তানিয়া হাসান










এক্কাদোক্কার নিকেশ 

ক্ষতি পূরণের অজুহাতে গুনগুন করে যে গতকাল 
বরফের বৃষ্টি ছলে সে-ই হয়তো 
কাচের দৃষ্টি কেটে গড়বে, জোকারের আয়না
তিন অংকের গুনফলে ঢেকে গিয়েছিলো যে বাজিগর 
জং ধরা কলিং বেল কিংবা হীরার ঝলকে
সে কুহু কুহু ডাকে

তাসের ঘর নিংড়ে নিয়ে সমুদ্রের রঙ
সিঁড়ি ভেঙে  মিলাতে চায়
আঠারো হাজার বর্গমাইলের দূরত্ব 

মুমূর্ষু নীল পেখম এক্কাদোক্কা বয়সে
জানালার গ্রীলে বন্ধক রেখেছিলো নিরীহ  নাকফুল 
বহুগামী বরষা তারে জড়িয়ে রাখেনি বিনিসুতোয়

কাঠঠোকরার  ঠোঁটের তীব্র স্পর্শে ধর্ষিত 
করেছে কাঁচা ভোর
অগ্নিগিরীর গতিপথ বদলে ফের সে 
লেবুর শরবত হাতে
ঝলসে যাওয়া  টিপের বর্গে স্থাপন করতে
চায় বাহুহীন রম্বস 

এমন বিমলা ইশারায় কাজী সাহেব 
প্রেসক্রিপ্ট করে মৈথুনের কলাকৌশল 
আর টুকরো টুকরো হয় আযানী স্বপ্ন








ভাঙা সুন্দরের বিলাপ

চোখাচোখির উচ্চতার মতই খাটের দৈর্ঘ্য ইঞ্চিখানেক বেশিই ছিলো
তোমার সাতশত স্কয়ারফিট ফ্লাটের  বসার চেয়ারের পাশেই ঘুমালো তাই সেকেন্ডহেন্ড মাচিলা। ভাঙাসুন্দর একত্রিত করেও দাগের দ্রোহে শোবার ঘর আইবুড়োই রয়ে গেলো । হুহু বইলো  আলমারির ব্লাউজ রাখার হেঙ্গারে। শোপিসের প্রেমঘন্টায় অত্যাচারিত  শব্দধ্বনি জানান দিচ্ছে উড়ালের আয়ু ফুরিয়ে এসেছে।
আষাঢ়ি একুরিয়ামে টলমটল বুকে তুমিটা গেঁথে থেকো। না-ই বা হোক হেফজ সিঁদুরের নামতা!
আমাদের নিঃশেষ শ্বাসের ধুলোয়  একটা নয়নতারা হয়তো  হাসবেনা। মরণোত্তর  দেহদানের প্রতিশ্রুতিতে কবরেও  সেলাই হবেনা  তকদীরে তকদির.... 
আমরা কোথায় পাবো বলো আমাদের! 







ব্যাসার্ধের ঊর্ধ্বে যে টুংটাং 

পহেলা ফালগুনে শিমুল রঙে লিখি যখন মায়ের হাসির লিষ্ট, বাজারের শেষ পথে দাঁড়িয়ে হাঁসের মাংস ভূনায় দুচামচ মরিচের গুড়ো বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে লাল হয় কষাকষি  খুনসুটি, ফুটপাতে আনন্দ কিনে, বিলিকাটি অভিমানের বাগদান
আমাদের ভালোবাসা দিবসটি তখন  সংসারে বীজ বুণে, বর্ধিত হয় অধিকারের ব্যাসার্ধ,উর্বর চুমুতে  ডাসা হয় ফলের ফিলোসোফি। 
দেওয়ার মত কিছু অবশিষ্ট না রেখেই আমরা প্রসব করি সমুদ্র। দেওয়ালে হেলান দিয়ে আদিজোয়ারে বেড়ে যায় সংসারে সদস্য। একটা দোলনা কেনার বাজেট পাশ করতেই নিউজ অব হেড 
ধার্য্য করেন, সপ্তাহের মধ্যেদিনে ভালোবাসা দিবস আর এই বন্ধকার্যদিবসে ল্যাকটোজেন কিনতে ছাড় দেওয়া হবে যাবতীয় কর। পলাশ পলাশ ভাতের ধোঁয়ায় আমরা বেশ ভালো থাকি 
সবক্রিয়া করণ ক্রিয়ার ধারায় ভুলিয়ে দেয় নষ্টালজিক ব্যাকরণ 
দ্বিপ্রহরে রান্নাঘরের টুংটাং চাঁদ মেনে নিতে না পারলেও তরঙ্গের ভাঁজেই জীবন্ত থাকে আমাদের সংসার।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন