আব্দুল রহিম-এর কবিতা
প্রতিধ্বনি
সভ্যতার পিপাসা লেগেছে,
এক হাঁড়ি চোখের জল সঞ্চয় করেছি,
আর এক হাঁড়ি মানুষের রক্ত,
পৃথিবীর উষ্ণতা শূন্য ডিগ্রি,
আগুন জ্বালাতে হবে
গোরস্থান থেকে মৃত কঙ্কালগুলো
এক এক করে তুলে আনা হোক ,
তারা এসে প্রতিবাদ করবে,
যারা বেঁচে তাদের মন খারাপ
তবু নেই প্রতিবাদের প্রতিধ্বনি।
২.
বাঁচতে চাই
একটা অর্ধনগ্ন জীবন,
চোখের জলে প্রবাহমান,
বিষণ্ণতার স্বাদ ছুঁয়ে,
আজ মন ভালো নেই
মা শরীর পুড়িয়ে রুটি সেঁকে
বাবা ঘাম দিয়ে ফসল ফলায়
চামড়ার সাথে চিপটে লেগে দুর্ভাগ্য।
আজ মন ভালো নেই।
৩.
আমরা বাঁচবো, বাঁচাবো
তোমরা যদি বাঁচতে পারো
আমরাও বাঁচবো,
এতো দিন বেঁচে আছি
আমরা গ্রামের ধুলো মেখেছি,
কাঁদা মেখেছি, বসন্তর গন্ধ মেখেছি
তোমাদের সাদা চামড়া, লাল জামা
আমাদের কালো চামড়া, সবুজ জামা
যদি তোমাদের শ্বাসরুদ্ধ হয়
তবে আমাদের গ্রামে এসো
শুদ্ধ বাতাস নিতে।
৪.
বদলে যাচ্ছে
বসন্তের ঝরে পরা অন্তিম ফুলগুলোতে একটা কুকুর শুয়ে,
সবুজের গন্ধ মেখে বেঁচে থাকা মানুষটি
আজ তাজা রক্তের গন্ধ না পেলে ছন্দ লিখতে পারে না,
সমাজের সব থেকে বুদ্ধিমান ছেলেটি
আফিমের নেশা করে,
ধূসর হয়ে আসছে সব,
এ শহরে ভালোবাসা আবছা বর্ণ
"এ শহরে ভালোবাসা আবছা বর্ণ"Simply put, this realization is eternal.
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
মুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন