পারাপারে 

চেনা গোধূলির পথে ফিরে গেছে অচেনা চিলের ডানা। সোনালী ক্রমশ কালো, তারপর স্থির। নদীর চাপান উতর। পৃথিবীর সব অন্ধকার জমেছে আজ বাবলার ডাল ঘেঁষে হিজলের বনে। বাদুড়ের ডানায় হাওয়া নড়ে। হেমন্তের পাকা ধানের হলুদ জীবন, একা একা শিশিরে বসত, ব্যথা পায়। সেই কবে এসেছিল যে, যাবার বেলায়, দলা দলা গ্যাঁদালো অন্ধকারে এঁকেছিল সবুজ রং.......জেগে থাকা দাঁড়কাক রাতে, তাকে মনে পড়ে। বাতাসের ভারে কতদূর চলে গেছে সে দূরের নক্ষত্রের পারে। এক জীবনে আলোকবর্ষের দৈর্ঘ্য মরে না। জমাট স্মৃতির ঢের ধুলোঝড়, খইধান উড়িয়ে দেয় হরিণের বল্গাহীন পদক্ষেপে। আর মেয়েটি, কার্তিকের হিমরাতে ফোটা জোনাকির বেশে রয়ে যায় চালতার নিবিড় ঝোপে। ভিড়ের ম্লান একাকীত্বের নীরব দীর্ঘশ্বাসে। কোন এক অলীক নক্ষত্রের বিশ্বাসে। তার আনাচের কথা কানাচও জানলো না...




শর্মিষ্ঠা ঘোষ

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন