আ্যকিউট ডিমেনশিয়া
মাথায় ঘুসি মেরে চাণক্য বললো, এখানে। এখানেই গন্ডগোল। যেন কেউ ভেতরের সব কিছু মুছে দিচ্ছে। আমি গভীর রাতে মাথার মধ্যে ঘুণ পোকার পায়ের শব্দ টের পাই।
নন্দিতা লক্ষ্য করেছে। কিন্ত বুঝতে পারেনা কেন মনে হয় চানক্য ক্রমশই বদলে যাচ্ছে। বারবারই চানক্য নন্দিতাকে বলে তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে। নন্দিতা বাড়ীতে বলতে বলে। আবার হাঁটতে থাকে চানক্য।
কোথায় চলেছ?
তোমার কাছে।
আমি কে?
যার কাছে 'আমি' র বাসভূমি। তাকে খুঁজে পাইনা
কড়া নাড়ার আওয়াজ। আনন্দ অবাক হয়। চানক্য বলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চল্।
এত রাতে? বাড়ীতে কি বলছে?
বলছে ভীমরতি ধরেছে।
আর নন্দিতা?
উদাস।
এটা আনন্দও লক্ষ্য করেছে। আনন্দ চিরকালের বন্ধু। সে তাঁকে নিয়ে এল।
দাদারা বলল, উটকো ঝামেলা। চানক্য ওপরে উঠে গেল। শুধু মা চোখের জল মুছে বললেন, আনন্দ নন্দিতাকে একবার পাঠিয়ে দিওনা। দেখছো তো যা করার আমাদেরই করতে হবে। মাসীমাকে সান্তনা দিয়ে আনন্দ ফিরে গেল।
আনন্দ নন্দিতাকে বলেছিল। একদিন গিয়েওছিলো সে। চানক্য কথা বলেনি, হাতটা চেপে ধরেছিল। নন্দিতা সেখানে অজানা আতঙ্কের এক পাশবিক গন্ধ পেয়েছিল। আবার আসব বলে নন্দিতা আর আসেনি। মুছে ফেলেছিল সব।
তারপর পায়ের শব্দ হয়।
শব্দটা সিঁড়িভাঙা অংকের।।
বিমাান কুমার মৈত্র
রবিবার, 04/12/22 । বোড়াল
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন