জয়িতা  ভট্টাচার্য-এর কবিতা 




উৎস থেকে

তবু এগিয়ে থাকি মিছিলে 
এবং প্রত্যেকটি অসাড় স্লোগানে।
আরো কয়েক পা এগিয়ে নশ্বরতার দিকে,
কয়েক পা অসুখের অথবা
কিছু রুগ্ন সুখের দিকে।
মেনে নিই সংশয় আর ডাল-ভাতের গল্প।
যে প্রান্তর জনহীন 
এসো, গড়ে তুলি ওখানে নবান্ন,
সন্ত্রাসময় অতীত ক্ষেত
শিশির দিয়ে মুছে দিই বিরহ।
অর্বাচীন স্বপ্ন ভুলে চলো
বিশেষ কোনো ব্যাভিচারের পথে।

ছেঁড়া চাঁদ। দরিদ্র চাঁদ,
চলো যাই এগিয়ে মোহনার দিকে।


                     


মধ্যাহ্নভোজ

এই টুকুই আছে দুহাত 
বাড়িয়ে নিস্ব হওয়া 
একগলা নিঃশ্বাসে ডুবে যাওয়া আর ভেসে ওঠা।
শুধু আছে একমুঠো জল।
পুকুরের পাশ দিয়ে কচি হাত চলেছে,  
ওরা সাদা হাঁসের মতো সাঁতরে পার হবে আকাশ।
চারটে দেওয়াল শিখিয়েছে উড়ান
সার সার মেঘের দল অপেক্ষা করে
চকখড়ি নিয়ে,
এখন ব্ল্যাকবোর্ডে রামধনু উঠেছে,
ওরা কাঁসি ভরা ডাল ভাত খাবে
সাদা বক এক পায়ে কালো জলে
থেমে থেমে মেঘ গোনে।
সবুজ ঘাসের দল নদী পার হয়ে চলে যাবে চাঁদের দেশে। আজ।
একদিন দুঃখকে জিতে নেবে যন্ত্রণা। তারপর মিছিল হারিয়ে যাবে সমুদ্রে। ভালোবাসা।
         




নিশানা

তত রাখঢাক নেই
অত কথাও বলি না
কারন কখন একটা শলাকা এসে চিরে দেবে
শব্দের বুক আমি জানি না।
জিভ কেটে ঢুকিয়ে রেখেছি ওয়ারড্রোবে।জঙ্গলে।
ততটা বুদ্ধি আমার নেই তাই
বুঝি না বিপদ আসবে কোন সীমান্তে।
সমস্ত আঙুল কেটে প্রায়শ্চিত্ত 
সমস্ত কাটা আঙুল তোমার উঠোনে।

এখন এক টুকরো স্বস্তির খোঁজে
ঘুরে আসি চাঁদের দোকানে। মধ্যরাতে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন