আত্মকথন 


এই যে এত শত সহস্র শব্দের মধ্যে তুমি জেগে বসে

আছো এর কোন অর্থ আছে? চোখ বোজো। রাত্রি

আসুক। তারাদের যতটুকু আলো পৃথিবীতে পৌঁছায়,

আসতে দাও। চোখে মুখে বুকে পড়ুক। কেন তাকিয়ে

থাকো রাত্রিদিন? কচি সজনে পাতার মতো কেন দুলে

ওঠো থেকে থেকে!

মৃগনাভি দেখেছ?হরিণের উন্মাদনাকে তুমি কি

বলবে? ঐ বৃত্তবৎ প্রদক্ষিণ কোনোদিন থামবেনা,

থামে না। এইখানে বসো। সপ্তপর্ণের ছায়ায়।

অন্ধকার ও আলোর সীমারেখায় ঝড় উঠেছে।

নির্লিপ্ত হও... 






মাঠ


গোলপোস্টের বার এ লেগে ফিরে এল বলটা

এমন হবে কে ভেবেছিল!

জালে একবার ঢুকে গেলেই ম্যাচ হাতের মুঠোতে

তারপর বুক চিতিয়ে— উল্লাস


গল্প করতে করতে সন্ধে হয় হয়

পাঁচিলের গায়ে সূর্য হেলান দিয়েছিল এতক্ষণ।

জালে বল ঢুকলে একপক্ষেরই আনন্দ 

সেকথা অভিজ্ঞ সেনবাবু আর হালদার বাবু ছাড়া 

আরও অনেকেই বোঝেন


সংসারী মানুষ কি না! মাঠে নামতেই হয়।


                                                   




মেকআপ্


এমনই হয়। খানখান 

হতাশা উল্লাসের ইমারত

ঘাম ঝরে গলার নীচে

দলা পাকায় আঁধার 


পালা শুরু হয়নি, ঘন্টা স্থির 

ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ছে এদিক ওদিক 

অবুঝ দর্শক


বিবেক স্টেজের পিছনে

ঘষে তোলে রোজের মেকআপ্ 





নিঃশব্দ চরণে


তখন চলতে শুরু করেছি


ডোবা, পুকুর ডিঙিয়ে নদী  

পাহাড় ছেড়ে উপত্যকা

কখনও বা শান্তিনিকেতনের খোয়াই ধরে...


হঠাৎ খুট্ 

হুলোটার গোঁফে মাছের ঝোল লেগে তখনও 

জ্যান্ত পাঁচটা কই সাবাড় করেছে


বললে, দরজায় শিকল তোলোনি?


হেসে বললাম,

তুললে কি আর এমন হত?






রাঙা রাঙা তুলি


রঙ থেকে উঠে জল হাতড়াচ্ছি 

এত রঙ আমায় সয় নাকি?


কুয়োতলার পাশেই ঘর। কপিকলে দড়ি।

বালতি নামে নীচে। ঘড় ঘড়

মাঝ রাতে

পাড়া প্রতিবেশী চোখ বুজেছে

এসময় মাথা থেকে পা ভিজিয়ে 

কপাট দেওয়া ভালো।


ভোর আসে। গায়ে পড়ে

আরও সুন্দর লাগে। রোদরঙে 

রাঙা রাঙা তুলি


























লিপি সেনগুপ্ত

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন