চোখের বাইরে

যতটা মেঘ ছিল, ততটাই অবেলার ঘন আলো নেমে এসেছিল বাসস্টপে,
সম্মুখে কোনো আদিবাসী রমণীর শরীরের মত চকচকে কালো পথ,
গোলাপি বাগানবিলাস আর নিঃশব্দ দুপুরের মত প্রভুর লাল বাড়ি,
আর ছিলে তুমি, যদিও ওড়ে নি চুল, যদিও শ্যামের আকুল মোহনবাঁশি,
স্তব্ধ কবুতরের বুকের মত সঙ্কোচে সুর না তুলে আটকে আছে গলার ভিতর,
যদিও তোমার চশমার কাঁচে এক স্বাভাবিক ভদ্র উদাসীনতা আর,
নিয়মমাফিক মৈত্রীযাপন ও অনাগ্রহের মাঝে দীর্ঘ হতে থাকা সময়,
আর বৃষ্টিবিহীন শ্রাবণের প্রতি দারুণ অভিমানে আমার গোপন মৃত্যুইচ্ছা,
জাগছিল শরীর জুড়ে, তোমায় ছোঁওয়ার পরে অব্যক্ত প্রেমের মতই,
তবুও হেঁটেছি, অনেকটা পথ, ছায়ার পিছু পিছু, রোদের পিছু পিছু,
পায়ের নীচে কাঁকরের মত অজস্র অতীতস্মরণ, তপ্ত লাভার মত অপ্সরীদের ভিড়,
এসব ঠেলে যায় না দেখা হৃদয় তোমার, কোকিল খুঁজে পায় না ঘর,
তবুও আরো কিছুক্ষণ, দৃষ্টিতে দৃষ্টিতে থাকুক, না যদি ধরা যায় এ হাত,
আঙুলে আঙুল নাহয় আরো কিছুটা সময় জড়িয়ে থাকুক মেঘের গায়ে রোদের মত,
চোখের বাইরে চলে গেলে তোমায় যে আর পড়া হবে না, চেয়েছিলাম যা প্রথম দিনেই।।











সৃজনী নায়েক 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন