পাঠ
আসলে এই তুলোপোড়াগন্ধির কোলাহলে
খানিক গুটিয়ে রেখেছি ভবদেশীয় হাট
বারুদ পথে কাম নেই এখন
শব্দ আর নির্জন পাঠে
শুধুমাত্র খুনের গল্প ---
জীবনের
কিংবা
বিরতির মনোবাঞ্ছা
শৈল্পিক
পুনরায় ঘড়ির ভেতর শিল্পায়ন ঘটলে
অভিজ্ঞতা বলে বসবে
দাঁড়টানার ক্রোধ না থাকার কথা
অথচ টানা দাঁড়ির
ধ্যানরত স্পেস
মাঝেমধ্যে সঞ্চার ঘটবে শীতল হাওয়ার
এটুকুই ক্ষমাহীন জীবিত আখ্যান
শৈলেশ্বর যার মাথায়...
আরোগ্য
প্রতিটা ধ্যানযোগ আরোগ্যলাভের তথাগত হবে
জানলার নির্মাণ যখন দক্ষিণ পদাবলির সঞ্চয়
একথা বোধহয় জেনেছিল ঝিনুক
গভীরতা বুঝে জীবন পুঁতে দেয় বালির সাধনভূমিতে
ওই দূরে হাওয়ার পাঠশালায়
নেচে উঠছে পর্দার ভাঁজ
আর একটি টিকটিকি দেয়াল বাইছে
তবে লেজটির প্রতিক্রিয়ায় মার্ডার না হয়ে যায়
--স্বচ্ছ কাচ
বটের পালাগান
ককাটেলের ডানার ভেতর
পুষিয়ে গিয়েছে কি আমার শান্ত দীঘিটি?
আসলে তাকে পোষ্য করে
বিলিয়ে দিচ্ছিলাম জলপ্রপাতের সুর
আর কেন্দ্রভূমিতে
পৌঁছে যাচ্ছে মোকাম তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম
হ্যাঁ, হ্যাঁ, এখানেই...
এখানেই তো এবার শুরু হবে
বটের পালাগান
আপনজন
যব যব সন্ধেকে পাওয়া যায় বাক্যবিনিময়ে
সেতুগ্রন্থ খুলে বেরিয়ে আসে বাতাসসূত্র
অনেক আগে সাঁড়াশি আর শামিয়ানার বন্ধুত্ব নিয়ে
নেত্রজল বসেছিল রিসার্চ সেন্টারে
পুরুষ্টু চামড়া... তাই সুঁইধাগা প্রসঙ্গে
জুড়ে যাওয়া আকাঙ্ক্ষার কথা ভাবলেও
তিলে তিলে ঢাকা শাকপাতা
আর এমন বিন্যাসেই তো
খুলে রাখা হয় পাপ...মনের কিংবা জলের
এখন ফুলবন ছাড়িয়ে
রিক্সার চাকা ব্যাঙমা ব্যাঙ্গমীর বড় আপনজন
তাও... নাও বাইয়া যায়!
কলা বৌ
ছোট হয়ে আসা দিনের জটিলতায়
খাবি খেয়ে যাচ্ছে জিভ
অথচ স্টক বলছে বেসন বাড়বাড়ন্ত
কোস্টারে রাখা এইরকম টপিক
চর্চিত হলে
মরা স্রোতের মতই মনে হয় মরা স্বাদকোরকে
হারিয়ে যাচ্ছে নদীনালা খালবিল
আর এক একটা স্রোতের কাছে
জুড়ে যাচ্ছে হলুদ কলা বৌ
পূর্বসূরি
এই পরিবর্তনে সূর্য কিছুটা দূরে যেতে শুরু করলে
সোয়েটার আর কোনোভাবেই গোপনীয় থাকে না
যেমন রোদেরও তখন শত্রু থাকে না
শুধু ঝোপে খসে পড়লে অন্ধকার
এ শহর হয়ে ওঠে পাপপোড়ানো কাঠ
মনে হয় দ্বিধা নিয়ে বসে থাকা কোনো এক ছুতার
বারানসি ঘাট পেরিয়ে
হেঁটে চলেছে দগ্ধ মাছের আঁশ নিয়ে
জন্মের পরে তাকে আমরা পেলাম পূর্বসূরি
গলায় দশ আঙুল পেঁচিয়ে ধরেছি
সবেমাত্র
টয়ট্রেন
মেঘ টেনে টেনে ড্রইংরুম থেকে ছুট দিল টয়ট্রেন
আমরা ক্রশ করলাম
একে অপরের বর্ডারলাইন
কন্ট্রোলার টের পাচ্ছিল জোড়াফলনের শুকনো দাবী
কীভাবে মিশে গেছে লোভাতুর দৃষ্টিতে
লক্ষ্য ঘুরিয়ে দিচ্ছে সাতপাক
আর...
নিজেরই সন্তান ভেবে
পালন করে চলেছি শূন্য হাত
সংকোচন
বংশকে তবু চন্দন উৎসর্গ করতেই হবে
তাই কাঁধসমন্বিত অক্ষরগুলো
এখন ঘরমুখী
আর বন্দরে আছে আজন্মের কপালদাগ
অবশ্য আমার পুত্রদায়ও আছে এবং বাকি সবকিছুর
মর্মার্থে পড়তে বলা হয় প্রজাপতিসংকল্পকথা
খেলার মাঠে হাওয়া খেতে প্রস্তুত
শুধুমাত্র কুয়াশামাখা ডানার সম্প্রসারণ
যবনিকা
চোখ নিয়ে আজকাল রুটমার্চ করে চলেছি স্ক্রিনের ওপর
ফিলিংসে ভারি হেডকোয়ার্টার ও ফিকে হওয়া
---পুবালি রোদ্দুর
একতলার এই ফাঁক...
চুন,বালি আর ড্যাম্প দেয়াল
অথচ কোনও পোষা শালিক নেই ঘরে
তেমন করে ডাকিও না কাউকে
বিগত জন্মের কথা ভাবতে বসলে মনে হয়
দক্ষতার বাসায় বাস করছে একটা ঘুঘু
ঘুঘু ধান খায়
আর আমি মৃতদেহকে খেতে দিই অক্ষর ছড়িয়ে
ভাবতে ভাবতে শেষ পৃষ্ঠায়
টেনে রাখছি বইয়ের যবনিকা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন