এ্যালেইনা হোসেন-এর কবিতা
বন্দিনীর মাদুলিমন্ত্র
সামুদ্রিক জেলখানা
জল সাধে জলের উচ্চাঙ্গ সুর, তরল ও বরফ মাঝে বায়বীয় তাল লয়
জীবনকোকড়ানো চুল
খুশকিমাখা উন্মাদনায় বিলি কাটে আত্মবিপ্লবী আঙুল
কবিত্ব মহামারী
কার কাছে কোন খেলাপে তারা অন্তর্জালে ছাঁকে গ্রাফিতি?
শূন্যতা স্নিগ্ধা
আবেগেরে শূন্য করে আঘাত আর আঘাতেরে বানায় বিকল্প হৃদয়
মাংস ও সুরা আল্লাদ
পানশালার সিলিং ঝুঁকে ঝুঁকে যায় নারীকবির স্তনভিক্ষায়!
পলিথিনে অবিকার জল
ভূতুড়ে পায়ের শহরে টাঙানো জুয়াখেলা ঈমানী আঁতাত
পতনে উড়ছে পতন
শকুনিরে খেতে দিলে হৃৎপিণ্ড, আয়ুষ্কালে মজে যায় কাঙ্গালীর মজ্জা!
লালসুতোয় চন্দ্র প্রস্থান
*
সরকারী রাতটা মাঝে মাঝে দুর্নীতিবাজ প্রেমিক
পাইকারি দামে বেঁচে ব্লুমুন, বিছানার নিয়ন শ্রম
*
বেসরকারি গৃহবাসে--'যৌবন অপচয়কারী শিল্পের সহোদর'
শেখা যায় নিজ সাথে মৌনসঙ্গম
*
কিছু (লাল সুতোর) মঙ্গলবার, সেলাই মতো শান্ত অস্থির
কোথাও কোথাও ফুটো দেখে মনে করে সুঁচ বুঝি!
*
অপচয়কারীর মধ্যরাত দুর্বাসনা-- সিগারেটের শেষটান মতো মুখে নেবে উত্থান!
*
অযত্নের পরকীয়ানীল টান্সফর্মার
খোঁজ রাখা হয়নি এক্সপ্লোশনের আগে
রাত কাঁচ গলিত কালোয় মাখামাখি বিশ্বস্ত স্তন!
*
অন্তর্বাস আগুনডানা মেললে মনে হয়, আকাশই দেহের দেবতা...
*
মনে পড়ে, চাঁদটা একসময় হাঁটতো একসাথে পায়ে পায়ে মাথার উপর
হাঁটতে হাঁটতে হটাৎ (লালসুতো টানেই হয়ত) কবেই ভুললো শৈশব গ্রহপথ
ক্রিমসন কার্স
আজ স্বপ্নে দেখবা
কেমনে মদ মুখে নিয়া বেইমান মুখে ঢালি
সেই বুক, দলিল না দেয়া হারামি বুক
সেই নরম নিষ্ঠুরে, ক্রোধের আলাপে নামুক
মাতাল প্রেমিকার যৌবন সিডর
পাকস্থলীর ঠাণ্ডা জখম
আজ দেখবা স্বপ্নে কেমনে
স্পর্শ মারে কঠিন বান < গহীনে
মারছো যারে এতো যত্ন করে
জীবন খুলে সে-ই দেখাবে >= (ক্ষণিক+মৃত্যু দ্বারে)
অবোধ মাতলামি, অলীকে দেখে ঘামাবা
এ এক অশনি রাত, মঙ্গলদোষ সাধনা
শুধু প্রেম নয়, জানি সারসের খোয়াবনামা
চক্র থেকে চক্রের নাশ শেখা সর্বনাশা
কার্মা চিনি না, সে কোথাকার লাট
তোমারে চিনছি, ষড়যন্ত্রের ইউরেনাস
স্বপ্নে কাঁনবা, (শক্ত+লিঙ্গ) <= অপরাধ
কার্মা জানে না আত্মায় অর্গাজম স্বাদ
ভাঙলে বুঝবা ঘুম, কারে হারাইয়া
নগ্ন করলা দুঃস্বপ্ন, যোগ্য থুইয়া!
আজ (মাঙ্গলিক) প্রেমিকা স্বপ্নে দেইখা
চোখের জল (একাকী) উত্থানে মুছবা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন