মেষপালক ও অশৌচ রঙের স্বর্ণালংকার
মেষপালকের মতো আমার গায়ে বাদামি বদ রক্ত কণিকার পারদ ঝুলে আছে তিন দিন মৃত্যুর পরআমি এক ব্রহ্মচারী পুরোহিত, আমার গায়ে খোপ খোপ ঝুলে আছে এক একটা জানালার আদিম কক্ষ , আমি সেখানেই মৃত্যুকে লুকিয়ে রাখি তিনটি অবিভাজিত কোষ প্রাকার দিয়ে , ব্রহ্মার ১১৩ জন সন্তান আমাকে নিয়ে ফুৎকার নাবিক সেজে আছে ডাহুক যৌন আহ্বান দিয়ে
এক মৃত্যুর পর স্নান সেরে উঠে আসা অশৌচ রঙের সব শ্বেতাঙ্গ নারীরাই ঘাটের নিচে আদিম মিশরীয় গুহা খুঁজে পায় সেখানে কিছু আদিম অজৈবনিক প্রাচীন ভাষা লুকিয়ে রাখা আছে , সব ঈশ্বরীরা স্বর্ণালংকারীর মতো এক একটা জলজ সাপ নিয়ে প্রতিদিন রাতে উঠে ইন্দ্রের সাথে জলকেলিতে মত্ত হয়ে ওঠে ,
আমি তখন আত্মহত্যার আয়োজন সেরে ফেলি তরল প্রজনন রস বেরিয়ে আসে আমার দুটো কষ বেয়ে
দরজাটি আমাকে নিয়ে নাচতে থাকে.. আমি দরজাকে নিয়ে .. গর্ভাশয় গুলো বাতাসে এক স্থির তড়িৎ চুম্বকীয় নিয়ে উড়ে যাচ্ছে এক গর্ভস্থ ঘোড়ার রুদ্রাক্ষ ফলের দিকে
প্রতিদিন প্রাচীন গুহার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে শুক্রাচার্য , সমকোণে দাঁড়ায় আমার ঠিক ঊর্ধ পেটের কাছে আমার কোন চতুর্থ কপাটিকার নারী , আজকাল কাজ করছে না আমার দুটি বৃক্ক , তিনটি লিঙ্গ এবং চার জোড়া রেচন বাহিকা
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি জানতেন সব গোপন গন্ধরাজ লেবুর মাথায় কালাচ সাপগুলো ঝুলে আছে মাত্রাহীন বর্ণের মতো আমি শুকনো পাতার আবহবিকার চাইছি আবার
এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও কাঁটা কম্পাসের বৃষ্টিপাত
বিষফল রঙের কাঁটা কম্পাস বৃষ্টিপাত জিভের ওপর রেখে যেতেই লেবু ফলের বাগান শুদ্ধ উপড়ে ফেলি ব্যবচ্ছেদের এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মতোআমার সব প্রোল্যাক্টিন নভশ্চর গুলো রাতের খন্ডিত বায়বীয় সাপেদের তিন খন্ড করার পর ঝুলিয়ে রাখে আমাদের ঠিক গোপন কক্ষের ভেতর , আমি শুধু নেশাগ্রস্ত জাহাজের মতো সব নদীর উত্তাল বুকের ভেতর জমিয়ে রাখি এক নাবিক সমগ্ৰ
সব সমাক্ষরেখা এসে নোঙরহীন কাপালিকের মতো উর্বরতা খুঁজে নেয় একটি বিষন্নপ্রায় ঠান্ডা ঘরের ভেতর
আমাদের আর কোন পরজীবী রান্না ঘরের প্রয়োজন ছিল না , একটি বেগুনি নারী অসংখ্য দেবালয়ের পাশ থেকে যৌন চিহ্নের জবা ফুল মাথায় নিয়ে দুর্গম অভয়ারণ্যে মিলিয়ে গেল , আমরা তখন রডোডেনড্রন খাচ্ছি ঝলসে দেওয়া মাংসের সাথে
একবার এসো তথাগত কোন এক বৌদ্ধ ভিক্ষুক সেজে
আমাদের তরল মাঠে কেউ কেউ গভীর রাতের আলখাল্লার পাঞ্জাবি পরে নিজেদের শরীর চাষাবাদ করছে এই অবর্ণনীয় নদীরেখায়
দ্রাঘিমা ফল দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না আমাদের সপ্তম আগ্নেয় পর্বত , এক ঈশ্বর জানে রাত্রির মধ্যম প্রহরের পর প্রতিটি মানুষের ছায়া কালো রঙের বর্ণহীন ঘোড়া হয়ে যায় , এক চিত্রশিল্পী শুধু অশ্রু কণাকে গ্রাফাইট দিয়েই ভরিয়ে দেয়
আমি শুধু মধ্যরাতে উঠে দুরারোগ্য অসুখের কথা মনে করে মুরলি বাজিয়ে চলি, রাতে বাঁশি বাজলেই আমি মৃত মানুষদের অন্তর্বাস কান্না শুনতে পাই
আমাদের বিছানার নিচ দিয়ে তিনটি জীবনদায়ী মরীচিকা উৎস্রোতের আইসোটোপেরা গড়িয়ে যাচ্ছে
আমি শুধু অবৈধ হওয়ার গন্ধ পাচ্ছি তিনটি সপুষ্পক ও জলভেজা সেমিকোলনের মাথায়
অনঘ যুধিষ্ঠির ও হস্তিনাপুরের কিছু পরাবৃত্ত গণিত
আর কোন প্রজনন ছায়া নেই , রক্তাক্ত করে ফেলি নিজেদের শিরস্ত্রাণ , সিংহাসন আর কিছু হস্তিনাপুরের বিবিধ মস্তকচ্যুত অশরীর পুরুষদেরমেনোপজ পরবর্তী অন্ধকারের ভেতর এক একটা মোমবাতি জ্বলে উঠল জোনাকির মতো , এখন তানপুরার অলীক সাংখ্যমান আমাদের যৌন ঘরের কাছে গ্রস্ত উপত্যকা খুঁজে বেড়াচ্ছে একটা সামুদ্রিক ঘোড়া হয়ে
তারপর আমাদের মৃত্যু কোনভাবেই ছুঁয়ে ফেলতে পারেনি , ঋণাত্মক স্থাণাঙ্কের গলনাঙ্ক বিশিষ্ট একটা ছায়াছবির মৃত্যু বারবার আমাদের চোখের সামনে বৃত্তাকার ঘুরে যাচ্ছে আমি শুধু সরল রেখার মতো একটি অশরীর খুঁজে বেড়াই প্রতিটি দরজার গর্ভস্থলে , রক্তের নালিকা গলে যাচ্ছে
কাঁকড়া বিছার মতো এক কেরোসিন ধূপদানিতে বৃত্তাকার হয়ে উঠে যাচ্ছে আমাদের পরজন্মের মৃত সরীসৃপেরা
আমি অনঘ যুধিষ্ঠিরের মতো , সাত্যকি হয়ে দেয়ালে দেয়ালে আগুন বৃক্ষের চাষাবাদ করছি আজকাল ,
ডান স্তনের কাছে একটি জমাট পাথরখণ্ডের মতো মাংসল খণ্ড বের করে আনলাম আমরা তিন সেবায়েত পুরোহিত , দুই হাতে কেমোথেরাপির বৃষ্টি ঝরে পড়ছে ,আজ জুলাই মাসের রোদ সব পরকীয়া ভেঙে দিল আমার
বাড়ির ভেতর ভেজা বর্ষাতি উল্টে রাখি কিছু মৃত ছায়াপথ ঘুম পাড়িয়ে রাখার জন্য , কোন কোন রাতে এসে নক্ষত্র আমাদের মৃত ভ্রুণেদের কথা বলে যায় , আমি শ্রমণ , আমি আলপথ , আমি আরুণি ,
আমাদের তখন শ্রাবণ মাসের সব নপুংসক কাপড় গুলোকে অনার্যের গল্প শুনিয়ে যাচ্ছে কেউটে সাপ
আয় আয় রক্তাক্ত দরজা , তোকে আজ কিছু কৃষ্ণ নামের পরাবৃত্ত গণিত শিখিয়ে যাই , একটা ধূসর পাঁজর ভেদ করে তিনটি কৃষক বের করি যাদের ঠোঁটে এখনো ল্যাকেসিস গন্ধ লেগে আছে
লাল লাল দেশালাই ও অংশুমান শরীরের চতুর্থ খন্ডক
শরীর জুড়ে দেশলাই কাঠি আর আগ্নেয়াস্ত্রের মতো ঠান্ডা নয়ন তারা ফুলের চাষাবাদযে কৃষকেরা চন্দ্রবোড়া মুখের কাছ থেকে রজনীগন্ধা তুলে আনে তাদের শিরদাঁড়ায় অজস্র নাগ চম্পা ফুল ফুটে থাকে ,
মধ্যরাত্রে কেউ কেউ এক পৃথিবীকে চতুর্থ খন্ড করে উলঙ্গ পিঠের উপর ঝুলিয়ে রাখে ,
আমি প্লেটোনিক ছায়াটিকে আজ নাইট্রিক ভেবে গলাধঃকরণ করলাম দীর্ঘ ১৫ বছর অভুক্ত থাকার পর , অংশুমান জীবাশ্ম তুলে আনছেন অতল থেকে
আসতেই পারো তুমি সবুজ পাতা ধীরে ধীরে সর্পিল করে , প্রতিটি বিস্ফোরণের পর আমি শুধু দলা পাকানো মাংসের খন্ডকগুলোকে সাবলিঙ্গুয়ালের ভেতরে রাখবো রোঁয়া ওঠা কোন তরুণ নাবিকের মতো ,
লাল থকথক করে বেরিয়ে আসছে সাপটি , যে মৃত রাতে জলের ওপর ভেসে ভেসে সমুদ্র খেতে চাইছে
আমাদের মতো আর কোন পুরুষ ক্যালসিয়াম খেতে জানে না ,
ধীরে ধীরে মেষ পালকের মতো নীল রক্ত কণিকার জলে ডোবা এক প্রাচীন গুহার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে শুক্রাচার্য রঙের এক একটি অধাতব পুরুষ , আমি স্থির দক্ষিণ মুখে বসে
শিরদাঁড়ার লাইসোজোম বালকেরা অর্জুন ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে স্তম্ভ মূল চিবানোর ভান করে ইন্দ্রপ্রস্থ পুড়িয়ে যায় , আমি তাদের ঘর্মগ্রন্থিতে ঝুলে থাকি , হা হা অট্টহাস্যে ফেটে পড়ি অগ্নাশয় থেকে উৎসৃত নক্ষত্রদের সাথে ,
মাধব রঙের সাপেরা আবেগ সূচক অব্যয়টিকে চাঁদের দিকে মিলিয়ে রাখে , আমাদের শরীরে তখন সদবিম্ব জনন তন্ত্রের জোৎস্না ,
যারা লবণাক্ত হ্রদ রোপন করে রাখে বুকের তিনকোনা মাঠের কাছে , তারা আজকাল অন্তর্ঘাতের সিডনেফিল সাইট্রেট নিয়ে ভোর রাতের দিকে বাড়ি ফিরে , আমি জড় রোদ
লাল রঙ্গন ফুলে চিতি সাপের অর্ধদাহিত দেহটিকে তুলে রাখে কালোজামার নগ্ন পুরোহিত ,
আমাদের জটিল স্নায়ুতন্ত্রের নীল অববাহিকা সাপটি বারবার সঙ্গম চাইছে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন