কবিতা ছাপার হুড়োহুড়ি।

প্রকাশক আমার চেনা
তাই কত সহজে রাস্তা বিক্রি করি চড়া দামে
পরিবর্তে আদায় করি নির্জনতার বিবিধ শর্ত-

আমি কি কবিতায় চুমু খাওয়ার কথা লিখি?
নাকি আয়নার কেন্দ্রবিন্দুতে নকল একাকিত্ব?
সবটাই পর্বভেদে অমরত্বের দাবী
আর যতিচিহ্নের গায়ে অবাঞ্ছিত পর্দা।

আমার কবিতায় অবশেষে রাত্রিনগ্ন প্রলাপের কথা
সবশেষে অপরাধের জবানবন্দি...
এবার প্রকাশিত হবে বলেই আশা করা যায়
বিনিময় মূল্যের কথা নাহয় পরে কখনো লিখব... 






শুয়োর

চড়ুইপাখির গায়ে শুয়োরের গন্ধ
আমার গায়ে বাল্মিকীর আত্মশ্লাঘা...

তখনও
উলবোনা চেহারায় ঘামের দাগ ঘিরে অযথা জটলা।
কার নামে অভিযোগ?
ল্যাংট চড়ুই নাকি স্বয়ংসম্পূর্ণ মালতি ফুল?

বিষবৃক্ষের গা ঘেঁষে আমার বাড়ি
তাই শুয়োর গোনার অভ্যাস পুরনো বহুদিনের। 





কৌশিক চক্রবর্ত্তী 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন