নির্মুক্ত হোক খেলা

এখনই কবিতা লেখার নির্ঘন্ট
এই অগ্নিবলয়ের ভিতর এখনই হিমস্রোত বয়ে যাক
অন্যমুখ অপেক্ষারা ইস্তফা দিলে দিক, 
আকাশ সারাটা সময় সঙ্গী হতে পারেনা
নদীখেলা সারাবেলা ভাল্লাগেনা ভাল্লাগে না
নতুন শরীরী খেলা কতক্ষণ সতত সুখ সুখ ....

এই হিমবাহ উন্মোচিত হোক তবে
আমি অগ্নিবলয়ের ভিতর প্রবেশ করছি ....





মাঠকাদা ছুঁতে চাই

অনিয়ন্ত্রিত কালো দৃষ্টিহীনতার এক পাশ থেকে
খুঁজে পেতে চাইছি সুস্বাদু উল্লাস আর কম্পন
কোথাও বৃষ্টি হবে বলে একজীবনের বাউল
উদ্ভ্রান্ত একতারা আর আকাশভাঙা সুর ভরিয়ে
কাদা মাঠের কাজল জমিয়ে রাখে চোখের ভিতরে, 
আমাকে বাহবা দেবার আগে চলুন আল ধ'রে হাঁটি, 
প্রতি পদক্ষেপে যেন মাঠকাদা ছুঁতে পারি রোজ।





ছবিটা বাঁধাই করছিলাম

সকালের তোবড়ানো দেয়াল থেকে 
বাদুড়ের রোঁয়াগুলো উড়ে যেতেই
টাঙানো ডালে ফুলগুলো হেসে উঠল মুখটিপে, 
ঠিক তখনই গেট খুলে চলে গেল হাওয়ারা
দূরের কেউ চীৎকার ক'রে ঝগড়া করবে আজ
সুপারি গাছের বাসায় ডিম পেড়ে যাবে বসন্তবাউরি
মোবাইল স্ক্রীনে অচেনা মুখ চোখ বুজেছিল কাল
সেই ছবিটাই বাঁধাই করছিলাম তিন দশক ধ'রে।

পাশের রাস্তাগুলো কাউকে খুঁজছে কাল থেকে 
ফাঁকা বেঞ্চে বসে তারই গল্প করছে একটা লোক...





কয়েক'টা রাতের ব্যবধান 

নাব্যতা থেকে ফিরে আসছি তারা খুঁজে খুঁজে 
কয়েক'টা রাতের ব্যবধান পার হতে হতে
অনেকগুলো দীর্ঘনিঃশ্বাস গুনে রাখছি মনে মনে, 
তাছাড়া পাংশুটে একটা বেড়া পেরিয়ে আসতে
গনিত সংখ্যারাও ধূলো হয়ে উড়ে যাচ্ছে... 

আকাশ প্রদীপটা উড়ে যেতে যেতে... 

একটা বেঁজি পরিবার এসেছিল সাত সকালে 
পুটকে দু'টো বেশ বড় হয়ে উঠেছে... 

হাতের তালুতে অবাক হয়ে বসে আছে অস্থিরতা 
আলতো ক'রে শিকল খুলে দিতেই নীল আকাশ! 

ফিরে আসছি একটা সবুজ পাখির গানের পিছনেই
উষ্ণ হাতগুলো স্পর্শ করবো এবার....
















গোবিন্দ ব্যানার্জি

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন