তাহাদের কথা
ভাবতে চাইনা বলে পর্দা সরালেই
ভাবনারা আসে--
শুধু মণিকর্ণিকা ঘাটের প্রস্থালু ছায়া
জুড়ে থাকে আমার সারা বুক
প্রতিদিন চিতা থেকে শূন্য মানের প্রেমিকারা
সবুজ গল্প নিয়ে মিথ জলে ডুব মারে
তারা সকলে ট্রোপোস্ফিয়ার থেকে
তারিখের অপেক্ষায় নতবিন্দু হয়ে
ঝরে পড়ে রোমান্টিক জানালায়
ঝাউগাছের ডালে প্রাচীন বিকেল হেলান
দিয়ে ঝড় উঠিয়েছিল পাতলা বিনুনিতে
অতঃপর চিল উড়ে গেছে...
নক্ষত্রদের পাশের পাড়ায় আমার জমি
তার উঠোনে দাড়ালে অপরিণত ঘরদের
প্ল্যানচেট দেখা যায় ।
চাঁদনী কলকাতা
বাথরুম থেকে চাঁদ দেখা যায়
ক্ষতগুলো ধুয়ে যখন নালায় মেশে
সেটা চাঁদ দেখে--
এই শুভদৃষ্টি পর্যায়ে আমরা বুঝতে পারি
ভালোবাসা শিকড়ের মতো অন্ধ নয়
ভাবনারা ঘনীভূত হলে ত্রিকোণমিতি
থেকে উড়ে যায় তারাদের রূপকথা
জীবন জুড়ে অপাদান কারকের ছড়াছড়ি
তার মধ্যে ভাঙা বাঁশিটাতে মৌমাছি বাসা বেধেছে
প্রভোকেশনে মত্ত মুক্তি....
ওকে ভালোবেসে ফেলেছি(বিশ্বাস করিনি)
আফটার অল এই দেশে ইচ্ছামুক্তির স্বাধীনতা আছে
তার উপর ভর করেই টর্ন প্রেমে ভরে উঠছে আমাদের কলকাতা।
মৌচাক
হল্টারনেক রাতপিঠের
কালশিটে কেউ দেখে না
আর কালো হবার এটাই মজা
কেউ মন দেখে না
ব্যাথাও দেখতে পায়না
তাদেরই পুঁজ থেকে এক
অদ্ভুত মধু তৈরী হয়
যা সকালের আলোয়
ঘর-সংসারে মাথুর
পর্যায়ের চকমকি পাথর ।
পরিচয়:
সাম্প্রতিক সময়ে তার কবিতার স্বর ভিন্ন। নিজেকে ভিড় থেকে ঠেলে অন্য পরিসরে নিয়ে যাওয়া নৌকোয় তার অক্ষর। অক্ষরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গভীর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন