গোলাম রসুল
উচ্চারণের জন্য কোনো শব্দ নেই
আমার পবিত্র মাংসের বিষণ্ণতা
আমার পাপের জাহাজের ক্যাপ্টেন
আমি একটি মহাদেশ
লাখো পাখির আকাশ আমরা ঢেকে দিয়েছি
আমি পাহাড়ের একটি কুঁড়ি
শূন্যতাকে আমি বার বার বলেছি আমার বন্দিদশার কথা
উনুনের কাঠ
মেঘের দেহরেখা
যেখানে আমার মা রান্না করত ঈশ্বরের জন্য ভাত সেখানে এখন দুর্ভিক্ষ
আশা আর চাঁদের একসঙ্গে ক্ষয়
কবরের ওপরে
লাইব্রেরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাইওয়ের ধারে গলিতে সর্বত্র এখন চেঁচাচ্ছে একটি ক্ষয়ে যাওয়া রাজহাঁস
মৃত্যুর সাজঘরে স্পট লাইট ঘোরাচ্ছে বাজনার আলো
তুমি কি কখনও শুকিয়ে যাওয়া জলের শব্দ শুনেছে
যার অনেক দূর আগে থেকেই ঘুরে যাচ্ছে বৈঠা
রাশি রাশি মৃতদেহের ওপরে আকাশে বাজপাখি নেই ঈগল নেই
বই খবরের কাগজ টিভি জড়ো করা খেলনা
ধাপার মাঠের দিকে চেয়ে অনন্তকাল
বিষাক্ত উদ্ভিদ
গোপন ষড়যন্ত্র
গাড়িতে বসে আয়নায় আমি দেখলাম একশ মাইল দূরে
ঈর্ষান্বিত এক রোমান্টিকের চলে যাওয়া
বিদেশ থেকে পোশাক আসে
পুরস্কার আসে
মিষ্টি শুভ সন্ধ্যা
সন্ধ্যা
মাটির নিচে কালো এক নদী এসে কড়া নাড়ছে ধর্ম ঘরে
রাত্রির একটি আপেল বাগান
আর মানুষের ফোয়ারা
এত নকল
উচ্চারণের জন্য শব্দ নেই
লেখার জন্য রক্ত নেই আমার শরীরে
______________________
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন