হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারটি কবিতা
পারবো না
পারবো না বললেও সদর দরজা খুললেই একছুটে বেরিয়ে আসে পারবো, তারপরে মেঘলা দিনে আস্ত একটা কুয়াশার চাদরে জড়িয়ে গিয়ে ইচ্ছাটাই যেন কোথায় হারিয়ে যায়, তারপর বৃষ্টি আসে, আলো ক্ষেতে নূপুর বাজিয়ে সন্ধ্যে হয় কিন্তু ততক্ষণে মুছে গেছে ঘর, নামমাত্র কয়েকটি জানলাও হারিয়ে ফেলেছে ছবি, এখন উঠোন জুড়ে কাঁচা ঘুমে উঠে পড়া কিছু ক্লান্ত পায়ের এলোমেলো পদছাপ
সে
যখন তার কাছে যাই, বুঝতে পারি সে নেই। তাহলে কে আছে? যে বসে থাকে তাকে দেখে উৎস ভুলে যাই। চারপাশে তাকাই। সব রোদ্দুরে ভেসে যায়।
জানলা
রোদ হাওয়া চামড়ায় এসে লাগছে একের পর এক। অনেকক্ষণ থেকে আলোর চোখে পড়ে যাচ্ছে চোখ। নিজেকে বার করে দুয়ারে নিয়ে এসে দেখি জানলা। বুঝতে পারি আমাদের বলার মতো বুকের হাওয়ার অভাবে জানলায় চোখ রাখিনি কখনও। অথচ মেঝেটাকে চাষযোগ্য করতে পারলে জানলা দিয়ে দেখতাম চাষি মাঠের কাদায় দাঁড়িয়ে দূরের দিকে তাকিয়ে আছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে
তোমার সঙ্গে আমার কোনোকিছুতেই মেলে না। তবুও বৃষ্টিদিনে এক ছাতায় পাশাপাশি হেঁটে যাই। এক একদিন মনে হয় কোনো হাওয়া নেই। তবুও দুয়ারে এসে বুকের বোতাম খুলে দিই। তারপরই হঠাৎ আবিষ্কার করি তোমরা কোথায় যেন এক হয়ে গেছ। কপাল ঘেমে যায়। বুঝতে পারি এটা একটা লড়াই। আর যুদ্ধক্ষেত্রে ঘামতে ঘামতে আমি সকল চাওয়া ভুলে যাই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন