ঘর জুড়ে 


ঘর জুড়ে শুধুই উপবাস লেখা হয় 
 
জানলার পর্দায় - বারান্দায় – উঠোনে -  
বিছানার চাদরের ফুলকাটা নকশায় -   
আলমারির তাকে- বাঙ্কের ঝুল পড়া কড়ার পিঠে -  

পুব দেওয়ালে যে মাকড়সা ঘুরে বেড়ায়   
সে নিস্তেজ  
তার বাসা বানানোর ক্ষমতা 
অন্ধকারের কালো পিঠে তলিয়ে যাচ্ছে 

বাঁশের গা বেয়ে যে পিঁপড়েরা সারিবদ্ধভাবে চলে যেত 
একদিক থেকে আরেকদিকে  
তাদের শরীর জুড়ে আলসেমি 
থমকে আছে পা  

ঘর জুড়ে উপবাসের ঝিমঝিমে স্রোত  
ঢেঁকুরের পিঠে শূন্যতার আস্ফালন 


                                                        
               


তাৎক্ষণিক বৃষ্টি 

কখনও কখনও কবিতার শব্দরা হারিয়ে যায় 
আকাশটা টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যায় 
উঠোনের ওপর 
স্তব্ধ হয়ে আসে চোখ 

দু - একটা পায়রার শান্ত ভ্রমণ 
বকের ডানায় সন্ধ্যার জমে ওঠা দেখে  
বসন্ত শরত পাশাপাশি দাঁড়ায় 
ভ্রূ-র মতো হালকা মেঘ জমে ওঠে 
জানলার শার্শির নিস্তব্ধতায় 
তাৎক্ষণিক বৃষ্টিতে ভিজে যায় আদরের শাল গাছ   

 





                                                        

পলাশ দাস

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন