ডুব সাঁতার ও শূন্যতা
এ পর্যন্ত যা বাসস্থান ছিল তার নিচে গলা পর্যন্ত
ডুবেও সাঁতার কাটবার জায়গা রাখা অর্ধেক
আকাশের নিচে, ক্রমাগত দু’এক খণ্ড মেঘ
রূপকথার জন্ম দেয়, আগেই অবশ্য ককিয়ে
উঠত উন্মাদ শোক স্তব্ধতায়।
তাহলে ভুল কি হল,
যা টিকে থাকে সব কিছু কি এমনই
অলীক নির্ভরশীলতা?
নাকি ভুল হচ্ছে! হয়ত বা রোদে
এখনও শীত শেষের গোলাপি উপত্যকায়
লেখা ডুব সাঁতার, কাটিয়ে ওঠা মুগ্ধতা পাড়ি দেয়
উনবিংশ সম্পর্কে, যা পড়ে থাকে তা দিয়েই
জোড়াতালি অথবা শূন্যতা।
ছুঁয়ে থাকবার কথা
এ পর্যন্ত কোন ছুঁয়ে দেখার গ্যারেন্টি নেই,
একেকটা কেটে যাওয়া পারভার্টেড সন্ধ্যায়
দরজায় পড়ে থাকবার পরেও ফুসকুড়ি
ঠিক জায়গায় আঘাত করবার রাস্তা খোঁজে।
এমনি অর্বাচীন ঘুরে ঘুরে একটা বিজ্ঞাপণী
গানকে গলায় মালা করবার ইচ্ছেতে রাস্তায় নামা।
এর থেকে ল্যাংটো থাকা ভালো, অন্তত সারিবদ্ধ
মেঘ ছাড়া আর কোন অনামিকা থাকবে না,
গাছ ছাড়া কোন প্রহরী নেই,
তুমি ছাড়া কোন গভীর জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া নেই।
চলে এসো তুলে নাও ষড়ঙ্গযোগ, শরীরে ঝরনা বাড়ুক,
নিভে যাওয়া রাত সাক্ষী থাক রূপকথার বিছানায়।
শীত নামবার ভেজা বেড়াল
এরপরেও মাঝরাতে বিরুদ্ধ চাবুক,
ভোর নামবার আগেই গুটি পায়ে ভবিষ্যত।
চুপ থাকবার চিন্তা জোর করেই অন্ধকার।
হেঁটে যাওয়া আরো কিছুটা আকাশ এখন
পশ্চিমপক্ষে কথা বলবার আগে হিসাব
কিছুটা পরিমিত ফেলা।
সাজিয়ে রাখা সব কিছু ভেঙে যাবার
ভয়েই চুপ, আরো চুপ।
এর মাঝে অন্য হাওয়ার উল্কায় পড়ে গেলে ক্ষতি কি?
এই মাত্র মহাকাশ থেকে হাত পাঁচ দূরে
বসে থাকার জায়গা পাওয়া গেল,
শীত রাতে ভিজে বেড়াল সহবাস,
ক্লান্তি চোখের কোন ঘেঁষে,
পাশ ফিরলেও ঘুম লাগে না এখন।
স্মৃতিপথ অথবা সব্জি টুকরো
না, এখনো পর্যন্ত কোন স্মৃতির কোষ্ঠবদ্ধতা নেই,
চুরি করে দিব্যি একটা ঝিকঝিক জীবন,
পাশ ফিরতেই নেশায় লটকানো ডালপালা।
কোন অফসাইড না থাকলেও একেকটা পায়ের
তলায় সেই বেটা পার্টিক্যাল।
এখন জানলার পাশে বয়েলিং পয়েন্টের জন্য
অপেক্ষায়।চোখ দুটো আলু পটল,
চেহারায় কঙ্কালও আয়না।
ঝুলে থাকলেও গবেষণার বর্তমান বিষয়
সেই বণ্ড এনার্জির নক্ষত্র প্রলাপ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন