উন্মাদ বেলুনের কক্ষপথ
ধনাত্মক হইহল্লা থেকে ঋণাত্মক নীরবতা
সবকিছুর মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে ঊরুখেকো জ্বরের
নাস্তিক ভাইরাস।
তারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বোকা বইপোকাগুলি
স্তনের অরুচি আঙুলের সঙ্গে শিহরনের সিরাপ
বিষয়ে কথা বলে না।
কথা না-বলুক ক্ষতি নেই। মেঘের রোদচশমার
প্রচ্ছদে যে সব রিমঝিম আছে, তা-ই
দিয়েই অনেকগুলো ফুলদানির ভ্রমরলীলা
কেনা যাবে।
স্লিভলেস রোদ্দুর। ঘরের এক কোণে সাদা
ব্লাউজের হাইব্রিড অভিমান। অন্যদিকে বাঁকাহাসির
গুপ্তরোগে আক্রান্ত বিছানার স্বরলিপি।
এখন যদি কমলালেবুর গান আর
সাইকেলের পথ-পিপাসাকে একই সমান্তরালে
রাখা হয়, তাহলে ঠিক
উন্মাদ বেলুনের কক্ষপথ জানা যাবে।
খচ্চরদের ইয়ার্কি
আমি আজ কচুপাতা ÷ শিশির = কীবলতে পারলাম না। ঠিক সেই কারণেই জল-ফড়িঙের
বিরহ ১০০ গুণ বেড়ে গেল।
আমি যে এ-ভাবে ব্যর্থ হবো, সে কথা
জোনাকিপোকার শিলালিপিতে লেখা নেই।
আজ আবার সেফটিপিনের বিরহ,
দখিনা-হাওয়া নিরক্ষর রোদচশমাকে অনুবাদ
করে শোনাল।
বোকা বাতাস জানেই না, এতে ফুলদানির
শীত-অধিবেশন পিছিয়ে যেতে পারে।
আমি বুঝতেই পারছি না, নেলকাটারের
মনখারাপ দিয়ে একটা কলম তৈরি করলে, সেই
কলমে কী ধনেপাতার ইয়ার্কি অনুবাদ করা
যাবে?
তোমাদের বলা হয়নি,
খচ্চরদের ইয়ার্কি নামে আমি যে গল্পটা
লেখেছি, সেই গল্পের খচ্চরগুলো এখন অনেক
দামি চেয়ার দখল করে নিচ্ছে...
হেমন্ত মুখার্জির গানের সিডি
১০ ফর্মার খিদে। পেটে বাঘ-কুমিরের যুদ্ধ
শুরু হয়েছে। বাড়িতে কিছুই নেই তাই রাগে আমি
জ্যামিতি বইটাই খেয়ে ফেললাম।
তারপরই লম্বা একটা ঘুম। ঘুম থেকে উঠে দেখছি,
আমার সারা গায়ে বৃত্ত সরলরেখা লম্ব আর
আয়তক্ষেত্র ফুটে উঠেছে।
ও-সব ঢাকতেই আমি একটা জামা পরে নিলাম।
আমার দুঃখ দেখে আমাদের বেড়ালটি
বলল, তুই একটা ইরেজার খেয়ে নে।
আমি ইরেজার খেতেই জ্যামিতির সব চিহ্ন উধাও।
গান জানি না বলে আমার অনেক দুঃখ আছে।
বুঝতে পারছি, দুঃখের দিন শেষ।
এবার খিদে পেলেই, আমি একটা হেমন্ত মুখার্জির
গানের সিডি খেয়ে নেব।
ফেলে বসে আছি, একটা জাদুবাস্তব কবিতা
ধরব বলে।
ভয় হচ্ছে,
প্রথমেই যদি কানা-বেগুনের ভক্তিযোগ
ফুলকপির দিনলিপি অথবা আনারসের আঁতলেমি
উঠে আসে তখন কী করব?
আমি ভালোভাবেই লক্ষ্য করছি,
সাদা-কাগজ থেকে উঠে এসে কয়েকটা
কিশোরী বুদবুদ, আমার লালসাকে উসকে দিচ্ছে।
আমি কলমের ডগায় টোপ হিসাবে
টম্যাটোর রূপচর্চা মাছরাঙার হাইকু অথবা
নীলশাড়ির গৌরাঙ্গলীলার বদলে গেথে দিচ্ছি
১০ ফর্মার প্রতীক্ষা।
অন্ধকার নামছে,
ডায়েরি বন্ধ করে রাখলাম। অন্ধকারে কবিতা
লিখলে মাংসের দাম বেড়ে যেতে পারে।
ইউরিনের নোনা গন্ধ আমার নাকে ' হে রাম '
ছড়িয়ে দিল।
হালকা হবার পরই আমি দেখলাম,
উত্তর দক্ষিণ পুব পশ্চিম সব দেয়ালেই লেখা
ঝলসানো হৃৎপিণ্ডের তীব্র শরীর-পিপাসা।
আমি গুণে-গুণে দেখলাম ৬৪টা শ্লোক।
কে কাকে না-পেলে মরে যাবে,
কে কার গর্ভে ২১টি সন্তান দিতে চায়,
কে কাকে নিয়ে চলে যেতে চায় দিঘার হলিডেহোমে,
কে কার ঊরুতে মুখ গুঁজে অমর হতে চায়,
সবই লেখা ভুল বানানে।
আজ-ও লাল নীল হলদে সবুজ লিপস্টিক
জানতেই পারল না, ওরা যখন ঘুমের ভিতর
তারাদের সঙ্গে কথা বলে,
ঠিক তখনই কিছু অসহায় শরীর জ্বলতে-জ্বলতে
ছাই হয়ে যায়...
শুরু হয়েছে। বাড়িতে কিছুই নেই তাই রাগে আমি
জ্যামিতি বইটাই খেয়ে ফেললাম।
তারপরই লম্বা একটা ঘুম। ঘুম থেকে উঠে দেখছি,
আমার সারা গায়ে বৃত্ত সরলরেখা লম্ব আর
আয়তক্ষেত্র ফুটে উঠেছে।
ও-সব ঢাকতেই আমি একটা জামা পরে নিলাম।
আমার দুঃখ দেখে আমাদের বেড়ালটি
বলল, তুই একটা ইরেজার খেয়ে নে।
আমি ইরেজার খেতেই জ্যামিতির সব চিহ্ন উধাও।
গান জানি না বলে আমার অনেক দুঃখ আছে।
বুঝতে পারছি, দুঃখের দিন শেষ।
এবার খিদে পেলেই, আমি একটা হেমন্ত মুখার্জির
গানের সিডি খেয়ে নেব।
জাদুবাস্তব কবিতা
আমি ডায়েরির ওপর কলমের ছিপফেলে বসে আছি, একটা জাদুবাস্তব কবিতা
ধরব বলে।
ভয় হচ্ছে,
প্রথমেই যদি কানা-বেগুনের ভক্তিযোগ
ফুলকপির দিনলিপি অথবা আনারসের আঁতলেমি
উঠে আসে তখন কী করব?
আমি ভালোভাবেই লক্ষ্য করছি,
সাদা-কাগজ থেকে উঠে এসে কয়েকটা
কিশোরী বুদবুদ, আমার লালসাকে উসকে দিচ্ছে।
আমি কলমের ডগায় টোপ হিসাবে
টম্যাটোর রূপচর্চা মাছরাঙার হাইকু অথবা
নীলশাড়ির গৌরাঙ্গলীলার বদলে গেথে দিচ্ছি
১০ ফর্মার প্রতীক্ষা।
অন্ধকার নামছে,
ডায়েরি বন্ধ করে রাখলাম। অন্ধকারে কবিতা
লিখলে মাংসের দাম বেড়ে যেতে পারে।
পাবলিক ইউরিন্যালের দেয়ালে লেখা শ্লোক
রহস্যময় গুহাটিতে ঢুকে যাবার পরইইউরিনের নোনা গন্ধ আমার নাকে ' হে রাম '
ছড়িয়ে দিল।
হালকা হবার পরই আমি দেখলাম,
উত্তর দক্ষিণ পুব পশ্চিম সব দেয়ালেই লেখা
ঝলসানো হৃৎপিণ্ডের তীব্র শরীর-পিপাসা।
আমি গুণে-গুণে দেখলাম ৬৪টা শ্লোক।
কে কাকে না-পেলে মরে যাবে,
কে কার গর্ভে ২১টি সন্তান দিতে চায়,
কে কাকে নিয়ে চলে যেতে চায় দিঘার হলিডেহোমে,
কে কার ঊরুতে মুখ গুঁজে অমর হতে চায়,
সবই লেখা ভুল বানানে।
আজ-ও লাল নীল হলদে সবুজ লিপস্টিক
জানতেই পারল না, ওরা যখন ঘুমের ভিতর
তারাদের সঙ্গে কথা বলে,
ঠিক তখনই কিছু অসহায় শরীর জ্বলতে-জ্বলতে
ছাই হয়ে যায়...
প্রিয় মৎস্যাবতার
আপনার ফোন পেয়ে মনটা ভেঙে৯০ টুকরো হয়ে গেল।
প্রিয় মৎস্যাবতার,
সম্রাট অশোক আপনাকে যে ধূপদানিটি উপহার
দিয়েছিলেন,সেটা চুরি হয়ে গেছে শুনে
খারাপ লাগছে।
ব্যাপারটা সত্যিই খুব দুঃখের।
কিন্তু প্লিজ আপনি হতাশ হবেন না।
আপনার কাছে এখনো
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের দেওয়া একটা বন্দুক
মেগাস্থিনিসের দেওয়া একটা অ্যাশট্রে,
ক্লিওপেট্রার দেওয়া একটা মদের গ্লাস আর
কলম্বাসের দেওয়া একটা দূরবিন আছে।
আমার কী আছে বলুন,
সত্যিই যদি গর্ব করার মতো আমার কিছু থাকে
তা শুধু একটা ধর্মনিরপেক্ষ
টুথব্রাশ।
আমি জানি আপনি
ট্রয়ের হেলেনের দেওয়া কফি-কাপে কফি খান,
ভ্যানগগের দেওয়া সাবান মেখে স্নান করেন,
মার্কোপোলোর দেওয়া চিরুনিতে চুল আঁচড়ান,
হোমারের দেওয়া ওডিসি পড়েন।
এ-সবই আপনি আমাকে বলেছিলেন ফুটপাতে
দাঁড়িয়ে।
আমি সামান্য মানুষ আমার কথা জেনে আপনার
কী হবে? আর কেন-ই-বা ফোন করে জানতে
চাইছেন, এখন কী করছি ?
প্রিয় মৎসাবতার,
মিথ্যা বলার আমার অভ্যাস নেই। তাই লোম ওঠা বেড়ালের দিব্যি বলছি,
আমি এখন মহম্মদ বিন তুঘলকের দেওয়া
সোনার পাথরবাটিতে কাঁঠালের আমসত্ত্ব খাচ্ছি...
বিড়িখোরের পার্লামেন্ট
আমার বন্ধু গোপাল সিগারেটের উপাসক।বিড়িখোরের পার্লামেন্ট তাঁকে জানিয়ে দিল,ঠোঁটে
বিড়ি না রাখলে সদস্যপদ রাখা যাবে না।
সে বিড়িতে নেমে এল,
তারপর থেকেই তাঁর প্রতিটি লোমকূপ থেকে
বেরিয়ে আসছে,
আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে।
বিড়ির দাম কম।
অথচ মগজের জং খুলে দেওয়ার ওস্তাদ।
আর শরীরে কী বেপরোয়া ভাব আনে।
বিড়িখোরের পার্লামেন্টর সব সদস্যই বেকার।
ওদের সামর্থ নেই,
টেবিলের তলা দিয়ে রং-বেরঙের কাগজ
পৌঁছে দেবার।
ওরা এই পার্লামেন্ট এসেই শিখেছে
নাক দিয়ে ধোঁয়া ছাড়া ধোঁয়ার বৃত্ত ওড়ানো
ধোঁয়া গেলা।
এখানে ওরা কিছু স্ল্যাং-ও শিখেছে।
আমার বারবারই মনে হয়,
যেদিন গোপাল এই পার্লামেন্ট থেকে বেরিয়ে
আসবে,সেদিন মা-যশোদা তাঁকে সাজিয়ে
দেবেন বিরিয়ানি ভোগ।
সাদা-ব্লাউজের একাকিত্ব
বেড়াল পোষার নিট লাভনখের আঁচড়। আমার একটা বেড়ালিনী আছে।
আমি ওর নখ কেটে দিই। শ্যাম্পু মাখিয়ে স্নান করাই।
ঠোঁটে লিপস্টিক আর নখে নেলপালিশ লাগিয়ে
ফিশফিশ করে বলি,
তুই আমার মিস্ ইউনিভার্স।
আজ সকালে বইপোকারা বলল, তুই ওকে
একটা সানগ্লাস কিনে না দিলে কিছুতেই ওর লোমের
দিব্যতা অনুভব করতে পারবি না।
আমি হলদে চাঁপার সাদা গন্ধ থেকেই জেনেছি,
জ্যোৎস্না দেখে যাদের আঙুলে সাইরেন বাজে
তারাই শুধু কটাক্ষের ভাষা জানে।
আমি এখনো বাংলাটাই ভালোভাবে শিখতে
পারিনি, তাহলে কীভাবে রাক্ষসের হইহল্লার ভিতর
সাদা-ব্লাউজের একাকিত্ব অনুবাদ করব?
গৌরাঙ্গলীলার বিবেকের গান
শীতের বুকে গ্রীষ্মের ট্যাটু দেখে বুঝতেপারছি, এবার এক-ভাঁড় গোপাল ভাঁড়ের
ইয়ার্কি মাখানো চা গুরুত্ব হারাবে।
কিন্তু তাতে কি ইডিয়টদের দংশন উপাসনা
বন্ধ হবে?
কাগজের লন্ঠন আলো দিতে পারে না,
এ-কথা যেমন সত্যি,ঠিক তেমনই সত্যি,কাটলেট
কিশোরেরা লিপস্টিক মাখা ঠোঁটে আড়বাঁশির
সুর হয়ে উঠছে।
জোনাকির LAW AND ORDER
BPL তালিকাভুক্ত মৌরিফুলগুলিকে কতটা
প্রভাবিত করে,
অথবা সিগারেটের ধোঁয়া-নৌকো কতটা গণতান্ত্রিক,
এ-বিষয়ে প্রশ্ন তোলার আগে, আমি বুঝতে পারছি,
পথ খেকো ক্ষুধার্ত সাইকেলের ঘন্টা,
টম্যাটোর অষ্ট-সখীর ঘুম ভাঙিয়ে দিচ্ছে,
তবু এ-কথা নিশ্চিত গৌরাঙ্গলীলার বিবেকের গান
আঁশবঁটির কাছে পৌঁছবে না...
ঘুষখোর মনখারাপ
অধর্ম-সভার বিদূসকের সঙ্গে দ্যাখা।বললেন, এই শীতে ৩ পেগ বাঘিনি আর ২টো
রানিহাঁস-ই বেঁচে থাকার একমাত্র ওষধি।
আমি বুঝতে পারি না
জবাফুলের ভক্তিযোগ নিয়ে কথা বললে
১০ ডিজিটের কটাক্ষগুলি কেন রাধানামের প্রেম
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়,
আর কেন-ই-বা জ্যোৎস্নার কন্ট্রোলরুম থেকে
জোনাকিদের জানিয়ে দেওয়া হয়, সামনেই
অমাবস্যা, অতএব কারো নাভিতে মৃগনাভি
না খুঁজে আস্তে উড়ুন।
যাঁরা কমলালেবুর সাইরেন শুনতে পায় না,
তাঁরা কীভাবে জানবে,
শয়তান IN ঈশ্বর OUT লাইনটির তাৎপর্য। আর
কীভাবে-ই-বা অনুবাদ করবে আইবুড়ো আয়নার
স্বপ্নদোষ।
ব্ল্যাকহোলের হোলস্কোয়ার বিষয়ে আমার আগ্রহ
নেই। আমি শুধু জানতে চাইছি, কেন বিছানায় ওত
পেতে থাকে ঘুষখোর মনখারাপ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন