(অলংকরণ: বিপ্লব দত্ত)






রক্তচাপের ঘোড়া ও মন্দাক্রান্তা নারীদের ডিম্বক সমগ্র

৫৭.৫ ডিগ্রির উত্তর অক্ষাংশের দিকে মুখ করে থাকা পিচ্ছিল হাতগুলোতেই জমাট বরফ আর কিছু ফেরোসো ফেরিক অক্সাইডের রক্তাল্পতাহীন দ্রাব্যতাময় পাথরকুচি ফুল গজিয়ে উড়ছে

আমার শরীরের মতো এত ব্রহ্মতেজী ঘোড়া ও রেডিয়ামের দক্ষিণ ডানায় ভেসে থাকা উপগ্রহের পৃথিবী আমাদের মাথার উপরে তৃতীয়বার শিবালিক সংগীত শিখিয়ে যাচ্ছে মন্দাক্রান্তা নারী অমরাবতী , অদিতি , বিতস্তা স্বরলিপির সাংখ্যমান দিয়ে
ব্রহ্মপুত্রেরা বারবার ঘুরপাক খায় বুক বিদীর্ণ করা অসংখ্য ভ্রুণ পুরুষদের পঞ্চম বারের জন্য জন্ম দিবে বলে, জানু ফেটে বেরিয়ে আসা ভ্রুণেরা কেমন লাল রজনীগন্ধার ভেতর অশৌচ ক্রিয়াপদ হয়ে যাচ্ছে

আসলে কোন মানুষের আলাদা করে যৌনাঙ্গ থাকে না , 
মাথার কুঠুরির ভেতরের নীল কাগজে মোড়া যে সিস্টাইটিস সজনে গাছের আঠাগুলো লেগে থাকে তার নিচে এক একটি সুদৃশ্য রঙের যৌনাঙ্গ সাজানো থাকে পলিসিস্টিক বইয়ের তাকের মতো  ,
আয়না জানে আয়নার নিচেই ৫৫৭ ডিগ্রী উষ্ণতার উত্তপ্ত এক গ্লাস আকরিক গলানো আগুন আজ মধ্যরাতে হাঁটতে হাঁটতে লৌহ কণিকার সংকেত শিখে নেয় ফেনোটাইপ শ্যাওলা দিয়ে ,
আমাদের তখন কোন বিসর্গ সন্ধির অযৌন সর্পগন্ধা গাছ নেই যারা শুধু পিচ্ছিল সঙ্গম সেরে আসার পর অধাতব পৃথিবীর শিরদাঁড়া কুরে কুরে খায় যক্ষ্মা পোকার মত


এ পৃথিবীর সকলে আত্মহত্যাকামী ,  সারারাত উল্টানো শামুকের মত ঘুমিয়ে থাকার পর ভোররাতে স্যাভলন কাগজ ফুলের নিশাচরেরা টেবিলের কোলে বসে রজনীগন্ধা চিবিয়ে চিবিয়ে রক্ত বমি করে দেয়
আমার জন্ম ও মৃত্যুর জন্য পৃথিবীর দুইজন ইজাকুলেশন মানুষ দায়ী





যৌগিক বিছানার উপসর্গ ও প্রত্নতাত্ত্বিক যুধিষ্ঠির

হলুদ গোলানো জলের নিচে যেভাবে ব্রহ্মাস্ত্র লুকিয়ে রাখি ঠিক তেমনি মালি পুকুরে এসে বসলেই কিছু অ্যালকোহলিক মানুষ , শ্মশানের তৃতীয় কুড়ি পদ্ম , অবৈধ নদী ,  আর কিছু যৌনাঙ্গ বিষয়ক রতি রোগের লাল হয়ে যাওয়া বিশুদ্ধ উদ্ভিদ গুলোই আমাকে জড়িয়ে ধরে অঙ্কুরোদগমহীন তৃতীয় শর্তের কম্পাঙ্ক হিসেবে


আয়নার ভেতরে থাকা অসদবিম্বের নৌকাগুলোই বারবার রাতের মাংসাশী খাদক হিসেবেই নেমে আসে , আমাদের আর জটিল সাংখ্যমান নেই , জরুলতন্ত্র নেই  , সমাঙ্গ চোখের কাছে  নীল ঘোড়ারা আপেল বৃত্তের মতো উলঙ্গ একটা ছায়া নিজের ছায়াকেই ভক্ষণ করে ব্রহ্মমন্ডলে দাঁড়িয়ে
কাঁচ ফলের মতো নির্ণীয়মান গুণিতক সংখ্যাগুলো ঝুলে আছে বৈসাদৃশ্য শিবালিক পাহাড়ের দুর্গন্ধময় কোন ভঙ্গিল পর্বতের বিভাজিকা থেকে

মৃত্যুর পর যে বরফ জমে ওঠে আমিই তাদের মতো সাইক্রিয়াটিক ,  উপসর্গের নীল বৃত্তচাপের তীরন্দাজ ও  ,
এইমাত্র নেমে যাবো কোন এক যৌগিকহীন মহাপ্রস্থান রথ চক্রের উপর , কোন কোন গোলাপি পুরুষ নিজের বিছানার উপর দাঁড়িয়ে কারসিনেমার কবিতা গুলো পড়ে দিচ্ছে আগুনের মতো পিচ্ছিল আঙ্গুলগুলোকে জড়ো করি শুকনো পাতার সাথে গুঁড়ো করে উনুনের মুখে ঢুকিয়ে দেবো বলে  ,
গোলাপী ঘন্টা বেজে উঠবে প্রত্নতাত্ত্বিক যুধিষ্ঠিরের জন্য ,

কুরুক্ষেত্রের মাঠে পৃথিবীর গলনাঙ্কহীন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা শরীরের ছিন্ন ভিন্ন দেহগুলোকে উড়িয়ে দিচ্ছে  মৃত শ্মশান বন্ধুদের পালকের মতো , বারবার জ্যামিতিক নদীর কথা ভাবি চতুর্থ অলিন্দ খন্ডে দাঁড়িয়ে , বৃষ্টি এসেছিল নিরাভরণ বৃষ্টির মত ঈশ্বরকে কতবার আগুনের মতো পিচ্ছিল করে গেছি একাকী


শাচর নৌকা ও বিদূষক নারীদের মধ্যমা



তলপেটহীন কোন নৌকার কাছে আসলেই জাহাজও কখনো কখনো তার সর্পগন্ধা পোশাক খুলে রেখে যেতে ভালবাসে ,


ঈশ্বরী আমাকে কোন হিমালয় আবাসনে চৈতন্য দৈর্ঘ্যের দীর্ঘ বাহু মেলে দিয়ে বরফময় করে দিচ্ছে গাণিতিক মধ্যমা দিয়ে
৬১ ডিগ্রীর তাপমাত্রার নিপুন জলাধারে নেমে গলে যাওয়া ঠোঁট নিয়ে লালাময় পানিথরের পুরুষেরা শ্মশানের নীল মাংস খণ্ডক পাখির দেহ বানাচ্ছে , পৃথিবীর জ্বর হলে কোন দৈত্য কখনো কখনো ত্রিশূল গুঁড়ো ভক্ষণ করে আম্রপালি নারীদের মতো
আমাদের শরীর জুড়ে তখন হিলিয়াম জ্বরের এক বৈষ্ণবী শীতের অবৈধ অসুখের পদাবলী পড়ছে , 

ভাস্কর চন্দ্র পুরোহিত তামার একটি কৃত্রিম নৌকায় মুদ্রাদোষের সব পুরুষদের আহ্বান করছেন জলৌষ্ণি মন্ত্রে ,
চন্দ্রালোকিত অবতল প্রতিবিম্বের মতো আমাদের স্বরযন্ত্রের অসুখ নিয়ে বারবার মোমবাতি হতে চাইছে কোন রাতের নির্জন অন্ধকার উপবৃত্তের নৃশংস নিশাচর
দুপুর শ্মশানের কোন নিজস্ব ঘনত্ব নেই
উভয়লিঙ্গ √ ৩৪ দৈর্ঘ্যের বিভাজিকাহীন নাবিকেরা নৃতত্ত্ব জলাশয়ে নেমে অবিভাজিত আশ্রমিক পরমাত্মাদের কামধেনুর মুখগহ্বর থেকে টেনে বের করে আনবে


রক্তের কোন নিজস্ব আয়ু নেই বলে আমি নিজের মতো আরও একটা ছায়াপথকে হত্যা করেছি গতকাল মধ্যাহ্নভোজন পর্বে ,  তিনটি মানুষ গোলাকার চন্দ্রবোড়ার মতো চোখ নিয়ে অবৈধ পিপাসা মিটিয়ে নিচ্ছে তরুক্ষীর ,  মদন , বাসুকি ও  চিরহরিৎ সাপের লালা ঔরস
ক্রোমোজোমের নীল মানুষেরা নখ বের করে শ্বেতাঙ্গ মাটি খাচ্ছে
 




নিমাই চাঁদ জানা 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন