সম্মোহনী বিষ জেগে উঠে উন্মাতাল 


মরমী লতাটি আঁকড়ে ধরতেই বারো মাসের লিগামেন্টে ধুলো সরতে থাকে ,  এ কোন হাওয়া!  এক প্রসস্থ বিকেল ঝরে পড়ে খনিজ গন্ধে , বুকের নিম্নচাপে লুকিয়ে রাখা সম্মোহনী বিষ জেগে উঠে উন্মাতাল 
ছেঁড়া প্লাস্টিকে জমাট জল শুকিয়ে যেতে চায় — কয়েক পা পরিয়ে যেতেই একঝাঁক পায়রা উড়তে উড়তে সরলরেখা হয়ে যায়  

তুমি নেই কিংবা আছো কিংবা দূরত্বে ভাসে কিছু কিছু  বিচ্ছুরণ 






কেউ কেউ ঈশ্বর সেবার ফুল তোলে


অপরাধ বোধের পরেই মধুময় সকালের কাছে স্থির দরজা – রোদ পড়তে চায় এই পরিধির উপর ! প্রভূত কোয়ান্টাম আলোয় আমাদের মনে পড়ে কয়েক ঘন্টা পূর্বেই নির্ঝর যন্ত্রণা  ছিল – আর বিহ্বল শরীরের ক্লান্তি মিশে যাচ্ছিল তারই ক্লিভেজে — পলে পলে শীতল শিশির গড়িয়ে পড়ে পত্রবৃন্তের পথ নিয়ে 

এবার মৌলিক দৃশ্যগুলির মধ্যে চতুর রঙের পাখিরা চুপচাপ বসে থাকে ,পাড়াগাঁযের ডালে অপেক্ষা করে ভিজে যাওয়ার – তখন কেউ কেউ ঈশ্বর সেবার ফুল তোলে 

সমস্ত দীর্ঘশ্বাসগুলি ভাসতে ভাসতে ঢুকে পড়ে প্রাণায়ামে 





নেমে আসছে পলেস্তারা পতনের শব্দ 


যখনই কাওকে শুভ সন্ধ্যা জানাতে চাই — তখনই সন্ধ্যার ঘনত্ব নিয়ে একটা ট্রাক পিছোতে পিছোতে গ্রিন ফিড সেন্টার'এর দরজায় এসে দাঁড়ায়  – সামনে পিছনে দপদপে লাল আলোয় নাভিশ্বাস উঠে সঞ্জিবনী ঔষধালয়ের , এই দপদপ সময়ের শুকনো গোড়ালি এবং ছিন্ন রাতের ভিতরে নেমে আসছে পলেস্তারা পতনের শব্দ 

ট্রাকটির হুড খুলতে থাকে সবেমাত্র শীত পাওয়া আনলোডার প্রজা  — সকল গ্লানিকে উপেক্ষা করে খালি হতে থাকে ডার্ক এনার্জি  ; তারই করতল থেকে আমি পিছলে পিছলে পড়ে যাই  

কতকগুলি মোহময় বিচ্ছুরণাংকে ঢালাই রাস্তার কম্পন থামেনা আর 





পলাতক জ্যোৎস্না ওড়ায় ভগীরথের চর্যাপদ 


তিন মাথার মোড়ে চায়ের দোকানটিই খোকনদার , গরম কিংবা শীতের কোনো ছুটি নেই তার — এখানে বসে তিথিক্ষয়ের সব চাঁদ দেখা যায় – কিছু ধুলো আসে সন্ধেও আসে চলে যায় ,  জল পড়ে নাক দিয়ে চোখও আবছা  — মেঘ বৃষ্টিকে সহ্য করে রোদও , তবুও গরম দুধের সর ছুঁয়ে টালির ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায় দ্বিধাময় বাস্প 

আমি দ্রুত অথচ নিরর্থক টেক্সট করতে থাকি – কেমন আছিস আকাশ , আটপৌরে স্ক্রিনসেভারে আছড়ে পড়ে নীল মেঘ , পোস্ট অফিসের গা ঘেঁসে কাফ সিরাপের দোকানে ইনভাটারের বাল্ব জ্বলে ওঠে ,পলাতক জ্যোৎস্না ওড়ায় ভগীরথের চর্যাপদ  

আমার চায়ের খালি কাপটা ডাস্টবিনে ফেলতেই আগুন জ্বলে উঠে  






ফুলফোটা স্বভাবের উপর আদরের পাখিরা 


স্যাঁতসেঁতে মধ্যাহ্নে যৌগ হাওয়ার বুকে শ্রাবণীর সাথে কথা সারে রজত , যথার্থ কিনা জানি না তবে রোদ এসে স্পর্শ করেনি পারফরম্যান্স মঞ্চটি — কোন সাজসজ্জা ছাড়াই বকুল গাছের ডালগুলি অস্তিত্বময় , কেবল থেকে থেকে ঝুলে আছে আস্তিকের মতো মেঘরঙের ওড়না — তার নিচে অবহেলার অর্কিড আর ভূমিহীন এল্যোভেরা — দু একটি  ফুলফোটা স্বভাবের উপর আদরের পাখিরা বড় হয় 

বাতাসে নড়ছে উলুকাশের ঝোপ — দূরত্ব বাড়িয়ে জুম করি ঋতুটিকে , জলে ডোবা কাঠামোতে মাঠটি মেঘের ছায়া নিয়ে   ছড়িয়ে দিচ্ছে উষ্ণতা , আবছা ধ্বনিরা শালুকের বুজে যাওয়ার কাছে আহত  ; অপার 

অবশ্য কবিতা করছে ইন্টারন্যাল হেমারেজ 





হে অলকগুচ্ছ এক পলক স্থির হও


আমার পাশে বসা হলুদ মেয়েটির রঙ ভেঙে গুড়িয়ে যাচ্ছে সমস্ত পথের কিনারায় — সেই পাদদেশে অবহেলার ঝিঙেফুল দ্রুত সরে যায় পর্বান্তরে , পূর্বরাগ থেকে গোধূলির মাঝে উজ্জ্বল সোনালি ভ্যারাইটি , প্রতিটি মুহূর্ত ডিকোড করতে পারে না শব্দেরা ,  আমিও কোলাহল চাই না — কোথাও কোনো আরতিগন্ধ নেই  ; তারই আঙুলের গাঁট চুঁইয়ে নামে ভয়ানক শূন্যতা ,  উদ্বাস্তু চিহ্নের প্রেমিকেরা বৃষ্টিদেশ থেকে পাতার রং চিনতে পারে না আর 

হে অলকগুচ্ছ এক পলক স্থির হও – এত যে কম্পিত ছায়াদিন — বুকে বাজে এম্বুল্যান্সের সাইরেন , চারদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে ছেঁড়া ছেঁড়া নিউজ পেপার 





লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন