এ্যালেইনা হোসেন-এর কবিতা




উত্তরপত্র ২

বিভিন্ন রকম ধোঁয়ার রক্ত মূলত একটাই-- কুয়াশা। 
এখন সে তার ধারকের আগুনে সেজদা না দিয়ে কেনো হিমের কাছে চায় ঋতুর হাওলাত? বৈপরীত্য কৌতুহল কয় জলবায়ু ক্ষয়ে টিকে যাবে?

নৈরাশ্য-নর্দমা, তিনবেলা তিরিশ পেগ পান করা এক কবি কইছেন, এখন প্রশ্ন নয়, কবিতায় শুধু উত্তর আর উত্তর থাকিবে, যেনো প্রশ্নহীন ছাত্রত্ব আদর্শ 

এরপরই শুরু হলো উত্তরপত্র ফাঁসের ফ্যাশন

আগরবাতির মুখগুলোয় সুগন্ধী জোনাকি
উপরে উপরে ধোঁয়ারক্তের গরম উড়াল
চোখ মুখ নাকে ঝাঝ ঘষে ঘষে স্কেচবুক। 

জলছাঁটে 
    
        ভিজাই 
                   
                 ঝাঝ দমকে--

পানি চলে আসা
                       পৃষ্ঠাগুলোর
চোখনাক গর্ত প্রমাণ

উড়ে উড়ে ধোঁয়াজ্বালা স্কেচ
       নিঃস্বরণে জলরঙ, সেই মিথুন চিত্রশিল্প প্রমাণ--


পলেস্তা খসা আকাশের নিম্নগামী ঝুঁটি ধরে
এই শীতে তুমি জোর করে হয়েছো মরণশীল।।। 



শতরঞ্জিতা

যাচ্ছি, চেতন হতে অব, অব অব তরণে তোরণে। এ ঘূর্ণিতোরণ যে ভুলে যাওয়া আদি তীর্থ, 
ধারে তার ঘেঁষে হয়তো ধার চাই! আর ফেরাবো না বলে গুপ্তে ভাবি-- লু লু রজনী লুপ্ত লুপ্ত খেললো ত বহুত। আত্মার প্রাণীজগত এখন চক্র থেকে চক্রের রিপুদোষে বেনাকাব
সুকঠোর মর্মর প্রেমে তারা হিংস্র, লঙ্ঘনমগ্ন জ্ঞানী। চক্রের সবুজতরে এসে তারা শুঁকে যায়
কতোটা সোঁদা স্যাঁতসেঁতে হলো ঈষাণ মদে
কতোটা ঘুমরোদ পোহালো দেবীর অন্তর্গত সুস্থ পৌরুষ। 

হজমের পহেলা বিন্দু হতে ডাকি তারে সেই সৌর সওদাগর! যার তাপসাধনে-- 
    আত্মহত্যাকারী কবি ও তার অস্বীকার পত্র
          বেদনার অপসন্ন্যাস
                দুর্ভিক্ষে মরে যাওয়া মুক্তিসম্রাট, 
প্রাচীণ চিকিৎসক হতে ক্ষয়রোগে ধরা রুটিমন্ত্রের হাত
কেউ এখন কেউই এই অতি আধুনিক জন্মগতরে এক ফোঁটা,
আধেক পরমাণুও যেনো সইতে নারাজ।





টেস্টবাড ইনসাইড আউট

আত্মার সুগভীর জিভ দিয়ে চেটে দেখলাম 
মগজ তিতা হয়ে আছে
কবিরাজি ওষুধগুলোও একইরকমভাবে তিতা থাকে
তাই দুঃখজনক ব্যাপার, চিনি খেতে খেতে আমাকে নিরবে দেখতে হলো
দুই ভুরুতে আয়নাটা কুঁচকে গেলো না এক চাহনিও

আত্মার নিগূঢ় জিভ দিয়ে চেটে দেখলাম 
তোমার মগজ অতিরিক্ত মিষ্টি 
আর সমস্ত রোগের হোমিওপ্যাথ ওষুধই 
খালি কতগুলি চিনির দলা
তাই ভরসা হারিয়ে ওয়াসাবি মুখে নিয়ে দেখলাম,
ঝাঝ ধোঁয়ায় ঘেমে যাওয়া আয়নাটা
পানি খেলো না এক ঘষা আঙুলও।।


||

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন