গোলাম রসুল-এর কবিতা



হাওয়া নিঃসঙ্গতা নিয়ে আসছে

মধ্যরাতে  একটি জলাধার আমার কাছে আসে
আর নিস্তব্ধ জলের ওপর আমি সময় আঁকি
যেখানে জমানো অন্ধকারে একটি অভূতপূর্ব আলো চাঁদের মুখোশ পরে সূর্য 
একটি মুখ
আর মুখের টোল গুলো জলের ওপর ভেসে রয়েছে নৌকার মতো

হাওয়া নিঃসঙ্গতা নিয়ে আসছে

অপেক্ষা করে থাকি দিগন্ত থেকে আপনাআপনি  প্রতিধ্বনি গুলো  ফিরে আসবে

ভূমি থেকে আকাশ অবধি লেখা
আকাশ থেকে ভূমি অবধি মোছা
আর আকাশ হেলে রয়েছে আমার কাঁধের যেদিকে ব্যথা



পাখনায় ছোট একটি গৃহ

পাখনায় ছোট একটি গৃহ
ওড়ে না
এমন ছিল আমাদের স্বাধীনতার শর্ত

বিশাল মরুভূমিতে কোনো উত্তর নেই

অনুপস্থিত ছিলো পথ দেখায় যে বীজ

সংগীতের শেষে সন্ধ্যা নামছে জলসাঘর নিয়ে

আমার জন্য দিন ফেলে গেছে একটি পাখনার মতো শেষ কথা
 



জীবন

আমি পাখির মতো ধ্বংস হই আকাশে

নিচে ভূমির ক্ষেপণাস্ত্রের নিরবতা

দিগন্তে আমি কবরের ক্ষতস্থান দেখছিলাম

আমার দেখা একটি পালক উদ্ধত আলোয় লাফাচ্ছে




নিঃসঙ্গতা

আমি একটি গল্প
আমার কোনো নিঃসঙ্গতা নেই

কয়লা বোঝাই নৌকা গুলো নিয়ে একটি নদী আমার  ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে দিনরাত্রি

হাওয়ায় একদল ঘুমন্ত মানুষের মুখ
আমি নিরব থাকি
আর আমার চামড়া ফেটে বেরিয়ে আসে  একটি উপজাতি

আকাশে পাখিরা ছড়িয়ে পড়ছে যদি কোথাও পাথর থাকে




আমিও সেলাই করতে থাকি

গভীর রাতে আমি নিজেকে সেলাই করতে উঠি আর সারা আকাশের সেলাই গুলো ভেসে ওঠে

সোনার লণ্ঠন জ্বলছে দূরে অদৃশ্যে

আমরা অনুসন্ধান করতে যাই
নিজের চোখের ভেতরে মমির আলো

পাথর ঠাণ্ডা করছে হাওয়া আমার জন্য

শুধু বুকটুকু  সবচেয়ে উঁচু পাহাড়
সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাই নিচে
যেখানে শ্রমিকের মতো কাজ করছে হৃদয়
আর নক্ষত্রদের সাথে আমিও সেলাই করতে  থাকি

2 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন