"খামোশী হী সে নিকলে হ্যায় জো বাৎ চাহিয়ে"
১.
দুঃসময় চিনেছি অনেক
যে অবিদ্যা ঝরে পড়ে ,তার বন্দনা গাই
করজোড়ে।মন বিহারে।আজ না হয় আগুনের কথা থাক।
এক বুক আশ্চর্য আলো ফুলকির মতো।
কামরাঙা স্বপ্ন।তুমি ও শান্ত
নির্মোহ।কী বিস্ময়ে জেগে উঠি।নিরাকার ছুঁয়ে দেখি;
কী গহন হে!
মনে হয় সব নিঃস্ব করে ছুঁয়ে আছে প্রাণসখা হয়ে।
২.
এই বিকেল চলে যায় সরু বাঁশি বাজিয়ে ।
একথালা আলতা ধরে
ঐ শেষ আকাশটুকু...
তুমি বোঝনি এই চলে যাওয়া দীর্ঘ করলে
শ্রীখোল বেজে ওঠে।আহ্নিক সারে বৈরাগী মন।
জীবন ধর্ম তার গোধূলির ঘাটে বাঁধা ।
তবু প্রতিবার প্রেম লিখি।আর জোয়ার ভাঁটা...
সুখী হতে প্রয়োজন কত কী...
৩.
মাস্তুল। ভরা অসুখ নিয়ে ঠোঁট রাখে ঐ সূর্যাস্তের স্তনে।
আর স্বচ্ছ জলের উপর দাঁড়ের নূপুর...
এ পৃথিবীতে কে আছে আপন বলো আর
মাথা হেঁট হয়ে এলে, নিখোঁজ কিশোরীর ঘ্রাণ সমস্বরে উঠে
এতোলবেতোল করে দ্যায়।
চালচুলোহীন এই পরিধি।ফাটলে অর্ধেক জীবন।গুজবে বাকী অর্ধেক।
ধ্যান ছুটের মন্ত্র জানে কী কেউ?
সব জন্মদোষ তো একদিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ ছায়ায়...
তাকে বন্ধু ভাব?
৪.
উত্তরের জানালায় যেন মৃত মানুষের শ্বাস
যে বড়ো অভিমানী...
পূর্বপুরুষের গায়ের আতপ আর ঘিয়ের ঘ্রাণ
নিয়ে শুয়ে থাকে,
এসব বিচ্ছিন্নকামী অসুখ
আরো পৃথুলা করে তোলে।
কারণে অকারণে অসংখ্য দৃশ্য বেঁকে যায়...
৫.
সামান্য মগ্ন হলে ক্ষুরধার চোখে ব্যথাদের ক্রম। কিছুই জানো না দেখছি।নিয়মিত আহারে স্বাদ মরে যায়।খেজুর গাছের গলায় হাঁড়ি বেঁধে তুমি তাকে হত্যা করতে চাও, অথচ জানি নিয়তির জালে তুমিও... তাড়ির গন্ধ ডেকে উঠলেই, নিরাময়।যেন কিছুই হয় নি আসলে।ছোট ছোট ফুলকি উঠেছিল...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন