নীলোৎপল গুপ্ত




অভিযাত্রী দল

একটা স্যাংচুয়ারির পাশ দিয়ে রাস্তা, দূরে নদী। সকাল অবশ্যম্ভাবী ছিল, তাই আলো ফুটেছে আকাশে। পাখিরা 'উল্লাস' শব্দের নিচে বসে শিস দিচ্ছে। গাছেরা গম্ভীর, প্রতিটি পাতার গায়ে রাত্রির অশ্রু। আমরা ঘর ছেড়ে বেরিয়েছি সেই কবে ! আমাদের দীর্ঘশ্বাসে পুরোনো চিঠির পাতা উড়ছে হাওয়ায়। কেউ হয়তো আমাদের আগে এ-পথেই হেঁটে গিয়েছিল। সেইসব ভ্রমণকারীর উচ্ছিষ্ট সংলাপের টুকরো ইতস্তত ছড়ানো ধুলোয়। আমরা আমাদের কথোপকথন ঝুলন্ত আকাশের কাছে গচ্ছিত রেখেছি। ফলে এই মুহূর্তে পাখির কলস্বর ও পত্রমর্মর ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই চরাচরে। অথচ আমরা পরস্পরের চোখ পড়ে নিতে পারছি অনায়াসে। স্পর্শের মধ্যে কীকরে অগ্নিকে রক্ষা করতে হয় সে-শিক্ষা আগেই পেয়েছি। সম্মুখে উদ্ভাসিত একটা টিলা দেখে আমরা সম্মোহিতের মতো হেঁটে চললাম। টিলার আড়াল থেকে সূর্য কীভাবে মুখ বাড়ায় তা আমাদের দেখা হয়ে গেছে। দিনের প্রান্তে সূর্য কেমন করে ডুবে যাবে, এখন তা দেখার জন্যেই আমরা উন্মুখ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন