দেবীপ্রসাদ বটব্যাল-এর কবিতা




বিলাসি 

হাওয়ার  ঘর নেই, আকাশের আঙিনা নেই,
নিরালম্ব হতে শিখি
শূন্যের মধ্যে ঝুলে থাকা শিখি

বৃষ্টি ফোঁটাকে ঘিরে
মৃত্তিকার ন্যায় শোষন বিলাসী ,
দুঃখ, নির্জনতাবিলাসী

হাওয়া'ঘড়ির শুন্য দর্শনে
মোরগঝুঁটি কাঁপানো অপূর্ব দিকনির্দেশে
তুমি লিখে রাখছো কামড়

সুখের পাতাতে শিরা'উঠা কব্জির মোচড়
মোক্ষম যন্ত্রণাবিনাশি শব্দের
মৌনিব্রতে সামিল- শীতদগ্ধ দাঁত

আমি নিত্য লেখে চলি ক্ষুধা - ক্ষুধা- ক্ষুধা,
বুঝে যাই, শরীরের খিদে মিটে ঠিকই,
তবে মাংস'প্রেমে, কম নুন ভাল্লাগে না।




খোলসের জন্য সাপ

আগে যেখানে কুতূহলী বাতাস টুকি দিত,
সাপ খোলস ছেড়ে গেছে।
হৃদয়ে চুবনো হ্যারিকেন,
ফিতে চ্যাপ্টা, কেরোসিনরে গন্ধ...

সব মায়া?

মায়া নয় জেনে
নখের সম্ভার

ছেঁড়া ছেঁড়া
ভুসোকালি
আলো
আমি চুপ করে থাকি
মাঝে মাঝে চুপ করা ভালো
তোমার আমার মাঝে নেমে আসা ফাঁপা অন্ধকার
ইচ্ছে করলেই ফাটাতে পারতাম
তুমিই ধরলে আঁকড়ে

আমি মরে যাব।
আমি তো জানিই, মরে যেতে হয়
সেদিন মাঝরাতেও  নেমে এসেছিল
তোমার রমণ'সদৃশ অঙ্গ
আমার শোষক সদৃশ মুখ,
আগুন, উদ্ভুত  উত্তাপ...
বা উত্তাপের জন্যে উদ্গত আগুনে
পুড়ে যাওয়া নিশ্চিত জেনেও
আলোটুকু জ্বালিয়ে রেখেছিলে।

তখনই সাপ খোলসটি পরলো




পদচিহ্ন 

পুরনো বেবুস্যে ঘরানায় খদ্দের পটানো নাজুক
ভঙ্গিতে 
আখরের ঠুনকো  রিনিক শব্দ ন্যাংটো হয়।

দরজা পেরিয়ে পায়ের দাগ রেখে চলে যাচ্ছে
আগের বাবু,

পরবর্তীতে আর একটি একই পায়ের দাগ
বাবু ফিরার

যে কোনো শব্দই ব্রহ্মত্বলাভ করতে সক্ষম, সে
ওম্ হোক
বা রমণ।

আমাকে আমার এক সাংবাদিক বন্ধু বলছিল
আমার সব কবিতায় নাকি বীর্যমাখামাখি!

আশ্চর্য হইনি, প্রতিবাদও করিনি, হাসলে হয়তো
ক্রুর দেখাবে তাই...

আমার কী দায়, তাকে বোঝানোর তেজ আর বীজে
সৃষ্টির রহস্য, হোক না বাবুখানা অথবা বেশ্যাপাড়া,
কিংবা যেমন ধরুন ঐ অজস্র পায়ের দাগে ওরই
চৌদ্দপুরুষের পদচিহ্ন মিশে আছেও নাই বা জানলো।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন