নীপবীথি ভৌমিক-এর কবিতা
আজকাল
সমস্ত মৃত্যুকেই এখন গাছ ভেবে সাজিয়ে রাখি।
এই যেমন এই সদ্য ঘটে যাওয়া মৃত্যুটা !
একটা ভোর এসে ডাক দিয়ে যায় আমায়
আর আমিও খুঁজতে থাকি তার বসবাসস্থল।
এভাবেই যে কখন কোথায় কোন কোন মৃত্যুর সাথে দেখা হয়ে যায়,
অজান্তেই থেকে যায় খাতার হিসাব নিকাশ।
আসলে, সমস্ত মৃত্যুই আজ উৎসবের নিমিত্ত;
তাই বপন থেকে জন্মকাল, আমার কাছে
স্তব্ধতার থেকেও নিস্তব্ধ হওয়ার মোহলাভ।
সমস্ত মৃত্যুকেই এখন গাছ ভেবেই
সাজিয়ে রাখি।
ছায়া গান
এভাবেই চিনতে শেখা যায় নিখোঁজ হওয়ার গান।
ধুলো ঝড় এসে উড়িয়ে নিয়ে যায় যে ছায়াদের,
তারা কি আদও হয় নিখোঁজ ছায়া এসে
বরং ভিজিয়ে রেখে যায় ছায়ায় মেশা ঘরবাড়ি, জলছবি।
ছিঁড়ে যাওয়া বিকেলের ছবি কি খুঁজে পাওয়া
যায় আর কোথাও ? তবুও দুলে ওঠে তারা,
নিখোঁজ হওয়ার অদৃশ্য হাওয়ায় এভাবেই চিনতে শেখা যায় নিখোঁজ হওয়ার গান।
অর্জন
এগুলো আর কথার কথা নয়,
এগুলোই বাস্তব।
এই যে, ক্ষত বিক্ষত আগুন রং
এই যে নিরন্তর ছুটে আসা মৃত্যুপাখির ডাক...
হত্যা চলে হত্যা।
নিরবিচ্ছিন্ন অহঙ্কারে নিজের ভিতর
অথচ, পার ভেঙে চলে যাব বলেছিলাম
একদিন আমি!
শূন্যতায় নিঃশেষ হয়ে যায় যাপন আমার
সূর্যাস্তের শেষ আগুনে পুড়ে যায় আজ
হাজার মূহুর্ত কাল ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন