কবিতার বিনির্মাণ

নিঃসঙ্গ ব-দ্বীপ ঘিরে আমাদের চলাচল
বেআব্রু সময় যেন উচাটন অস্থির
যাত্রাপথ অনির্দেশ ভূমির আক্ষেপ
বুকে নেয় শূন্যপথ, বহুবিধ আগ্রহ
যেমন বেঁধেছে আষ্টেপৃষ্ঠে
দমচাপা শ্বাসকষ্ট উঠে আসে দিনশেষে
লড়াই জাগ্রত দেখি সামাজিক তোরণ
শ্রমক্লিষ্ট মানুষের ঐকান্তিক ঘাম
সভ্যতার ভিত গড়ে; আনুপূর্বিক নির্মাণ
স্তরবিশিষ্ট বিন্যাসে আলোকিত গুহাচিত্র
শিল্পের উন্নত দিশা, কবিতার বিনির্মাণ
আমাকে বিস্মিত করে; চেয়ে থাকি দূরে
অযূত আলোকবর্ষ আর মহাজাগতিক গান
বেঁচে ওঠে, বাঁক নেয় অন্যতর পুলকিত বিভা।







শরীর থেকে জন্ম নেবে

শরীর ভেঙে ভেঙে জেগে উঠছে ঢেউ
ভিতর অন্ধকার, যাবতীয় সুড়ঙ্গ
নিশ্চুপ শুয়ে আছে মুদ্রার বিভঙ্গেই
এত যে সাঁতার শেখা, কলাকৌশল যত
ব্যর্থ মনস্তাপের আক্ষরিক বিন্যাস
ধারাবাহিকে আছে; যদিও উত্তাপের
ক্রমবর্ধ উষ্ণতা জ্বলনে আবর্তিত
তবু আকাঙ্ক্ষার উদ্বেল হাওয়ারা
কোথাও ঘাপটি মারে, বিমগ্ন আত্মস্মৃতি
আঁচড় কেটে গেলে দগ্ধ কৃষ্ণ দাগের
আর্ততা সমন্বিত হাহাকার ধ্বনিত;
শরীর থেকে জন্ম নেবে আর এক শরীর…







রবীন বসু

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন