রাখী সরদার
সূর্যহীন শূন্য কোণে
আয়নার অন্ধকারে দেখিআমি এক শবাধারে শুয়ে
আকাশে জেগেছে লোল হিংস্র রাত
অন্ধকার যোনির ভিতর উঠে আসছে চতুরের দল । তাদের হিংস্রতা ছিটকে
ঘরে ঘরে দাউ দাউ
সূর্যহীন শূন্য কোণে
লক্ষ লক্ষ শিশুর চিৎকার
চোখ জ্বলছে... নাক জ্বলছে
শব্দ জ্বলছে... সত্য জ্বলছে
যা -কিছু প্রিয় অপ্রিয় সব সব জ্বলছে
মাংস পোড়া স্বাদ নিতে
ছুটে আসছে হরেক শ্বাপদ...
তাদের চক্ষু সংকেতে কেঁপে উঠছে
থিরথির কঙ্কাল ।
শাপভ্রস্ট
যন্ত্রণার ও মৃত্যু হবে , জেনেছিলসে বহ্নি অঙ্গনা
ব্যথা-বিয়োগের মেঘ ছেনে
জুড়িয়েছে পুড়ন্ত কপাল ।
হে অভিরূপ দেখেছো? বিশ্বাস কেমন
কুটিল শরীরে বেড়ে ওঠে !
মৃত্যুঞ্জয়ী আলিঙ্গনে
ঠোঁটে নামে জোছনার বিষ
স্বভাবসুন্দরে সে শবরী
শুষে নেয় নীল চুমু।
দেখেছো তো অভিরূপ , কিভাবে সে অপাপবিদ্ধ ঠোঁটে লেগে থাকে
নিরাতপ হাসি
যেন প্রেমের বেদীতে পড়ে থাকা
শাপভ্রস্ট পারিজাত।
হাতছানি
মলিন -আমিকে নাড়ি চাড়ি ,
দেখি , কতখানি ক্ষয়ে গেছি
অর্ধেক বিশ্বাসে
বাকি অর্ধ মর্মে মর্মে সোহাগ-স্মরণ
আড়াল হয়েছি বলে
কি নিস্তার আছে?
ঘৃণার বদলে সব হাহাকার বুটিদার পাখি রূপে ডেকে ওঠে । একবিন্দু
কলস্বরে ধরা পড়ে আমার গোপন।
দ্যাখো,এটুকু নিশ্চিত
পিছু ও টান পেরিয়ে , পুনরায় হু হু
করছে আমার অনিভৃত অভ্যাস ।
উত্তরমুছুন"মলিন -আমিকে নাড়ি চাড়ি ,
দেখি , কতখানি ক্ষয়ে গেছি
অর্ধেক বিশ্বাসে" ...রাখীর কবিতা ভালোলাগলো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন