বাড়ানো হাতের স্পর্শে

জানতাম না এইভাবে কাছে এসে অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যায়। রান্নার ভেতরে ঢুকে দেখলাম আলু জল হলুদ পাঁচফোড়ন কারোরই কোনো নিজস্ব ঠিকানা নেই। শুধুমাত্র একটা পথ, দেওয়ালে দেওয়াল ঠেকে যায়। একটা মাত্র আলো যেখানে তারা সমরেখ বিন্দুর মতো দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ানো হাতের স্পর্শে বুঝতে পারি, বাড়ির চৌহদ্দি ছাড়িয়ে ঝোলের ভেতর ডুব দিয়েছে বলেই কেউ আর মুখ বেঁকায় না।





বাপ-মায়ের বাড়ি 

এই দ্যাখো, আমার মনের মতো করে আমি তোমার কাছে বসে আছি। কখনও আমাদের সম্মতির সেতুর ওপর, কখনও বা কাছে দূরে ----- অনেক জায়গাতেই ভাঙা ভাঙা, কিছু জায়গায় রঙ চটা, যখন তখন হুটহাট করে আজ আর উঠে পড়াও যায় না। অনেক অনেক নীচে দিয়ে বয়ে যাওয়া জলের শব্দে গান গাই, কখনও শরীর দুলে ওঠে। তোমার চোখে কোনো জল নেই ----- কাঠ হয়ে বসে থাকাে। তবুও আমার একটা জানলা হয়েছে। মেয়েকে নিয়ে সেই জানলায় দাঁড়ালে দিগন্তের গ্রামটাকে বাপ মায়ের বাড়ি বলে মনে হয়। 





কুয়াশা-মাখানো গলিটার শেষে

ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিগুলো খুব ভালো লাগত। আপনার ছবি। এখনও লাগে। কতদিন আর 'তুমি' আড়াল করা যায়। কুয়াশা-মাখানো গলিটার শেষে বটগাছটার নীচে একটা গোটা সন্ধ্যে বসতে খুব ইচ্ছা করে। তোমার দরজার গায়ে হাত রেখেও ফিরে এসেছি। ইনবক্সে বলেছি তোমাকে। কোনো সাড়া নেই। ঝিঁঝিঁ ডাকা সন্ধ্যের ভেতর গলিটায় এখন একটু একটু করে কুয়াশা নামে। আমি রোজ গলিপথ ধরে একা কুয়াশা মাখতে মাখতে সন্ধ্যের বটগাছের নীচে এসে অন্ধকারে ডুব দিই।













হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন