অর্জুন দাস-এর দুটি কবিতা
অসমীয়া থেকে বাংলা অনুবাদ সপ্তর্ষি বর্ধন
জীবনানন্দের শেষ মৃত্যুদৃশ্য
জীবনানন্দের শেষ চিৎকারটা
রাজপথে আছাড় খেয়ে পড়ে রইল না ।
অজস্র কোলাহলও ঢেকে রাখতে পারল না ।
একদিন দুদিন করে
সাতদিন অবধি চিৎকারটা
শহরটার অলি - গলি বিচরণ করল।
রক্তাক্ত চিৎকারটা একটু পরে শোবার জন্য
নষ্ট হওয়া একটা ক্যানভাসও পেলো না ।
অর্ধেক লেখা উপন্যাসের খাতাটাও
পুরনো বাক্সের ভেতরে থাকলো।
উন্মাদ ও বিষাদগ্ৰস্ত ট্রামটাতেও তো
একটুও জায়গা খালি নেই ।
সাতদিন, সাত রাতের পরে
ছটফট করতে থাকা সূর্যটাও
তার বুকে নিরালায় শুতে দিলো।।
রাজপথে আছাড় খেয়ে পড়ে রইল না ।
অজস্র কোলাহলও ঢেকে রাখতে পারল না ।
একদিন দুদিন করে
সাতদিন অবধি চিৎকারটা
শহরটার অলি - গলি বিচরণ করল।
রক্তাক্ত চিৎকারটা একটু পরে শোবার জন্য
নষ্ট হওয়া একটা ক্যানভাসও পেলো না ।
অর্ধেক লেখা উপন্যাসের খাতাটাও
পুরনো বাক্সের ভেতরে থাকলো।
উন্মাদ ও বিষাদগ্ৰস্ত ট্রামটাতেও তো
একটুও জায়গা খালি নেই ।
সাতদিন, সাত রাতের পরে
ছটফট করতে থাকা সূর্যটাও
তার বুকে নিরালায় শুতে দিলো।।
জন্ম আর মৃত্যুর মাঝে থেকে
অন্ধকার একটা ঝুপড়িতে
আমি পুনর্বার জন্ম নিতে গেছিলাম ।
অরণ্যের বুড়ো অশ্বত্থ গাছটা
আমার দিকে তাকিয়ে হেসেছিল ।
আমি সেখানে একটুও থেমে থাকিনি
সেই হাসি আর সহানুভূতি আমি সম্পূর্ণ
অবজ্ঞা করে ছিলাম ।
অন্ধকারের প্রতি এতো মোহ
যে আমি আলোর সব উৎসকে
ভুলে গেছিলাম ।
আর অন্ধকারের প্রাচীন গর্ভে
নিজেকে সঁপে দিয়ে ছিলাম ।
জন্ম আর মৃত্যুর মাঝের অন্ধকারটা
মাতৃগর্ভের অন্ধকারের চেয়েও গভীর ।।
আমি পুনর্বার জন্ম নিতে গেছিলাম ।
অরণ্যের বুড়ো অশ্বত্থ গাছটা
আমার দিকে তাকিয়ে হেসেছিল ।
আমি সেখানে একটুও থেমে থাকিনি
সেই হাসি আর সহানুভূতি আমি সম্পূর্ণ
অবজ্ঞা করে ছিলাম ।
অন্ধকারের প্রতি এতো মোহ
যে আমি আলোর সব উৎসকে
ভুলে গেছিলাম ।
আর অন্ধকারের প্রাচীন গর্ভে
নিজেকে সঁপে দিয়ে ছিলাম ।
জন্ম আর মৃত্যুর মাঝের অন্ধকারটা
মাতৃগর্ভের অন্ধকারের চেয়েও গভীর ।।
সপ্তর্ষি বর্ধন
সপ্তর্ষি বর্ধন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর কেরেছন। এবং বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কালনা কেলেজ বিএড করেছন। তার আগ্রহের বিষয় অনুবাদ এবং অসমীয়া ভাষা ও সাহিত্য। তিনি বহু অসমীয়া পত্র পত্রিকায় নিয়মিত অনুবাদ করেন।
(অসমীয়া থেকে বাংলা অনুবাদ)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন