আমিনুল ইসলাম -এর



সবুজ টিয়া পাখি ~

২৮/০২/২০২২



কিছু কথার টুকটাক আঁচড় ~
কিছু শেখানো ছোলা-মটরশুঁটি-বাদাম ~

আর অযথা অভিনন্দনের
ফোড়ং জলের ওপর ~

এবং খাঁচার অহংকারে নিজেই নিজের
ডানায় অগুনতি তালাদের ~

এই পরমানন্দে মশগুল এখন...




জলের গভীরে পেটভরা জল~
কষ্টের লাগামখোলা ~

তবুও আশার মুঠো ধরতে
পাঞ্জার দশটি নখ~

এখন রক্তের তির্যক ধুয়ে টুপটাপ ...




লোমকূপে গাছটি স্বতেজ~
স্বতন্ত্র বর্ণমালায় স্বাধীন
ফুলের অহংকার ~

গনগনে লোহার হৃদয় ~

বাতাস ভারি জানালায় ~

গাছে গাছে লাল মৃদুমন্দ শিহরণ ~





তুই ওই দূরে মুখোশের ধূর্ত আলোয়~

বাতাবিলেবুর দেশে পণ্য নিজেই~

খদ্দের আসে, চলে যায় ~
মৌমাছি~
জাগরণ রাখে গোপন ঘরে

তোর নির্যাস সুধাময়





আলোয় আলো, অন্ধকারে~
মূর্ছিত সবুজ সকাল আঁশটে হাওয়ায় ~

এক অদৃশ্য ~
ফাঁদ পেতে বাঘকে খাঁচায় ~

সুতরাং
খাঁচার ভেতর অচিন চরিত্রের পাখি
রং-বে-রং ~

এখন এই ফুল বেলপাতা ও চন্দনে~
অদৃশ্য আমি শূন্য ~




যতদূর চোখ ততোদূর আলো

আ-সমুদ্র ~

জনগণ যতদূর অন্ধত্ব ~

ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজল

ততোদূর অন্ধ আমি
বন্ধা চারপাশ মুখরিত ~
বৃথা উপভোগ কৃপণ অবয়ব

ধোঁয়া ধোঁয়া উদাসীন ~




স্বেচ্ছা মৃত্যুর দিকে খসছে ~

আলোয় সাজানো উঁচু উঁচু শহরের খাঁচা

ফুরফুরে  ~

বেহাল দৃশ্যের উৎপাত

আসলে স্বেচ্ছায় মত্যুবরণ

এ সাম্রাজ্যে নতুন কিছু নয়




যদিও তেমন কোনো উপায়~
তেমন কোনো পন্থা
অবলম্বনে জলের কাছে
নেভানো গেল না দৃশ্য~

ফুল ফোটার আগেই খসেছে
কচিকাঁচা বৃন্তের দৃশ্যান্তর~

আর যদিও তুই চোখের ভেতর সূর্য পুষে
নিভিয়ে দিলি সব প্রদীপ




১০

মোমবাতিটি জেগেছিল ~

শোকসন্তপ্ত মূর্তির পায়ে
রেখেছিল তুল্যমূল্য ওর আচরণ~

সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে চেঁটে নিচ্ছিলেন বিচারক
দর্শকদের ভীড় উপচে নুন-লংকা-তেঁতুল

অসার দেহের মোম
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সপ্রতিভ
দৃষ্টিতে উড়িয়ে দিচ্ছিল প্রজাপতি

কলিজা নিংড়ানো একঝাক পতঙ্গভুক

ম্রিয়মান মূর্তিস্বরূপ ~

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন