আমিনুল ইসলাম -এর
সবুজ টিয়া পাখি ~
২৮/০২/২০২২১
কিছু কথার টুকটাক আঁচড় ~কিছু শেখানো ছোলা-মটরশুঁটি-বাদাম ~
আর অযথা অভিনন্দনের
ফোড়ং জলের ওপর ~
এবং খাঁচার অহংকারে নিজেই নিজের
ডানায় অগুনতি তালাদের ~
এই পরমানন্দে মশগুল এখন...
২
জলের গভীরে পেটভরা জল~কষ্টের লাগামখোলা ~
তবুও আশার মুঠো ধরতে
পাঞ্জার দশটি নখ~
এখন রক্তের তির্যক ধুয়ে টুপটাপ ...
৩
লোমকূপে গাছটি স্বতেজ~স্বতন্ত্র বর্ণমালায় স্বাধীন
ফুলের অহংকার ~
গনগনে লোহার হৃদয় ~
বাতাস ভারি জানালায় ~
গাছে গাছে লাল মৃদুমন্দ শিহরণ ~
৪
তুই ওই দূরে মুখোশের ধূর্ত আলোয়~বাতাবিলেবুর দেশে পণ্য নিজেই~
খদ্দের আসে, চলে যায় ~
মৌমাছি~
জাগরণ রাখে গোপন ঘরে
তোর নির্যাস সুধাময়
৫
আলোয় আলো, অন্ধকারে~মূর্ছিত সবুজ সকাল আঁশটে হাওয়ায় ~
এক অদৃশ্য ~
ফাঁদ পেতে বাঘকে খাঁচায় ~
সুতরাং
খাঁচার ভেতর অচিন চরিত্রের পাখি
রং-বে-রং ~
এখন এই ফুল বেলপাতা ও চন্দনে~
অদৃশ্য আমি শূন্য ~
৬
যতদূর চোখ ততোদূর আলোআ-সমুদ্র ~
জনগণ যতদূর অন্ধত্ব ~
ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজল
ততোদূর অন্ধ আমি
বন্ধা চারপাশ মুখরিত ~
বৃথা উপভোগ কৃপণ অবয়ব
ধোঁয়া ধোঁয়া উদাসীন ~
৮
স্বেচ্ছা মৃত্যুর দিকে খসছে ~আলোয় সাজানো উঁচু উঁচু শহরের খাঁচা
ফুরফুরে ~
বেহাল দৃশ্যের উৎপাত
আসলে স্বেচ্ছায় মত্যুবরণ
এ সাম্রাজ্যে নতুন কিছু নয়
৯
যদিও তেমন কোনো উপায়~তেমন কোনো পন্থা
অবলম্বনে জলের কাছে
নেভানো গেল না দৃশ্য~
ফুল ফোটার আগেই খসেছে
কচিকাঁচা বৃন্তের দৃশ্যান্তর~
আর যদিও তুই চোখের ভেতর সূর্য পুষে
নিভিয়ে দিলি সব প্রদীপ
১০
মোমবাতিটি জেগেছিল ~শোকসন্তপ্ত মূর্তির পায়ে
রেখেছিল তুল্যমূল্য ওর আচরণ~
সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে চেঁটে নিচ্ছিলেন বিচারক
দর্শকদের ভীড় উপচে নুন-লংকা-তেঁতুল
অসার দেহের মোম
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সপ্রতিভ
দৃষ্টিতে উড়িয়ে দিচ্ছিল প্রজাপতি
কলিজা নিংড়ানো একঝাক পতঙ্গভুক
ম্রিয়মান মূর্তিস্বরূপ ~
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন