আঁধার স্বাদের শিশুরা 

তাদের শৈশব হতে তারা প্রোসেস করে পাঠায় কফি ও কালো চকোলেট 
আলিফ গেঁথে যাওয়া আমাদের সন্ধ্যা কপাল আর প্রেমের বয়ামগুলো অতিরিক্ত মেরুন করে তুলবে বলে।
প্রাচীরের ভেতর তারা নামে লিংক বেয়ে, মানবিক দুঃখ পোষণ পর্দায়

গাঢ় রঙের আফ্রিকান ত্বক: আত্মহত্যা করবে করবে এমন ভাব কোনো একান্ত নাটকীয়তাকে ব্যাপটাইজ করা ডার্ক আর্ট 

স্বপ্নের দিবা-স্তন পান না করা আর কোকো ধুলোয় খচখচ শিশুচোখগুলো কখনো হয়তো, লবণপ্রক্রিয়ার কাঁচামাল হতে পারবে না
এমন চিন্তায় ইস্পাহানীমুখর দুই থেকে তিন বেলা।

যেনো এ যুগে একমাত্র সুশাসক, ব্যস্ততম জিভকে  জানাই এমন সাধুবাদ
আমাকে শুধুমাত্র চা প্রেমী করে তোলার জন্য।

(কফি ও ডার্ক চকোলেট প্রস্তুতকারী আফ্রিকান শিশুদের যন্ত্রণাদগ্ধ শৈশবকে কেন্দ্র করে লেখা)





গ্রাফ কাগজ


একটা অভিমান
হলো অধীশ্বর 
সকালের কুসংস্কার আলোয়


জলবোধহীন 
সাঁতার সাহস
তন্দ্রা জাগরণ
স্বপ্নখুন শপথ

হৃদয় দিয়ে 
ভাঙলে পাথর
প্রবাল দ্বীপে
তন্ত্র অনল

কোন শূন্যতা দেবে ন্যায়? 





রাতের নেই দোষ
চোখ ফ্রিজে বহুকাল
জমাট নির্বোধ লাল

প্রতি সকালে 
মেয়াদ শেষকালে
ভীষণ জাগে
কালো কালো ক্ষুধা

হৃদয় ভোজন
হতে না পারা
শিমুলগন্ধা রাত
ফিনিক্স মতো পিয়ন

তুষ আগুন চিঠি
নিরক্ষর সন্ধ্যা বুকে
কামনা থাকে না
তুলো খেয়ে হাসি

ভাস্কর্য নিথরেও
অপমান রমরমা!


কাঠুরে ছায়া
দেখালো কলব
কতো হতে পারে 
নিশ্চুপ কাঠফাটা!



অভিমানের অভিমান
খেয়ালি তারায়
টেলিস্কোপ আশ্রয় 

অবহেলায় আরো বেশি
অবিনশ্বর মৃতপ্রায়




মায়াপুরুষ: মিসকনসেপশন বিফোর দ্যা এন্ড

নির্ধারিত প্রেমিকের ডেকচিতে
  তার মনন মগজ কালা ভুনা
     আত্মা হৃদয়ের ভুনা খিচুড়ি

গন্ধে মাথাখারাপ অবস্থা!
উঁকি দিলাম মায়াবী রান্নাঘরে

দেখি--

দানশীল দেশপ্রেমিক বাবাজি সবটা আগেই বিলিয়ে দিয়েছেন
বাসার সামনে লাইন ধরা যতো বেইমান নাগরিকদের পুটলিতে










এ্যালেইনা হোসেন



পরিচয়:


‘পরিচয়’ শব্দটার সাথে যতো অবগত আমরা ততোটা পরিচিত না। যেমন আপনার পরিচয় কি? এটার উত্তরে যদি বলি আমি এ্যালেইনা, এ্যালেইনা হোসেন, তাহলে এই উত্তরে সবটাই কি লীন রইলো না? যদি বলি শ্যামলীর বাসিন্দা, তাহলে এটুকুতে বুঝা যাবে না শ্যামলীর আকাশ আদৌও কি দেখি নাকি, বা এই এলাকা জুড়ে আমার বিস্তৃতি কতটুকু। বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও যদি উল্লেখ করি, তাও বুঝা যাবে না যে সেই প্রতিষ্ঠানের রেকর্ডে আমার পাওয়া নাম্বার গুলা কেমন পুরানো কোনো বাসার ঝুলের মতো ঝুলে আছে, আর শিক্ষক শিক্ষিকারা কেউ শেয়ালের মত সেই বাড়ির আশেপাশে ঘুরঘুর করে নাকি! পরিবারের সদস্যদের নামও যদি আনি, সেই নামগুলো কতটুকুই আমার কবিতার আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে, সেই হদিস-- পরিচিতির দেশ বিদেশ সাইক্লোন ঘূর্ণনে পাওয়া যাবে না। দুঃখিত, তাই প্রথাগত পরিচয় দেওয়ার বিপক্ষে থেকে পরিচিতি এখানেই শেষ করছি।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন