শুধু এইটুকুই
বুকের বাঁ দিকে সমস্যা
চপ্পলে কাদা। আস্তিনে ধুলো
এমন কি চশমার কাচেও-----
পকেটে চিরকুট। বন্ধুর ঠিকানা।
কাক চিলও অবাক, আমিই শুধু
খবর শুনছি না। আলিবাবার
চিচিং ফাঁক!
আজ কুকুরগুলো বড় জ্বালাচ্ছে
ওদের কাছে কোনো খবর আছে
হয়তো! হাওয়ায় দুর্গন্ধ।
ফ্যানের ব্লেডে কিছু হয়তো
কাঁটা ছেঁড়া চলছে!
কে কার কথা শোনে! নিয়মিত ভাবি
খুবই সাধারণ ভাবে বাঁচতে চাই।
ঘুমের মধ্যে ঘুনের শব্দ
কাঠামোয় ঘুন ধরেছে। টের পাই।
হাঁচলে কাশলে কঙ্কাল নড়েচড়ে।
খটাখট শব্দ হয়। ভয়ে ভয়ে শুনি,
এই বুঝি ভেঙে যাই ঝরে যাই!
জলে ভাসবো ভাবছি।
জলের উপরিতলে আগুনের চাদর
তার মানে দাঁড়ালো গিয়ে : স্নানের
প্রাকশর্ত দহন। বেশ বেশ বেশ!
আরও কয়েকটা রাত প্রথাবহির্ভূত
জেগে কাটাতে হবে। নক্ষমন্ডলী
সম্পূর্ণত মেধার সহায়ক।
কিছু একটা ব্যবস্থা করে যেতে হবে
কার্যত যা অত্যন্ত জরুরি।
কম্পাস
গতকালের গল্প বাতিল হল
ভিন্ন কলেবরে সেজে উঠবে অন্য
চিত্রনাট্য।
দারুণ ব্যস্ততা। সীমাহীন জিজ্ঞাসা
সংরক্ষিত কামরায় গোপনীয়তা
গোপন থাকছে না। ভেঙে যাচ্ছে
চৌহদ্দির সীমা কাচের ঘরবাড়ি
দেয়ালে দেয়ালে কানাকানি
এ পর্যন্ত কত হল? সংখ্যা নয়,
উচ্চতা জানতে চাই----বল...বল!
লেখার টেবিলে প্রচুর গাণিতিক
সংখ্যা ও রাশি এলোমেলো
ছড়িয়ে আছে।
কম্পাসটা খুঁজছি
কি জানি কোথায় যে রেখেছি...!
কবিতায় দীর্ঘ অপেক্ষা
দিনের অন্তিম ছায়া
ঘড়ি ধরে পাখিরাও ঝাঁকে ঝাঁকে ফিরছে
ভিআইপি রোডের দিকে। সেখানে অনেক
গাছ। দমদমের অসংখ্য পাখির বসতি।
প্রথমে ছায়া। ক্রমান্বয়ে অন্ধকার----
যশোর রোড সাঁতরে ছোট বড় সব রাস্তায়
থই থই কালো। যদিও বাতিস্তম্ভে আলো
জ্বলেছে এবং একই সঙ্গে
এটাও প্রমাণ হয় যে, বিপরীতক্রমে
অন্ধকার কতটা অপরিহার্য ও দরকারি!
কবিতায় দীর্ঘ অপেক্ষা। হঠাৎ মনে পড়ল
আজ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
ভুলেই গিয়েছিলাম।
ও অচিন পাখি! বুকের বাঁ-দিকটায়
খেয়াল রাখিস----খুঁটিস না যেন!
এ টু জেড
বুঝে বা না বুঝে ব্যাপক হাততালি অথচ
দুয়ে দুয়ে চার না পাঁচ----খোঁজ নিল না কেউ।
বঙ্কিম হেসে একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে
নেমে গেল ঢালে। দক্ষিণ পাড়ার দিকে।
চেনা অচেনা অনেকেই সল্টলেক ধর্মতলায়
প্রকাশ্যে সংসার পেতেছেন।
ডুগডুগি বাজিয়ে মাদারি কা খেল্-----
ছেলেবেলায় দেখা।
এখন তো উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে...
বিজ্ঞাপনে এলার্জি সর্দি কাশি জ্বর
এর ওপর কথার প্লাবন! বড্ড শীত শীত করে।
এ টু জেড যাবতীয় খবর-সংস্থা কি সব
খাবার যেন বিলি করে বেড়ায়!
বিবিধ মিশ্রণে তৈলবীজ
যারা বৃষ্টি ভিজতে ভয় পায়
তাদের নিখুঁত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়।
যারা অনেক জানেন বলে দাবি করেন
তাদের ঢেঁকুরে বাসি খবরের আঁশটে গন্ধ!
এইসব সামাজিক অদ্ভুত মিশ্রণে কয়েকটি
এলিট বা কেউকেটা কিছু তৈলবীজ রেখে
প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যেতে পারে।
মানুষ চিনতে বড় বেশি ভুলভাল হয়ে যায়
আনুগত্য ছাপিয়ে ওঠে কপট ভান্ডারে
নিজেরই নিজস্বতা দারুণ লজ্জিত!
বিঁধে আছে সামুদ্রিক ঢেউ
ঢেউ গুনছে ঝাউবন। সঙ্গে থাকে তাদেরই
অনুগত রিমঝিম ছায়া। প্রতিদিনের ছবি।
নদী কেন পরশ্রীকাতর হতে যাবে
সমুদ্র যে অপ্রতিদ্বন্দ্বী!
সৈকতে ফেলে যাওয়া আমারই ছায়া
নিয়মিত ভাঙা ঢেউয়ে ধুয়ে মুছে গেছে
এরকমই ঘটনা :
বালি খুঁড়ে পাওয়া যেতে পারে
অসংখ্য পাখির কঙ্কাল!
আমারও বুকে নদীর ছলাৎছল
একই সঙ্গে
বিঁধে আছে সামুদ্রিক ঢেউ!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন