বোকা জলযান 
(৫-এ পঞ্চবাণ + নেশা জর্জরিত সুড়সুড়ি) 








আফিমের কাটলেট

এই রক্তশূন্যতার আড়ালে তোমার ঠোঁট 
প্লেটের ওপর রাখা কাটলেট

কাঁটা চামচ নয়, চোখ পান করছে 
কিছুটা অধিবাস্তব। ঘুঘুর বাসা। 

মগজে ~

যখন তুমি ছবি হয়ে যাচ্ছো 

সামনের বাগানে অনেক ফুল কুড়ি থেকে হেসে উঠছে~






পৌরাণিক জল

অপলক কিছু মেঘ আর বিদ্যুৎ ~
ভেতরে অনেকদিনের জলও... 

রোদের ফাঁকে ~

তোমার বুকে খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়ছে 
এই অন্ধকার~






আদাজল

হাঁটতে শেখা শিশুটি
নিতান্তই শিশু 
নাকি তার আচরণ শিশু সুলভ বলেই তাকে বলছো? 

--তা কি হয় নাকি? 

শিখতে শিখতে হাঁটছে 
হাঁটতে হাঁটতে পড়ছে 
পড়তে পড়তে...

আর আদাজল খেয়ে লেগেছি তো লেগেই আছি
ছাড়ছি না






ঈশপ-এর কফিন

তুমি শেয়াল না হলে    ধরতে

--তার মানে...? 

--কল, কলটা 

--মানে তুমি কি আমাকে জন্তু বলছো?

--না! না! 

বলছিলাম তুমি বুদ্ধিমান 







ফুরফুরে বাতাস

কথাগুলো অ-বর্ণ, বর্ণহীন
রং না-থাকা ডানার ফুরফুর~

= তোমাকে কল্পনা করে দেখলাম সাযুজ্য 
আছে কী নেই!

তারপর সিদ্ধান্তের দিকে বলটি অগ্রসর হতেই 
বিপক্ষের হাতে স্টিয়ারিং 

সব হারানো আঙটির মতোই মনে হওয়া~

অলৌকিক মেঘ করে আসা ছাঁটে ভিজে যাওয়া অবয়বে হাত বুলিয়ে বানিয়ে তুলছে কুমোর 

এই দেখার রাজ্যে আমিই একমাত্র রাজপুত্তুর হয়ে 
জেগে আছি


অপেক্ষা করছি তোমার~







বাছাধন

মানুষের থেকে টুপ করে মানুষটিকে তুলে 
রসগোল্লা ভেবে গলায় আটকে ফেললেই 

এ-রাজ্যে এমন বোকা-জলযান নদীতে ভাসতে দেখা যায় 

জলের মতোই সহজ অপচয় দেখে 
কাঁটাগুলো বেড়ে ওঠছে গোলাপে

গোলাপি আভায় মন আটকে গেলে 
কে বাঁচাবে বাছাধন~








আমিনুল ইসলাম 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন