লিপি সেনগুপ্ত--এর কবিতা






নিভৃতে তাকালে আবৃত মনে




১.

অন্ধকারও আড়াল খোঁজে 


পাঁজর ফুলে ফুলে ওঠে

মাঝে শূন্য বাতাস

তাসের খেলা


আবছা কোণ ঘেষে বিরহী তুলসীগন্ধ 

পাক খাচ্ছে নাগর। দোলায় ভাগ্য

মাঝমাঠে সারি সারি তাঁবু 


ছক্কা পাঞ্জার তুবড়ি, আলোর রোশনাই

হাতবদলের নির্ঘন্ট স্থির করবেন

ইস্কাবনের বিবি।





২.

যাতনা ছিল 


কেমন করে বোঝাই ! পোড়া ছাই

ধোঁয়া ওঠেনা তবু তো পোড়া

ধীরে ধীরে মিশছে


অস্থিময় ধুলোর ওড়াউড়ি 

ঝাপসা ঘাটের আলো

চোখে বিরাগের স্রোত 


উড়োচিঠি জমছে লেটারবক্সে





৩.

আহত কই মাছের মত তখনও 

ঝটপট ঝটপট 

শব্দ সুর তাল লয় সন্ধান


কেউ তাকানোর আগেই চোখ বুজেছে রোদ

পারম্পর্য ভেদ করে পথ পা ফেলেছে

নির্মাণ জরুরি ছিল।


জীবনের সুর বেঁধেছেন যিনি 

তিনিও পাশে পাশে হাঁটছেন

আমরা মুগ্ধ চোখে দেখছি

অর্ধনারীশ্বর




৪.

সেই সত্য প্রকাশ হবে এবং 

নৌকাটি মাঝ নদী বরাবর গতিময়


যেদিন


জল গভীর , প্রবল ঘূর্ণন…

রাতের চাঁদ ছুঁয়ে আলগোছে


একা


এমন কিছু দৃশ্য দেখার কথা 

অথচ নৌকা ভাটার টানে স্থির


দেখলে


চরাচর জুড়ে শুধুই কুয়াশা

চোখে চোখ পড়লে যা কেটে যেত 


অনায়াসে





৫.

তাকে কি বলব!


ভিক্ষা অন্ন ভাগ করলে

কতটুকু আর থাকে

কেন তবে তার দুয়ারে একাই হাত পাতো!

আমি তো চাইনা নিতে।তবু জোরাজুরি


ফল ধরছে 

মাটিতেও কিছু পড়বে 

তুলেই নেব না হয় সময় হলে


আড়ালে থাকো

ফুল তোলো না ফল

বলেছি কি গাছটা আমার?


সব ভাগ করে নেব বলতেই—

ঈশ্বর হাত বাড়ালেন

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন