শূন্যনাম
সকালে --
ঘুম থেকে উঠে মনে হলো
দু'-পাঁচটা কবিতা লিখি। কিন্তু
কী লিখি। কাকে লিখি
কেন লিখব : এসব করতে করতে
কিছু না, কিছু না বলতে বলতে
না --
সুতরাং মাধ্যম হয়ে দাঁড়ালো
একটি গাছ -- গাছের নকশা
একটি বাড়ি -- বাড়ির নকল
একটি বেনাম -- ভায়া বনাম
একটি বেনাম -- বনান ভাষা মাফিক
বায়না মানে সবটা না, কিন্তু
ঝুলবারান্দায় গোলাপ ফুটেছে
পুরোপুরি
আমার কবিতায়, কিন্তু
এলে তাকে বাদ রাখাটা
বিষয় মনে হয় -- যেহেতু
খটকা-জোড়া-দ্বিধা থমকে দাঁড়ায়
অল্প সময়ের জন্যে হলেও
গতির আবহে আবছা,
কোনো না কোনো যতি পরে
একদিন সেইদিন তার মুখে কোনো গন্ধ ছিল না
আজই বা আমি এরকম মনে করলাম কেন
এর কোনো কারণ আছে কী
একদিন সেইদিন বৃষ্টির তাবড়ানো ছিল
রাস্তায় অনেক পাঁক
পা গেড়ে গিয়েছিল
যেভাবে হারিয়ে ফেলছি সেভাবেই
ফিরে পাব।
তারপর ... ঘুড়ির সুতো ছাড়তে ছাড়তে
ছাড়তে ছাড়তে
এরপর
তারপর
যে রকম মেনে নেওয়া ...
আমি আমাকে দেখতে দেখতে
দৃষ্টান্ত কিছুই পাচ্ছিনা - হ্যাঁ
আমার গায়ে দু'-দশটা দাগ আছে ঠিকই
বেশ কিছু কালো ছোপ
(বাবা মা উভয়েই যা বইয়ে দিয়েছিল)। প্রাসঙ্গীকী এই
পিঠটা তো দেখতে পাইনা তবে
পিঠ চাপরানির স্পর্শ খানিকটা হলেও
আমাকে দুর্বার করেছে। মান্যবর
মশাই, হাততালি দিন
আর কোনো সংকটে আমাকে ঈর্ষা করবে না।
কথা ছিলো, কথার কথা
মেঘ ডাকবে
বৃষ্টি হবে
কথা ছিল, কথা বাটোয়ারার
অংশের অংশ তদাংশ - কথা কাটার ভার
দশমিক বা ভগ্নাংশ
কথার কথা, তেমন সহযোগ চোখে পড়ল না
কেউ বসল
কেউ উঠলো : আবার আবার আবার...
কথা হলো না। বৃষ্টির আবহসঙ্গীত, হা --
গান হয়নি, কবিতা হয়নি
শরীর জুড়ে ভাঙন
কী করে ভাঙলে অমন গড়ন
বলো হয়ে সুপ্রিয়
কত কত দেনা করলে ফিরে পাই
নিপুণতর ভাঙা
সেই যে জ্বলজ্বল কারোর মোক্ষণ
শরীরের পাশা।
হারতে হারতে যখন জিতে যাই
লড়াইটা থেমে যায়
হাত পা বন্ধ থাকে আঙুলের মরচে
মোটা হতে হতে চটা ধরে। আঙুল বুড়ো হয়
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন