নিমাই জানা






ডায়টেরিয়াম ও পরিযায়ী শ্রমিকের নীল দাঁত

ডয়টেরিয়ামের নারীরা শ্মশান ছায়ার নিচে দাঁড়ানো নভোচারীদের পাললিক রেচনতন্ত্রের ক্লোরামফেনিকল আগুন খাওয়াচ্ছে এখন
আমি প্রতিদিন শূণ্য শ্রেণীর তৃতীয় দশমিকের উপর বসে থেকে নিযুত সংখ্যার গুণিতক নির্ণয় করে চলি সালমোনেলা দাঁত দিয়ে
চাঁদের মতো সরোবর স্নাত শিশুদের পিঠে থাকা নীল রঙের জামার ভেতর অসংখ্য পিতামহীরা এসে আমার সামনে বসে পড়েন গণিতের শিখন সামর্থ্যের পেতল থালা নিয়ে
বোধিবৃক্ষে মূলরোম শীতল জল , প্রাচীনকাল নেমে আসে একটি জলাশয়ের রাত অলৌকিক পরিযায়ী শ্রমিকদের ভেতর






বৈকুণ্ঠ নাবিক ও গিলোটিন ভ্রুণপোকা

সকলের একসময়ে ক্ষুধা পায় না , মকরন্দ ঠোঁটে পাহাড় জমে জমে তাজ্জব হয়ে যায় গিলোটিন ভ্রুণ পোকাযন্ত্র
আমি পাঁজরের কাছে বসে থেকে অদ্বৈত শব্দের দ্রাব্যতা মেপে চলি , নারীটি প্রাচীন আয়তাকার শিখার উপর বসে কালো কালো হরফ দিয়ে পুড়িয়ে চলে একগুচ্ছ ম্যালপিজিয়ান ,
রাতের দিকে যারা বাড়ি ফেরে তাদের সকলেই ধূসর রঙের দেখতে পায়ে বিষাক্ত সাপের কামড়ের দাগ থাকলেই অচৈতন্য হয়ে যায় ত্রিভুজের শিরদাঁড়ার সংক্রমণ , বৈকুণ্ঠ নাবিক
আমি নাভি বিন্দুকে মৃত জরায়ুদ্বারে আঁকড়ে রাখি অজস্র জামার অবয়ব দিয়ে, 
জ্ঞাতা নারী নাভির কাছে বৃত্তাকার গর্ত খুঁড়ে চলছে অঙ্কুরোদগম কালে, তৃষ্ণা নামক সাসটেন্ট রিলিজ অসুখটি ভৌগলিক উপবৃত্তের নাম






অযোগবাহ নাব্যতা ও সপ্তসুরের নারী

রুদ্রাক্ষের যতিচিহ্ন ভেঙে যায় অযোগবাহ পাথরের কাছে থাকা মৃতসঞ্জীবনীর কাছে
সূক্ষ্মকোণে ঘুমিয়ে গেলে পায়ের গোড়ালির কাছে নাব্যতা বিষয়ক প্রার্থনাসূচক অব্যয় গুলো বিবিধ আর্যাবর্তের দিকে চলে যায়
বাবা হঠাৎ ঘুমের ভেতর লাল রঙের মাধ্যাকর্ষণজনিত ঔষধ গুলো খেয়ে নেয় সহজাত দক্ষিণ দিকের জানালায় মুখ রেখে  ।
আমাদের বেহালার সপ্তসুর কি ঝাউ পাতার মতো বেজে ওঠে,  আর কোন অমেরুদণ্ডী প্রাণী নেই একটা দুধ বর্ণের সপুষ্পক বাগানের কাছে এসে দাঁড়ালে পচন সংক্রান্ত  কশেরুকায় দেখতে পাই আমার নারীটি রতিক্রিয়ার পর পান্থপাদপ হয়ে গেছে
আমাদের বিলম্ব বৃত্তের লুনাটিক চাঁদ মেরু পালক হয়ে নেমে পড়বে হিমাঙ্ক বরফের উপর ,







রামভদ্রপুর ও অ্যামাইলেজ ধান গাছ

শৃঙ্গারের প্রাচীন লুম্বিনী প্রেমের স্যমর্থা শব্দটি একান্তই আবেগের , রাতের দুটি স্তন থেকে ছয়জন মানুষ স্তনপান করছে
ব্রজ গোপীগণ একান্তই সামর্থ্যা নারী ছিলেন চন্দ্রাবলীর মতো
প্রতিটি রাতের ভেতর মোমবাতির জীবাশ্ম পু্রুষেরা মন্বন্তর কাল গণনা করে যাচ্ছে শিরদাঁড়ার পাশে ৪৯° প্রতিবন্ধী পূরক কোণ দিয়ে ,
কালার ডপলারের শীর্ষেন্দু পুরোহিত ব্রণ ও ভ্যাজাইনাল বিন্দুর পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেন না কোনমতেই
অন্তর্বাস কোকিলটি নৈঋত ধান গাছের উষ্ণতা নিয়ে রামভদ্রপুর মাঠে নেমে যাবে এমাইলেজ লবণাক্ত ঠোঁট নিয়ে
আমি পিচ্ছিল পুরুষের মতো দিবাস্বপ্ন দেখেছি আকন্দ ফুলের তরুক্ষীর সমৃদ্ধ ফুসফুসীয় শিরা দিয়ে , আমাদের কোন গোনাডোট্রপিক ছিল না







বেগুনি চৌকাঠ ও ক্রোমোজোম বাবা

বেগুনি রঙের বাবারা কাঁটা কম্পাসের ভেতর বসিয়ে নাগরদোলায় চড়ানোর নাম করে দ্বিতীয় জন্ম দেখায় , পুরোহিতহীন চৌকাঠের আগুন সজ্জার ভেতর
আমি উড়তে থাকি রান্না ঘরের প্রতিটি চৌকাঠ জুড়ে , রাত্রি আমাকে জগৎবল্লভপুর থেকে নিয়ে আসে মায়ের অসুস্থতা জেনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি জানালার দিকে মুখ করে , ক্রোমোজোম পেঁচানো শিব লিঙ্গের মাথায় থাকা গোলাপি যতিচিহ্ন কখনো অসুখের নয় , ঈশ্বর আমার মতো পতনশীল জৈব যৌগ সৃষ্টি করছেন ক্যাটায়ন পাথর দিয়ে
পাখির ডানা বলতে কার্সিনোমা আক্রান্ত রূপকথা মানুষদের তলপেটকেই বোঝায়
বৈকুন্ঠের পাশাপাশি নগ্ন বস্ত্রালয়ের পাশে জমে থাকা বৈশাখী পূর্ণিমার শব্দ উড়ে যাবে খনিজহীন প্রোতাশ্রয়ের দিকে







ঘুম একটি  ঋণাত্মক সহবাস

অজস্র ব্রহ্মার সাথে ভৌগলিক সহবাস করে ফেলবে আমাদের ভূগর্ভস্থ নদীর অনেক নিচে থাকা প্রাচীন জলাশয় ভেবে
কোন এক ঈশ্বর বারবার জন্মগ্রহণ করে ফেলবেন মৃত্যু নেই বলে নিজের বাম অঙ্গ থেকে সৃষ্টি করবেন হ্লাদিনী মধুক্ষরা নৈশযাপন কথা,  পোশাকের রং সেন্ট্রিওল নদীর মতো ধূমায়িত অনুর্বর ছায়া আমাদের জিভে শিউলিপুর জেগে আছে বিনিদ্র নৌকার তলপেট নিয়ে
আমি আলকাতরার ভেতর নিজেকেই জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ি কর্কটক্রান্তি রেখা নিয়ে , ঘুম একটি দশমিক সংখ্যার মতো শরীর থেকে জামাটি আলগা হয়ে যায় প্রাচীন মোহগ্রস্থ ছাত্রীটির মত আমি ছত্রাকের সহবাস দেখেছি ঋণাত্মক চিহ্ন মাথায় দিয়ে
ব্রহ্মার দেহ থেকে আরাধ্যা নামের মঞ্জুরি বৃক্ষটি ধূসর হয়ে শুয়ে আছে মহেশ্বর ও কালিতটের বিবিধ রসায়নে
শুকদেব গোস্বামী অদ্বৈত মাহাত্ম্য কথা শুনছেন পিথাগোরাসের মতো প্রাচীন এক কর্ণকুহর দিয়ে







নীল পোশাক ও লিউকোপ্লাস্ট মা

জন্মের মতো আর কোন উপবৃত্তাকার ঘুম নেই ,  আমি প্রতিদিন মৃত্যুর অজস্র দানাদার লোহিত কণিকার ভেতর নিকোটিন ভরিয়ে রাখি স্কিজোফ্রেনিয়ার ডান হাতের মতো
বল্মিক কালপুরুষেরা  শ্রাবণী নক্ষত্রের লিউকোপ্লাস্টের বৃত্তাকার আগুন খেয়ে ফেলছে আমার মৃতভোজী মা
এখানেই একবার বিমুগ্ধ চরণ ফেলে যাবে লাল রঙের গোলাপি জীবনচক্রে , সঙ্গমবিহীন পরাগের মতো পড়ে আছে মৃত কাঠের আসবাব , মৃৎশিল্পী একাকী দেহ ঘরের ভেতর রাইবো নিউক্লিকের সেতার তৈরি করছে ঔষধ বৃক্ষের নীল রঙ পোশাক দিয়ে
পিশাচের দল নেমে আসবে স্বাভাবিক সংখ্যার উপনয়ন দিনে , রোহিতেশ্বল একাই চলেন লোমশ পাহাড়ের গিরিখাত ধরে,  আমি নারীদের মধ্যরেখার ভেতর নিরক্ষীয় ভূগোল খুঁজে চলি
আমি সংক্রমণ মার্কা বালিকা বিদ্যালয়ের তৃতীয় দুপুরের মূলরোম , মধ্যরেখা অসুখের বিছানাটি চৈত্র মাসে সহগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আমি বিয়োগান্ত দুপুর লিখে ফেলি মৃত জিরাফের স্তনগ্রন্থির কাছে , বর্ণসঙ্কর রাখি নিজের ভেতর








মুক্তিবেগ ছিদ্রাল দ্রাক্ষা ফলের মতো

এসকেপ ভেলোসিটি মাখা অসংখ্য পাটিগণিত ছায়া দেখি
যারা কখনো নগ্ন নয় পাখির ঠোঁটের মতো বৃত্তাকার চাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে রাত্রিকে খেয়ে ফেলি অ্যাসপারাগাস নরম মদের ফেনিল অধাতু দিয়ে
রুপালি রঙের চিল পাখির মতো স্নিগ্ধ দ্রাক্ষাফলের পরিযায়ী উপবৃত্তি জুড়ে জ্যোৎস্নার নির্জন যৌনঘর খুঁজে চলেছি
কেলেঘাইয়ের উপবীত সংস্কার ফেলে আমি নখলোম ত্যাগ করছি পরিতক্ত পোষাকের ভেতর জমে থাকা তৃতীয় বন্ধনী থেকে
৩২ দৈর্ঘ্যের ক্ষীণকায় আগুনের ভিতর স্বভোজী বক্ষবন্ধনীর পাশে একটি সমুদ্রের নাব্যতা কুড়িয়ে চলি
আমাকেও কেঁদে নিতে হবে কিছুক্ষণ , এই রাতের করাত কলটি অজস্র রক্তবিন্দু চেটে চেটে খাবে লোহার তারের মতো পাখিদের গলাদ্ধকরণ ঠোঁট দিয়ে
কংক্রিট আকাশমনির পাতার ভেতর লাইসোজোম লতিকা গুলো পিথাগোরাসের ঠোঁট কামড়ে খেতেই  হলুদ রঙের যুবতী গোলাপ ধীরে ধীরে জড়িয়ে ধরলো আমার দুর্গন্ধযুক্ত স্বচ্ছ ফিনফিনে পাথর স্পর্শহীন লজ্জাবতী আকাশ
পুরুষদের কখনো কখনো নপুংসক হতে হয়

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন