যা স্থল, যা জল
(১)
জন্মচিহ্ন এবং কিছু পালক।
বুকের বাঁদিক ঘেঁষে সোজা হাঁটার পর প্রথম ইউটার্নে যে বিশ্রামঘর...
গিজগিজে জোনাকি, অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহৃত স্থানের বহুমুখী প্রকল্প
এরপর,
দরজা খুলে রেখে যেদিকে ---
যেদিকে চলে গেলে শোনা যায় কানাকানি --গুঞ্জন
পুর্নবাসন এবং ...
অপেক্ষায় শিকড় ৷ কারাগারের আনাচেকানাচে দু'মুখো সাপ
বোবা রাতগুলোর হাহাকার
স্টিল ফোটোগ্রাফি আর স্টিমবাথ ---
প্রাচীন হাঁড়িকলসি, চালচুলোহীন আগুন কিংবা নিষিদ্ধ খেলনা...
হে জন্ম, নৃতাত্ত্বিক পাওনাদারকে অস্বীকার করব কোন অক্ষত সাহসে?
(২)
একটা দড়ি। সাদামাটা আশ্রয়, ইষ্টস্থান
এখনো হাঁটতে শেখেনি যারা তারা চওড়া বুক বিছিয়ে দিয়েছে ওখানে
যারা মাটি খোঁড়ার আগে ধুয়ে নিত মেঝের ধুলো,
তারাই নেমে আসছে তারাখসা দেখার আগ্রহে
ঘুঙুর পরতে আর বেশি দেরি নেই
মাছের বাজার থেকে নিয়মিত চালান হয়ে যেত যত অগুনতি গিঁট
তর্জনীতে দড়ি ঝুলিয়ে --- সেসব এখন নদীমুখ অসুখ
ঘরের পাশে ঘরবাড়ি। অথচ সকলে বসে আছে ধর্ণামঞ্চে
এখানে শীত নেই
কোথাও কোনো বসন্ত উৎসব নেই
দড়ি হোক বা বড়শিগাঁথা মাছের ঝোল
... বিবর্ণতাই সেই জরুরিকালীন প্রত্নস্থান
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন